অবৈধ ড্রাইভিং স্কুল-নিয়মের আওতায় আনতে হবে
বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও সরকারি হিসাবে দেশে সড়ক দুর্ঘটায় প্রতিবছর মারা যায় চার হাজার মানুষ। এমন কোনো দিন নেই, যেদিন দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির পাশাপাশি পঙ্গু হচ্ছে অসংখ্য মানুষ।
জানা গেছে, দেশে ১৬ লাখ রেজিস্টার্ড যানবাহনের জন্য বৈধ চালক আছেন ১০ লাখ। এই চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য সারা দেশেই গড়ে উঠেছে নানা প্রতিষ্ঠান। অল্প দিনে ড্রাইভিং শেখানোর পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হয় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে। শিক্ষার্থী সংগ্রহের জন্য নানা প্রলোভন দেখানো হয়। এসব ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ভীতিকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। সে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশে ৩৮০টি ড্রাইভিং স্কুলের মধ্যে মাত্র ৬৯টির অনুমোদন আছে। আরো ভীতিকর ব্যাপার হচ্ছে, এসব ড্রাইভিং স্কুলে কর্মরত ৪৭০ জন প্রশিক্ষকের মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ১০৬ জনের। এই লাইসেন্সবিহীন প্রশিক্ষকদের নিয়েই চলছে অননুমোদিত ড্রাইভিং স্কুল। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা যে প্রতিষ্ঠানটির হাতে, সেই বিআরটিএ থেকে কেমন করে লাইসেন্স বের করা যায় সে কৌশল তো অনেকেরই জানা। এমনিতেও ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালকের অভাব নেই। ড্রাইভিং শেখার পর সহজ পথে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া না গেলে অনেকেই ভুয়া লাইসেন্স সংগ্রহ করে গাড়ি চালাচ্ছেন। এসব অর্ধপ্রশিক্ষিত চালক দ্বারাই ঘটছে দুর্ঘটনা। আবার ড্রাইভিং শেখানোর প্রতিষ্ঠানই যদি অবৈধ হয়, তাহলে তো গোড়াতেই গলদ থেকে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান কোনটি বৈধ, কোনটি অবৈধ- তা নির্ণয় করা অনেক সময় সবার পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে এই অবৈধ প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসা চালকদের হাতে গাড়ি তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন গাড়ির মালিকরা।
ড্রাইভিং স্কুলের ক্ষেত্রে যে কোনো আইন নেই, তা নয়। ড্রাইভিং স্কুল চালু করতে বিআরটিএর অনুমোদন পাওয়ার শর্তে উল্লেখ আছে, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা থাকতে হবে, লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণ উপযোগী ভালো মানের যানবাহন এবং যথাযথ উপকরণ থাকতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ স্কুলের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। অথচ বিআরটিএ থেকে তারাও অনুমোদন পাচ্ছে। অর্থাৎ এখানেও সেই গোড়াতেই গলদ থেকে যাচ্ছে। বিআরটিএ থেকে অনুমোদন নিলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে চলছে না। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ড্রাইভিং স্কুলের ক্ষেত্রে যে কোনো আইন নেই, তা নয়। ড্রাইভিং স্কুল চালু করতে বিআরটিএর অনুমোদন পাওয়ার শর্তে উল্লেখ আছে, প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জায়গা থাকতে হবে, লাইসেন্সধারী প্রশিক্ষক, প্রশিক্ষণ উপযোগী ভালো মানের যানবাহন এবং যথাযথ উপকরণ থাকতে হবে। কিন্তু বেশির ভাগ স্কুলের নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। অথচ বিআরটিএ থেকে তারাও অনুমোদন পাচ্ছে। অর্থাৎ এখানেও সেই গোড়াতেই গলদ থেকে যাচ্ছে। বিআরটিএ থেকে অনুমোদন নিলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে চলছে না। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
No comments