মিসর-আরব বসন্তের আখেরি সংকট by নোয়াহ ফেল্ডম্যান
মিসরের কায়েমি শাসকদের পতনের দিন থেকেই সামরিক বাহিনী এবং ইসলামি গণতন্ত্রীরা সংঘাতের দিকে ছুটছিল। সেই সংঘাত অবশেষে ঘটে গেল। সাংবিধানিক আদালতের আদেশের বলে বলীয়ান সশস্ত্র বাহিনীগুলোর শীর্ষ পরিষদ (স্কাফ) নির্বাচিত সংসদ বাতিল করে দিল।
এখন মিসরের নতুন সংবিধান লিখবে স্কাফ নিযুক্ত ১০০ জনের ‘বিশেষজ্ঞ’ দল। উপযুক্ত মুহূর্তে কায়দা করে তারা শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতাও কাটছাঁট করে নিয়েছে। এসবের ঠিক পরের দিনই পরিষ্কার হয়ে যায়, মুসলিম ব্রাদারহুড মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মুরসিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিজয়ী।
এদিকে বাতিল হতে চায়নি সংসদ। এ সপ্তাহেই সংসদ সদস্যরা তাঁদের নিজস্ব সাংবিধানিক কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাংবিধানিক সংকটের চরমে মিসর এখন ভাঙনের মুখে টলায়মান। গত বছরের আরব বসন্ত দেখে যাঁরা আশাবাদী ও রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন, তাঁরা অবাক হয়ে দেখছেন, মিসরের রাজনীতির প্রধান প্রতিপক্ষ হলো সামরিক বাহিনী ও ইসলামি গণতন্ত্রীরা।
অথচ ওই বসন্তের নেতৃত্ব দিয়েছিল তরুণ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা। মিসরীয় সমাজের সব অংশকে মাঠে নামিয়ে তারা হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেছিল মোবারকের স্বৈরশাহীকে। মুক্তির দাবি তুলে আবার তারা মিসরকে আরব জগতের দিশারির আসনে বসিয়েছিল। কিন্তু তাহরির চত্বরের সাহসী ও উল্লসিত প্রতিবাদীদের দিকে চোখ রাখলেই মিসরীয় পরিস্থিতির জটিলতা বোঝা যাবে না। আসলে মোবারকের পতন প্রতিবাদীদের হাতে ঘটেনি। পুলিশের তরফে তীব্র ও মারদাঙ্গা চাপের মুখেও তারা যেমন মাঠ ছাড়েনি, তেমনি শোচনীয়ভাবে দুর্বল মোবারকও ক্ষমতা ছাড়েননি।
পদত্যাগের আগের রাতেও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করছিলেন মোবারক। প্রতিবাদীদের পক্ষে কেবল নিজেদের জোরে এই স্বৈরশাসককে হটানো কঠিন ছিল। অবশেষে সেনাবাহিনীই মোবারকের প্রেসিডেন্টগিরির অবসান ঘোষণা করে। এই ঘোষণার মাধ্যমে আসলে তারা সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়। মোবারকের বয়স হয়ে গেছে অথচ সরার আশু সম্ভাবনা নেই; আরব বসন্তের কল্যাণে সেনাবাহিনী এই অপদার্থের ভার খালাসের সুযোগ পায়।
সামরিক পরিষদ তারপর জুয়ায় নামে। সাবেক যুগের স্বৈরশাহীর মতো কোনো একনায়ককে শিখণ্ডী না করে গণ-অসন্তোষের ঢেউয়ে চড়ে চালানো যাবে বলে ভেবেছে তারা। ইসলামপন্থীরাও আরব বসন্তের কারিগর ছিল না। খেলার একেবারে শেষ পর্বে তারা মাঠে নামে, যখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তাদের অনুপস্থিতি জনগণের মধ্যে ভাবমূর্তির স্থায়ী ক্ষতি করবে। তারা ভালো করেই জানত, তাহরির চত্বরের অধিকাংশ মানুষই তাদের পক্ষের নয়।
মিসরের একের পর এক দুর্নীতিবাজ বাদশাহ আর একনায়কদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস থেকে ইসলামিক ব্রাদারহুড শিখেছে, বিদ্রোহ নয়, নীরব থাকাই টিকে থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়। অবশেষে তারা এক দারুণ কৌশলে উপনীত হয়: গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা অর্জন।
