গল্প লেখার শুরু... by সুচিত্রা সরকার
‘আমি কাল রাতে আরেকটা গল্প লিখেছি। এত ভালো লাগছে! শুনবে, তোমরা?’ জবাবের তোয়াক্কা না করেই পড়া শুরু করলেন নাহেরিন আহমেদ। চাকরি করছেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। গল্পটি ইংরেজি ভাষায় লেখা। পড়া শেষ হতেই অন্যদের দিকে তাকান সমালোচনার খোঁজে। হাসান আমীন গল্পটার বেশ প্রশংসা করেন।
অন্যরাও সজোরে হাততালি দেন। চট্টগ্রাম থেকে আসা আতাউল্লাহ নুরী কর্ণফুলী নদী নিয়ে নিজের সদ্য লেখাটি পড়তে শুরু করেন। এ দৃশ্যটি কোনো সাহিত্য আড্ডা বা বন্ধুদের চায়ের টেবিলের আয়োজন নয়। এটা রীতিমতো কর্মশালা।
ব্রাইন পিকেলসের ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং অ্যান্ড পারফরমেন্স লিটেরেচার’ শীর্ষক কর্মশালাটি ১৬ থেকে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮ জুন ঢাকার বারিধারার মার্কিন সেন্টারের মিলনায়তনে ছিল এর শেষ দিনের আয়োজন। আমেরিকান সেন্টারের সহায়তায় এই প্রথম দুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছিল।
আতাউল্লাহ নুরীর পড়া শেষ হলে নাভিদ প্রশ্ন করে, ‘লেখাটা ইংরেজিতে, কিন্তু তুমি এর মধ্যে “ছোডো ছোডো ঢেউ তুলি” এ গানটার ব্যবহার কেন করলে?’ উত্তর দিলেন ক্রিস্টোফার মেরিল। মার্কিন এই কবি এ কর্মশালার প্রশিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এ গানটার মাধ্যমে আমি যেন এর সুর শুনতে পাচ্ছি। তোমরা লিখবে ইংরেজিতে। কিন্তু এর মধ্যে যেন দেশীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য থাকে।’
কথা হলো কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজনের সঙ্গে। ইদরাক উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর ধরে আমি লেখার চেষ্টা করছি। তবে কর্মশালায় এসে লেখার অনেক আইডিয়া পাচ্ছি।’ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাভিদ হায়দার একমত হন।
ফারহানা সুস্মিতা বলেন আরেক স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, ‘আমি মূলত সিনেমা বানাতে চাই। তার আগে চিত্রনাট্য। এ জন্যই ব্রাইন পিকেলসের এ প্রশিক্ষণে আসা। আমার বেশির ভাগ লেখা ভ্রূণ অবস্থায় অলস পড়ে থাকত। তবে এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে মনে হচ্ছে সেগুলো প্রাণ পাবে।’
কর্মশালা নিয়ে এ রকম নানা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন শেহরীন, আতাউর খান, আহমেদ ইব্রাহিম, সারওয়াত সামীন, হাসান, আমীন, সাবিদিন ইব্রাহিম, আল আমীন। এঁরা সবাই সাহিত্য জগতের ভোরের সূর্য। তাই তাঁদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ক্রিস্টোফার মেরিলের উচ্ছ্বাসও কম নয়। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রাম’-এর পরিচালক মেরিল নিজেও একজন কবি। মেরিল বলেন, ‘আমার বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। সেখানে ২৫ জন সৃজনশীল লেখকের চার বছর মেয়াদি স্নাতক ও এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই কর্মশালায় আগতদের অনেকের মধ্যেই আমি সেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
কর্মশালা শেষে সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ব্রাইন পিকেলসের প্রকল্প পরিচালক সাবরিনা বিনতে মাসুদ বলেন, ‘ ইংরেজি ভাষায় যারা লেখে, তাদের সৃজনশীল চর্চার ক্ষেত্রে উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায় না। আমরা চাই তারা ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরুক।’
ব্রাইন পিকেলসের ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং অ্যান্ড পারফরমেন্স লিটেরেচার’ শীর্ষক কর্মশালাটি ১৬ থেকে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮ জুন ঢাকার বারিধারার মার্কিন সেন্টারের মিলনায়তনে ছিল এর শেষ দিনের আয়োজন। আমেরিকান সেন্টারের সহায়তায় এই প্রথম দুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বসেছিল।
আতাউল্লাহ নুরীর পড়া শেষ হলে নাভিদ প্রশ্ন করে, ‘লেখাটা ইংরেজিতে, কিন্তু তুমি এর মধ্যে “ছোডো ছোডো ঢেউ তুলি” এ গানটার ব্যবহার কেন করলে?’ উত্তর দিলেন ক্রিস্টোফার মেরিল। মার্কিন এই কবি এ কর্মশালার প্রশিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এ গানটার মাধ্যমে আমি যেন এর সুর শুনতে পাচ্ছি। তোমরা লিখবে ইংরেজিতে। কিন্তু এর মধ্যে যেন দেশীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য থাকে।’
কথা হলো কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজনের সঙ্গে। ইদরাক উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় বছর ধরে আমি লেখার চেষ্টা করছি। তবে কর্মশালায় এসে লেখার অনেক আইডিয়া পাচ্ছি।’ নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাভিদ হায়দার একমত হন।
ফারহানা সুস্মিতা বলেন আরেক স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, ‘আমি মূলত সিনেমা বানাতে চাই। তার আগে চিত্রনাট্য। এ জন্যই ব্রাইন পিকেলসের এ প্রশিক্ষণে আসা। আমার বেশির ভাগ লেখা ভ্রূণ অবস্থায় অলস পড়ে থাকত। তবে এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে মনে হচ্ছে সেগুলো প্রাণ পাবে।’
কর্মশালা নিয়ে এ রকম নানা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন শেহরীন, আতাউর খান, আহমেদ ইব্রাহিম, সারওয়াত সামীন, হাসান, আমীন, সাবিদিন ইব্রাহিম, আল আমীন। এঁরা সবাই সাহিত্য জগতের ভোরের সূর্য। তাই তাঁদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ক্রিস্টোফার মেরিলের উচ্ছ্বাসও কম নয়। আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্টারন্যাশনাল রাইটিং প্রোগ্রাম’-এর পরিচালক মেরিল নিজেও একজন কবি। মেরিল বলেন, ‘আমার বিশ্ববিদ্যালয় একটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। সেখানে ২৫ জন সৃজনশীল লেখকের চার বছর মেয়াদি স্নাতক ও এক বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই কর্মশালায় আগতদের অনেকের মধ্যেই আমি সেই সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।’
কর্মশালা শেষে সবাইকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ব্রাইন পিকেলসের প্রকল্প পরিচালক সাবরিনা বিনতে মাসুদ বলেন, ‘ ইংরেজি ভাষায় যারা লেখে, তাদের সৃজনশীল চর্চার ক্ষেত্রে উপস্থিতি খুব একটা দেখা যায় না। আমরা চাই তারা ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরুক।’
No comments