সিটি করপোরেশনের কি দায়িত্বজ্ঞান লুপ্ত হয়েছে?-ছাত্রলীগের আম্রব্যবসা
অভিধান যা-ই বলুক, জ্যৈষ্ঠই এখন মধুমাস হিসেবে পরিচিত। এবার জ্যৈষ্ঠ গেল, আষাঢ় এল, কিন্তু মধুরসের আমেজ ফুরাল না। সেই আমেজ ঢাকার বিভিন্ন থানার ছাত্রলীগের নেতাদের মনেও লেগেছে। তাঁরাও মধুমাসের মধু আহরণে নেমে পড়েছেন। তাঁরা আমের বাজার বসিয়েছেন ফুটপাতে, সড়কদ্বীপে।
আম রসময় ফল, ছাত্রলীগের আমে মধুরস বেশি না হলেও অর্থরস মোটেই কম নয়। সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে তথাকথিত ‘অনুমতির’ নামে ছাত্রলীগের বিভিন্ন থানা কমিটির নেতারা অর্থরসের রসিক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। ফুটপাত দখল করে আমের দোকান বসিয়ে অর্থ বানানো সত্যিই দারুণ সৃজনশীলতা! ধন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ!
ঢাকার মতিঝিল, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, পান্থপথ, কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত রাতারাতি আমের বাজার হয়ে গেছে। আম ব্যবসায়ীরা এতই আম-পাবলিক যে ছাত্রলীগের উদারতা ছাড়া তাঁরা আমের ব্যবসা করতে পারছিলেন না। তাই তাঁদের অনুরোধে ছাত্রলীগের এসব এলাকার নেতা-কর্মীরা ফুটপাত দখল করে আমের বাজার বসিয়েছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে তাঁরা স্বীকার করেছেন, এ বাবদ তাঁরা একটি টাকাও নেননি, একটি আমও ছুঁয়ে দেখেননি। কোথাও কোথাও তাঁদের অনুসারীরা নিজেরাই দোকান বসিয়ে আমজনতাকে আম্রসেবা দিচ্ছেন। বিনিময়ে পথচারীদের ফুটপাত ছেড়ে রাজপথে নামতে হচ্ছে, গাড়িচালক ও আরোহীদের সইতে হচ্ছে বাড়তি ভোগান্তি। ছাত্রলীগের আম্রসেবা ঢাকার যানজট ও নাগরিক ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এসব ভুঁইফোড় আম্রব্যবসায়ী রাসায়নিকমুক্ত আম বিক্রির দাবি করলেও বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের (বিএসটিআই) ভ্রাম্যমাণ আদালত গত বৃহস্পতিবার এ ধরনের বেশ কিছু আমের দোকানকে রাসায়নিকযুক্ত আম বিক্রির জন্য জরিমানা করেছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার ব্যবহার করে সরকারি জমি বা অনুমতির বলে অবৈধ পথে টাকা বানানোই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির প্রধান ‘রাজনৈতিক’ কর্মকাণ্ড। ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই যোগসাজশ লজ্জাকর দুর্নীতি; তারা পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা ও ভেজাল ফল বিক্রির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করার দায়ে দায়ী। প্রশ্ন এখন একটাই: বিচার চাইব কার কাছে?
ঢাকার মতিঝিল, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, পান্থপথ, কলাবাগানসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত রাতারাতি আমের বাজার হয়ে গেছে। আম ব্যবসায়ীরা এতই আম-পাবলিক যে ছাত্রলীগের উদারতা ছাড়া তাঁরা আমের ব্যবসা করতে পারছিলেন না। তাই তাঁদের অনুরোধে ছাত্রলীগের এসব এলাকার নেতা-কর্মীরা ফুটপাত দখল করে আমের বাজার বসিয়েছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে তাঁরা স্বীকার করেছেন, এ বাবদ তাঁরা একটি টাকাও নেননি, একটি আমও ছুঁয়ে দেখেননি। কোথাও কোথাও তাঁদের অনুসারীরা নিজেরাই দোকান বসিয়ে আমজনতাকে আম্রসেবা দিচ্ছেন। বিনিময়ে পথচারীদের ফুটপাত ছেড়ে রাজপথে নামতে হচ্ছে, গাড়িচালক ও আরোহীদের সইতে হচ্ছে বাড়তি ভোগান্তি। ছাত্রলীগের আম্রসেবা ঢাকার যানজট ও নাগরিক ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এসব ভুঁইফোড় আম্রব্যবসায়ী রাসায়নিকমুক্ত আম বিক্রির দাবি করলেও বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের (বিএসটিআই) ভ্রাম্যমাণ আদালত গত বৃহস্পতিবার এ ধরনের বেশ কিছু আমের দোকানকে রাসায়নিকযুক্ত আম বিক্রির জন্য জরিমানা করেছেন।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার ব্যবহার করে সরকারি জমি বা অনুমতির বলে অবৈধ পথে টাকা বানানোই এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির প্রধান ‘রাজনৈতিক’ কর্মকাণ্ড। ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই যোগসাজশ লজ্জাকর দুর্নীতি; তারা পথচারীদের চলাচলের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা ও ভেজাল ফল বিক্রির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করার দায়ে দায়ী। প্রশ্ন এখন একটাই: বিচার চাইব কার কাছে?
No comments