বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-জাতীয়করণের লক্ষ্যে এমপিওভুক্তি স্থগিত
জাতীয়করণের লক্ষ্যে সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্তি ও নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গত ২১ জুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে এ আদেশ দিয়েছে। এ ছাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের খসড়া রূপরেখা প্রণয়ন করেছে সরকার।
এই রূপরেখায় সাত দফা সুপারিশ রাখা হয়েছে। এতে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতা, অধিগ্রহণ, শিক্ষকদের পদ বিন্যাস, নিয়োগের শর্ত, পদ তৈরি, বেতনভাতার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। রূপরেখা কমিটি জাতীয়করণের পর বেসরকারি পর্যায়ে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের এ রূপরেখা প্রণয়ন করে। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এ খসড়া রূপরেখা নিয়ে একটি বৈঠক হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় দুই দশকের আন্দোলনের পর গত ২৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করতে গত ২৯ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ জুনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, খসড়া একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে বিদ্যালয় জাতীয়করণে আপাতত সাত দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই এ প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এতে কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
জাতীয়করণের রূপরেখা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রূপরেখার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কমিউনিটি ও এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়সহ সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত ও স্থায়ী-অস্থায়ী নিবন্ধিত বিদ্যালয় জাতীয়করণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে জাতীয়করণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রূপরেখা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও অবকাঠামোগত অবস্থা ও পাঠদান পরিস্থিতি যাচাইয়ের পরই বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা কমিটি চূড়ান্ত করবে। চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত বিদ্যালয়গুলোকে 'ক', 'খ' ও 'গ' শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে 'ক' শ্রেণীতে এমপিওভুক্ত ও স্থায়ী নিবন্ধনপ্রাপ্ত বিদ্যালয়, 'খ' শ্রেণীতে এমপিওবহির্ভূত অস্থায়ী নিবন্ধনপ্রাপ্ত বিদ্যালয় এবং বাকি কমিউনিটি বিদ্যালয়সহ জাতীয়করণের যোগ্য বিবেচিত অন্যান্য বিদ্যালয়কে 'গ' শ্রেণীতে রাখা হবে।
রূপরেখা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'ক' শ্রেণীভুক্ত বিদ্যালয়গুলোকে চলতি বছরের ১ জুলাই, 'খ' শ্রেণীভুক্ত বিদ্যালয়কে ৩১ ডিসেম্বর এবং 'গ' শ্রেণীভুক্ত বিদ্যালয়কে ২০১৩ সালের ১ জুলাই অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের এ রূপরেখা প্রণয়ন করে। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে এ খসড়া রূপরেখা নিয়ে একটি বৈঠক হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রায় দুই দশকের আন্দোলনের পর গত ২৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। এসব বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করতে গত ২৯ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৪ জুনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ কালের কণ্ঠকে বলেন, খসড়া একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে বিদ্যালয় জাতীয়করণে আপাতত সাত দফা সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শিগগিরই এ প্রতিবেদন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এতে কিছু সংযোজন ও বিয়োজন করা হতে পারে বলে তিনি জানান।
জাতীয়করণের রূপরেখা : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, রূপরেখার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কমিউনিটি ও এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয়সহ সব বেসরকারি এমপিওভুক্ত ও স্থায়ী-অস্থায়ী নিবন্ধিত বিদ্যালয় জাতীয়করণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এ ছাড়া শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে থাকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে জাতীয়করণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রূপরেখা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হলেও অবকাঠামোগত অবস্থা ও পাঠদান পরিস্থিতি যাচাইয়ের পরই বিদ্যালয় জাতীয়করণের তালিকা উপজেলা পর্যায়ের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা কমিটি চূড়ান্ত করবে। চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত বিদ্যালয়গুলোকে 'ক', 'খ' ও 'গ' শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে 'ক' শ্রেণীতে এমপিওভুক্ত ও স্থায়ী নিবন্ধনপ্রাপ্ত বিদ্যালয়, 'খ' শ্রেণীতে এমপিওবহির্ভূত অস্থায়ী নিবন্ধনপ্রাপ্ত বিদ্যালয় এবং বাকি কমিউনিটি বিদ্যালয়সহ জাতীয়করণের যোগ্য বিবেচিত অন্যান্য বিদ্যালয়কে 'গ' শ্রেণীতে রাখা হবে।
রূপরেখা প্রস্তাবে বলা হয়েছে, 'ক' শ্রেণীভুক্ত বিদ্যালয়গুলোকে চলতি বছরের ১ জুলাই, 'খ' শ্রেণীভুক্ত বিদ্যালয়কে ৩১ ডিসেম্বর এবং 'গ' শ্রেণীভুক্ত বিদ্যালয়কে ২০১৩ সালের ১ জুলাই অধিগ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
No comments