যত গণভিত্তিকই হোক, প্রতিবাদী আন্দোলন আর আনুষ্ঠানিক নির্বাচন এক জিনিস নয়। বিক্ষোভের জন্য দরকার সোচ্চার, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ ও সাহসিকতা। রাজনীতির জন্য দরকার গভীর সংগঠন, কৌশল ও সর্বজনমান্যতা।
ব্রাদারহুডের বিশ্বাসই ঠিক, শাসনব্যবস্থা বদলের পথে নির্বাচন আসবেই। এবং তারা জানে, সেই নির্বাচনে তারা উজ্জ্বল হবে। ১৯৯০-এর আলজেরীয় নির্বাচনের পর থেকে সব আরবিভাষী দেশের মোটামুটি মুক্ত সব নির্বাচনে ইসলামপন্থীরাই জিতেছে। তাদের কপালও ভালো। তাহরিরের অহিংস বিপ্লবীরা সহজাতভাবেই গণতন্ত্রী। সততা, আনাড়িপনা অথবা এ দুয়ের মিলমিশে তারা সেই নির্বাচনই চেয়েছে, যে নির্বাচনে তারা জিতবে না। সেনাবাহিনী তক্কে তক্কে ছিল। সংসদ নির্বাচনে ব্রাদারহুডের আসনই বেশি হলো আর এখন প্রেসিডেন্টগিরিতেও তারা এগিয়ে।
তাহলে মিসরীয় চালচিত্রে সেনাবাহিনী হলো সাবেকী ক্ষমতা-কাঠামোর প্রতিনিধি আর জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধি হলো ব্রাদারহুড। স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি আর গণসমর্থনবাদীদের শিরে শিরে সংঘাতই হলো মিসরের আসল সংঘাত। এর মীমাংসার মধ্যেই সমগ্র আরব জাহানের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিহিত। এই দ্বন্দ্বের পরিণতিই আরব বসন্তের সত্য ও বিভ্রমকে চিরতরে ফকফকা করে দেবে।
ব্রাদারহুডের সামনে এখন দুটি পথ: হয় তারা আদর্শ-প্রতিশ্রুতি জলাঞ্জলি দিয়ে সেনাবাহিনীর থাবার নিচে বসে নামকাওয়াস্তে সরকার চালাবে। মানে ধর্মীয় বৈধতা আর সাংবিধানিক গণতন্ত্রের মিতালির যে ঐতিহাসিক সুযোগ তাদের সামনে হাজির হয়েছিল; এটা করা মানে তা খুইয়ে ফেলা। অথচ গত দুই দশক ধরে এটাই তাদের লক্ষ্য ছিল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করে শীর্ষ পরিষদের পতন ঘটানোই বিকল্প পথ। কিন্তু মুশকিল হলো, মিসরীয় ভোটারদের ৪৮ শতাংশই সেনা-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আহমদ শফিককে ভোট দিয়েছে এবং তারা ব্রাদারহুডের বিপক্ষে।
এ পরিমাণ জনসমর্থনের ভরসায় সেনা কর্তৃপক্ষ তাই বেয়াড়া হতে দ্বিধা করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থপুষ্ট সামরিক-সামন্ততন্ত্রকেও সংযত করবে না তারা। জেনারেলরা ভালো করেই জানেন, সময় গেলে ব্রাদারহুড তরুণতর ইসলামপন্থী অফিসারদের পদোন্নতি দিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীকে বদলে দেবে।
সেনাবাহিনী ও ইসলামপন্থীদের আপস-মীমাংসার একটি মডেল অবশ্য আছে: সেটা হলো দীর্ঘ সময় নিয়ে ক্ষমতার রূপান্তর ঘটানো। ২০০২ সালে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ক্ষমতারোহণের পর থেকে তুরস্কে সেটাই ঘটছে। তবে, তুর্কি সেনাবাহিনী যে দিনে দিনে সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, জেনারেলরা নিশ্চয়ই তা ভুলে যাননি।
মিসরীয়দের এখন আলজেরিয়ার নমুনাও মনে রাখা উচিত। দুই দশক আগে সেখানে আরব জাহানের প্রথম গণতান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাটি হয়; নির্বাচনে জয়ী হয় ইসলামপন্থীরা। কিন্তু সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফল বাতিল করে সামরিক আইন জারি করে। শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। সর্বাত্মক গেরিলা যুদ্ধে প্রাণ হারায় এক লাখ মানুষ।
