আবার হরতাল-এই রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়
হরতাল নিয়ে গুজব নয়, সত্যিই হরতাল ডেকেছে বিএনপি। আগামী ৩০ নভেম্বর আবার সকাল-সন্ধ্যার এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে দেশবাসীকে, আর দেশের অর্থনীতিকে সইতে হবে বড় এক ধাক্কা। দলীয় প্রধানের সেনানিবাসের বাড়ির ইস্যুতে এর আগে ঈদ সামনে রেখে ১৪ নভেম্বর সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল বিএনপি।
দলটির দাবি অনুযায়ী, এবারের হরতাল শুধু দলীয় প্রধানের বাড়ির ইস্যুতে নয়, বরং ‘জনস্বার্থে’ ডাকা হয়েছে। এক মাসে দুটি পুরো দিনের হরতাল, ‘জনস্বার্থ’ রক্ষার এক চমৎকার হাতিয়ার বটে!
আমাদের দেশে বিরোধী দলে (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের ক্ষেত্রেই তা সত্যি) থাকার অর্থ হচ্ছে, কারণে-অকারণে হরতাল ডাকা। হরতালের এই স্বেচ্ছাচারী ব্যবহারের ফল দেশের জনগণ ও অর্থনীতি অসহায়ের মতো ভোগ করে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছি। জনদুর্ভোগ ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকারী হরতালের বিরুদ্ধে জনমতও গড়ে উঠেছে। হরতালের বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার দাবি দেশের বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে বহু আগেই উঠেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, জনমতের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা না দেখিয়ে বিরোধী দলের নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো হরতাল ডাকার ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গণতান্ত্রিক সমাজে সরকার ও সরকারি দলের কর্মকাণ্ড ও দেশ পরিচালনার ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা ও বিরোধিতা করার মূল জায়গা সংসদ। কিন্তু অতীতের মতো বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সংসদে অনুপস্থিত। এখন একই পুরোনো কায়দায় জনস্বার্থের নামে হরতালের মতো দেশের জন্য ক্ষতিকর একের পর এক কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। গত ১৪ নভেম্বরের হরতালের পর একই মাসের শেষে আবার হরতাল ডাকা কি সত্যিই জরুরি হয়ে পড়েছে?
হরতাল ডাকা হয় সরকারের বিরুদ্ধে, কিন্তু কার্যত তা যায় জনগণ ও দেশের বিরুদ্ধে। ঈদের আগে ডাকা হরতাল জনগণকে কী দুর্ভোগে ফেলেছিল, তা বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতাদের অজানা নয়। একসময়ের ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এর অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টিও তাদের কাছে স্পষ্ট। কর্মসংস্থান, নতুন বিনিয়োগ ও রপ্তানির ওপর এর প্রভাব খুবই নেতিবাচক। দেশে হরতালের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে—এ ধরনের বার্তা সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। এটা দেশের প্রধান বিরোধী দলের চাওয়া হতে পারে না।
২৯ নভেম্বর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। হরতাল ডাকা হয়েছে এর পরদিন। ৩০ নভেম্বরের হরতালের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ির সম্পর্কের বিষয়টি বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও এটা স্পষ্ট যে, দলীয় প্রধানের বাড়ির বিষয়টি বিএনপির কাছে একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু। একজন ব্যক্তির বাড়ির বিষয়টিকে এখন ‘জনস্বার্থের’ মোড়কে হরতাল ডাকার উপলক্ষ হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
সব হরতালের মতো আমরা ৩০ নভেম্বর ডাকা হরতালের বিরোধী। দেশ ও জনগণের ক্ষতি ছাড়া এই হরতাল জনস্বার্থে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। জনস্বার্থ যদি সত্যিই বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, তবে সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করার জন্য দলটিকে বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হরতালের রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
আমাদের দেশে বিরোধী দলে (আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের ক্ষেত্রেই তা সত্যি) থাকার অর্থ হচ্ছে, কারণে-অকারণে হরতাল ডাকা। হরতালের এই স্বেচ্ছাচারী ব্যবহারের ফল দেশের জনগণ ও অর্থনীতি অসহায়ের মতো ভোগ করে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়ার বিরোধিতা করে আসছি। জনদুর্ভোগ ও দেশের অর্থনীতি ধ্বংসকারী হরতালের বিরুদ্ধে জনমতও গড়ে উঠেছে। হরতালের বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার দাবি দেশের বিভিন্ন সচেতন মহল থেকে বহু আগেই উঠেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, জনমতের প্রতি কোনো শ্রদ্ধা না দেখিয়ে বিরোধী দলের নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো হরতাল ডাকার ধারা অব্যাহত রয়েছে।
গণতান্ত্রিক সমাজে সরকার ও সরকারি দলের কর্মকাণ্ড ও দেশ পরিচালনার ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা ও বিরোধিতা করার মূল জায়গা সংসদ। কিন্তু অতীতের মতো বর্তমান বিরোধী দল বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সংসদে অনুপস্থিত। এখন একই পুরোনো কায়দায় জনস্বার্থের নামে হরতালের মতো দেশের জন্য ক্ষতিকর একের পর এক কর্মসূচি দিতে শুরু করেছে। গত ১৪ নভেম্বরের হরতালের পর একই মাসের শেষে আবার হরতাল ডাকা কি সত্যিই জরুরি হয়ে পড়েছে?
হরতাল ডাকা হয় সরকারের বিরুদ্ধে, কিন্তু কার্যত তা যায় জনগণ ও দেশের বিরুদ্ধে। ঈদের আগে ডাকা হরতাল জনগণকে কী দুর্ভোগে ফেলেছিল, তা বিএনপির নীতিনির্ধারক নেতাদের অজানা নয়। একসময়ের ক্ষমতাসীন দল হিসেবে এর অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টিও তাদের কাছে স্পষ্ট। কর্মসংস্থান, নতুন বিনিয়োগ ও রপ্তানির ওপর এর প্রভাব খুবই নেতিবাচক। দেশে হরতালের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে—এ ধরনের বার্তা সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে। এটা দেশের প্রধান বিরোধী দলের চাওয়া হতে পারে না।
২৯ নভেম্বর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ি নিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। হরতাল ডাকা হয়েছে এর পরদিন। ৩০ নভেম্বরের হরতালের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ির সম্পর্কের বিষয়টি বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও এটা স্পষ্ট যে, দলীয় প্রধানের বাড়ির বিষয়টি বিএনপির কাছে একটি বড় রাজনৈতিক ইস্যু। একজন ব্যক্তির বাড়ির বিষয়টিকে এখন ‘জনস্বার্থের’ মোড়কে হরতাল ডাকার উপলক্ষ হিসেবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
সব হরতালের মতো আমরা ৩০ নভেম্বর ডাকা হরতালের বিরোধী। দেশ ও জনগণের ক্ষতি ছাড়া এই হরতাল জনস্বার্থে কোনো ভূমিকা রাখতে পারবে না। জনস্বার্থ যদি সত্যিই বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, তবে সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করার জন্য দলটিকে বিকল্প রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই হরতালের রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
No comments