পানিনিষ্কাশন ও বাঁধসংস্কার ত্বরান্বিত করুন-পানিবন্দী উপকূলীয় গ্রাম
কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত ও অস্বাভাবিক জোয়ারের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গিয়ে ভোলা, পটুয়াখালী, বাউফল ও কলাপাড়ার ৭৯টি গ্রামের প্রায় ২৮ হাজার পরিবারের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের দুর্ভোগের কিছু চিত্র প্রকাশিত হয়েছে সোমবারের প্রথম আলোর প্রতিবেদনে।
এ ছাড়া বন্দরনগর চট্টগ্রামেও একটানা বৃষ্টির ফলে বেশ কিছু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে, যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক রাস্তাঘাট। কিন্তু এমন দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে মানুষের ভোগান্তি লাঘবের জন্য যে উদ্যোগ প্রয়োজন, তা লক্ষ করা যাচ্ছে না।
মৌসুমি বৃষ্টিপাত, জোয়ার বৃদ্ধি ইত্যাদি দুর্যোগ প্রকৃতির আচরণের অনিবার্য অংশ, এটা আমরা জানি। এসব আমরা রোধ করতে পারি না, কিন্তু এগুলো মোকাবিলার প্রয়াস অবশ্যই থাকতে হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পেছনে বাঁধগুলো রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি রয়েছে। এই বাঁধগুলো ঘূর্ণিঝড় সিডরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেগুলোর পর্যাপ্ত মেরামত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ও অসম্পূর্ণ অংশগুলোই ভেঙে গিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে পানিবন্দী বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে; অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সড়কের ওপর, খোলা আকাশের নিচে। অনেক এলাকায় সড়ক ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কৃষিকাজেও। এখন আমন ফসলের বীজতলা তৈরির সময়; জলাবদ্ধতা বেশি সময় ধরে চললে কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করতে পারবেন না।
এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মেরামতকাজ চলছে। এ কাজ ভালোভাবে, দ্রুত করা দরকার। একই সঙ্গে জলমগ্ন এলাকাগুলোর পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি। আর স্থায়ীভাবে এমন দুর্যোগ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজন সব বেড়িবাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সম্পূর্ণ সংস্কার এবং অসম্পূর্ণ বাঁধের নির্মাণ সম্পূর্ণ করা।
বন্দরনগর চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নগর কর্তৃপক্ষের উচিত গোটা নগরের পানিনিষ্কাশনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া এবং নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ করা।
মৌসুমি বৃষ্টিপাত, জোয়ার বৃদ্ধি ইত্যাদি দুর্যোগ প্রকৃতির আচরণের অনিবার্য অংশ, এটা আমরা জানি। এসব আমরা রোধ করতে পারি না, কিন্তু এগুলো মোকাবিলার প্রয়াস অবশ্যই থাকতে হয়। উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পেছনে বাঁধগুলো রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতি রয়েছে। এই বাঁধগুলো ঘূর্ণিঝড় সিডরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেগুলোর পর্যাপ্ত মেরামত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত ও অসম্পূর্ণ অংশগুলোই ভেঙে গিয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে পানিবন্দী বিপুলসংখ্যক মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে উঠেছে। অনেক পরিবারের ঘরবাড়ি ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে; অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে সড়কের ওপর, খোলা আকাশের নিচে। অনেক এলাকায় সড়ক ভেঙে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কৃষিকাজেও। এখন আমন ফসলের বীজতলা তৈরির সময়; জলাবদ্ধতা বেশি সময় ধরে চললে কৃষকেরা বীজতলা তৈরি করতে পারবেন না।
এসব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মেরামতকাজ চলছে। এ কাজ ভালোভাবে, দ্রুত করা দরকার। একই সঙ্গে জলমগ্ন এলাকাগুলোর পানিনিষ্কাশনের উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি। আর স্থায়ীভাবে এমন দুর্যোগ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজন সব বেড়িবাঁধ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সম্পূর্ণ সংস্কার এবং অসম্পূর্ণ বাঁধের নির্মাণ সম্পূর্ণ করা।
বন্দরনগর চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য নগর কর্তৃপক্ষের উচিত গোটা নগরের পানিনিষ্কাশনব্যবস্থার আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া এবং নির্বিচারে পাহাড় কাটা বন্ধ করা।
No comments