ব্রাদারহুড আর সেনাবাহিনী এখনই মীমাংসার মাটি খুঁজে না পেলে মিসরের জন্যও হয়তো সেই পরিণতি অপেক্ষা করবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফ
নোয়াহ ফেল্ডম্যান: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক।
এদিকে বাতিল হতে চায়নি সংসদ। এ সপ্তাহেই সংসদ সদস্যরা তাঁদের নিজস্ব সাংবিধানিক কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাংবিধানিক সংকটের চরমে মিসর এখন ভাঙনের মুখে টলায়মান। গত বছরের আরব বসন্ত দেখে যাঁরা আশাবাদী ও রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন, তাঁরা অবাক হয়ে দেখছেন, মিসরের রাজনীতির প্রধান প্রতিপক্ষ হলো সামরিক বাহিনী ও ইসলামি গণতন্ত্রীরা।
অথচ ওই বসন্তের নেতৃত্ব দিয়েছিল তরুণ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা। মিসরীয় সমাজের সব অংশকে মাঠে নামিয়ে তারা হাঁটু গেড়ে বসতে বাধ্য করেছিল মোবারকের স্বৈরশাহীকে। মুক্তির দাবি তুলে আবার তারা মিসরকে আরব জগতের দিশারির আসনে বসিয়েছিল। কিন্তু তাহরির চত্বরের সাহসী ও উল্লসিত প্রতিবাদীদের দিকে চোখ রাখলেই মিসরীয় পরিস্থিতির জটিলতা বোঝা যাবে না। আসলে মোবারকের পতন প্রতিবাদীদের হাতে ঘটেনি। পুলিশের তরফে তীব্র ও মারদাঙ্গা চাপের মুখেও তারা যেমন মাঠ ছাড়েনি, তেমনি শোচনীয়ভাবে দুর্বল মোবারকও ক্ষমতা ছাড়েননি।
পদত্যাগের আগের রাতেও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করছিলেন মোবারক। প্রতিবাদীদের পক্ষে কেবল নিজেদের জোরে এই স্বৈরশাসককে হটানো কঠিন ছিল। অবশেষে সেনাবাহিনীই মোবারকের প্রেসিডেন্টগিরির অবসান ঘোষণা করে। এই ঘোষণার মাধ্যমে আসলে তারা সব ক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয়। মোবারকের বয়স হয়ে গেছে অথচ সরার আশু সম্ভাবনা নেই; আরব বসন্তের কল্যাণে সেনাবাহিনী এই অপদার্থের ভার খালাসের সুযোগ পায়।
সামরিক পরিষদ তারপর জুয়ায় নামে। সাবেক যুগের স্বৈরশাহীর মতো কোনো একনায়ককে শিখণ্ডী না করে গণ-অসন্তোষের ঢেউয়ে চড়ে চালানো যাবে বলে ভেবেছে তারা। ইসলামপন্থীরাও আরব বসন্তের কারিগর ছিল না। খেলার একেবারে শেষ পর্বে তারা মাঠে নামে, যখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল তাদের অনুপস্থিতি জনগণের মধ্যে ভাবমূর্তির স্থায়ী ক্ষতি করবে। তারা ভালো করেই জানত, তাহরির চত্বরের অধিকাংশ মানুষই তাদের পক্ষের নয়।
মিসরের একের পর এক দুর্নীতিবাজ বাদশাহ আর একনায়কদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ইতিহাস থেকে ইসলামিক ব্রাদারহুড শিখেছে, বিদ্রোহ নয়, নীরব থাকাই টিকে থাকার শ্রেষ্ঠ উপায়। অবশেষে তারা এক দারুণ কৌশলে উপনীত হয়: গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা অর্জন।
যত গণভিত্তিকই হোক, প্রতিবাদী আন্দোলন আর আনুষ্ঠানিক নির্বাচন এক জিনিস নয়। বিক্ষোভের জন্য দরকার সোচ্চার, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ ও সাহসিকতা। রাজনীতির জন্য দরকার গভীর সংগঠন, কৌশল ও সর্বজনমান্যতা।
ব্রাদারহুডের বিশ্বাসই ঠিক, শাসনব্যবস্থা বদলের পথে নির্বাচন আসবেই। এবং তারা জানে, সেই নির্বাচনে তারা উজ্জ্বল হবে। ১৯৯০-এর আলজেরীয় নির্বাচনের পর থেকে সব আরবিভাষী দেশের মোটামুটি মুক্ত সব নির্বাচনে ইসলামপন্থীরাই জিতেছে। তাদের কপালও ভালো। তাহরিরের অহিংস বিপ্লবীরা সহজাতভাবেই গণতন্ত্রী। সততা, আনাড়িপনা অথবা এ দুয়ের মিলমিশে তারা সেই নির্বাচনই চেয়েছে, যে নির্বাচনে তারা জিতবে না। সেনাবাহিনী তক্কে তক্কে ছিল। সংসদ নির্বাচনে ব্রাদারহুডের আসনই বেশি হলো আর এখন প্রেসিডেন্টগিরিতেও তারা এগিয়ে।
তাহলে মিসরীয় চালচিত্রে সেনাবাহিনী হলো সাবেকী ক্ষমতা-কাঠামোর প্রতিনিধি আর জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধি হলো ব্রাদারহুড। স্বৈরতান্ত্রিক শক্তি আর গণসমর্থনবাদীদের শিরে শিরে সংঘাতই হলো মিসরের আসল সংঘাত। এর মীমাংসার মধ্যেই সমগ্র আরব জাহানের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিহিত। এই দ্বন্দ্বের পরিণতিই আরব বসন্তের সত্য ও বিভ্রমকে চিরতরে ফকফকা করে দেবে।
ব্রাদারহুডের সামনে এখন দুটি পথ: হয় তারা আদর্শ-প্রতিশ্রুতি জলাঞ্জলি দিয়ে সেনাবাহিনীর থাবার নিচে বসে নামকাওয়াস্তে সরকার চালাবে। মানে ধর্মীয় বৈধতা আর সাংবিধানিক গণতন্ত্রের মিতালির যে ঐতিহাসিক সুযোগ তাদের সামনে হাজির হয়েছিল; এটা করা মানে তা খুইয়ে ফেলা। অথচ গত দুই দশক ধরে এটাই তাদের লক্ষ্য ছিল। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সেনাবাহিনীকে মোকাবিলা করে শীর্ষ পরিষদের পতন ঘটানোই বিকল্প পথ। কিন্তু মুশকিল হলো, মিসরীয় ভোটারদের ৪৮ শতাংশই সেনা-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আহমদ শফিককে ভোট দিয়েছে এবং তারা ব্রাদারহুডের বিপক্ষে।
এ পরিমাণ জনসমর্থনের ভরসায় সেনা কর্তৃপক্ষ তাই বেয়াড়া হতে দ্বিধা করছে না। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থপুষ্ট সামরিক-সামন্ততন্ত্রকেও সংযত করবে না তারা। জেনারেলরা ভালো করেই জানেন, সময় গেলে ব্রাদারহুড তরুণতর ইসলামপন্থী অফিসারদের পদোন্নতি দিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনীকে বদলে দেবে।
সেনাবাহিনী ও ইসলামপন্থীদের আপস-মীমাংসার একটি মডেল অবশ্য আছে: সেটা হলো দীর্ঘ সময় নিয়ে ক্ষমতার রূপান্তর ঘটানো। ২০০২ সালে জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ক্ষমতারোহণের পর থেকে তুরস্কে সেটাই ঘটছে। তবে, তুর্কি সেনাবাহিনী যে দিনে দিনে সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, জেনারেলরা নিশ্চয়ই তা ভুলে যাননি।
মিসরীয়দের এখন আলজেরিয়ার নমুনাও মনে রাখা উচিত। দুই দশক আগে সেখানে আরব জাহানের প্রথম গণতান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাটি হয়; নির্বাচনে জয়ী হয় ইসলামপন্থীরা। কিন্তু সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফল বাতিল করে সামরিক আইন জারি করে। শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। সর্বাত্মক গেরিলা যুদ্ধে প্রাণ হারায় এক লাখ মানুষ।
ব্রাদারহুড আর সেনাবাহিনী এখনই মীমাংসার মাটি খুঁজে না পেলে মিসরের জন্যও হয়তো সেই পরিণতি অপেক্ষা করবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনুবাদ ফারুক ওয়াসিফ
নোয়াহ ফেল্ডম্যান: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক।
No comments