সবুজ স্বপ্নের খোঁজে by কিঙ্কর আহ্সান
নেপালের ত্রিভুবন এয়ারপোর্টে নেমেই মনটা ভরে যায় মাহমুদুল হাসানের। ঘরের পাশের দেশ নেপালে প্রায় তিন মাস তাকে থাকতে হবে এখানে। নিজের দেশ ছেড়ে এতগুলো দিন কখনো থাকা হয়নি। নেপালের পথে পা রাখতে না রাখতেই দেশের কথা মনে পড়ে যায় তার।
সঙ্গী সেঁজুতি রহমান ও অনিক রহমানকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলের দিকে পা বাড়ান মাহমুদুল হাসান।
কাঠমান্ডুতে তখন দুপুর। মেঘমুক্ত আকাশ। ভরদুপুরেও কেন জানি একটু শীত শীত ভাব চারদিকে। বাংলাদেশের এই তিন মেধাবী শিক্ষার্থী ‘অ্যাক্টিভিস্তা বাংলাদেশ’ থেকে বৃত্তি পেয়ে ছয়টি দেশের ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে পেয়েছে নিজেদের অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বদানের গুণাবলি যাচাই করার সুযোগ। প্রায় মাস ছয়েক আগের এক দুপুরে নেপালের বিমানবন্দরে নেমে যাত্রার শুরুতে যে মন খারাপ আর কাজ নিয়ে সংশয় তিন বন্ধুর ছিল, কাজ শুরু করার পর তাদের সে অনুভূতি বদলে যেতে সময় লাগেনি খুব একটা। নতুন বন্ধুদের নিয়ে নতুন জায়গায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে দারুণ আনন্দে কেটেছে তাদের সময়গুলো। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া তাদের এ তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে এসে তারা জানায় তাদের ভয়, দুঃখ, আনন্দ আর অভিজ্ঞতার কথা।
প্রতিবছর মেধাবী তরুণেরা অ্যাকশন এইডের আওতায় অ্যাক্টিভিস্তা থেকে বৃত্তি পেয়ে নেপাল ও ডেনমার্কে যাওয়ার সুযোগ পায়। সেখানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি, সমস্যা ও সমাধানের উপায় এবং তরুণদের নেতৃত্বদানের গুণাবলি জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করে। এ বছর বৃত্তি পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সেঁজুতি রহমান এবং এআইইউবির ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থী অনিক রহমান। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ডেনমার্কের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে আড়াই মাসের কোর্সে অংশ নেয়। প্রথম দুই মাস ১৫ দিনে তাদের যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তা বাস্তবজীবনে কাজে লাগানোর জন্য পরের ১৫ দিন তারা ঘুরে বেড়ায় নেপালের বিভিন্ন জায়গায়।
‘তিন মাস নেপালে থেকে অনেক কিছু শিখেছি। পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য কী কী করা উচিত জানতে পেরেছি তা। নিজের অভিজ্ঞতাকে দেশের ভালোর জন্য এখন কাজে লাগাব, এটাই আমার ইচ্ছা।’ নেপাল থেকে ফিরে নিজের স্বপ্ন আর ইচ্ছার কথা এভাবেই জানালেন সেঁজুতি রহমান।
সবাই একত্র হয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে গেলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব, এমন ভাবনা এবং বিশ্বাস থেকেই তরুণদের কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়ানোর জন্য করা হয় এমন আয়োজন। শুধু চারপাশের মানুষ নয়, পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য গাছপালার যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটি নিয়েও ভাবা উচিত সবার। অ্যাক্টিভিস্তার এবারের আয়োজনের নাম ছিল ‘সবুজ স্বপ্ন’। সেই স্বপ্ন থেকেই তারা বলে, আশাবাদী হতে হবে তরুণদের। পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার জন্য বিভেদ ভুলে সব দেশের তরুণদের পাশাপাশি থেকে কাজ করতে হবে। সব দেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে সবার সামনে। বুঝতে হবে সাধারণ মানুষের দুঃখ, কষ্টগুলো। ক্ষুধা, দারিদ্য আর মানুষের প্রতি মানুষের বৈষম্য দূর করতে পারলেই সুন্দর হয়ে উঠবে পৃথিবীটা। দেরি না করে এখনই এগিয়ে আসা উচিত তরুণদের। আর তাই এ প্রশিক্ষণ দিয়েছে তরুণদের দায়িত্বগুলো নিয়ে সচেতন হওয়ার সুযোগ এবং কাজ করার তাগিদ। অ্যাক্টিভিস্তার এই আয়োজনটি তরুণদের আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করার সাহস জোগাচ্ছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ সমস্যাই মানুষের সৃষ্টি, এগুলোর সমাধানও তাই মানুষের দ্বারা সম্ভব। তিন শিক্ষার্থীর একজন অনিক রহমান বলেন, ‘আমাদের একে অপরকে জানতে হবে। বুঝতে চেষ্টা করতে হবে নিজেদের সমস্যাগুলো। আর নিজেদের সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে নিজেদেরই। এমনটা হলেই বদলাবে পৃথিবী।’ অনিকের মতো করেই ভাবতে হবে সব তরুণের। আর সেটা সম্ভব হলে বলে দেওয়া যায়, অচিরেই পূরণ হবে পৃথিবীটাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার স্বপ্নটা। নিশ্চিত।
কাঠমান্ডুতে তখন দুপুর। মেঘমুক্ত আকাশ। ভরদুপুরেও কেন জানি একটু শীত শীত ভাব চারদিকে। বাংলাদেশের এই তিন মেধাবী শিক্ষার্থী ‘অ্যাক্টিভিস্তা বাংলাদেশ’ থেকে বৃত্তি পেয়ে ছয়টি দেশের ২০ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে পেয়েছে নিজেদের অভিজ্ঞতা, সৃজনশীলতা ও নেতৃত্বদানের গুণাবলি যাচাই করার সুযোগ। প্রায় মাস ছয়েক আগের এক দুপুরে নেপালের বিমানবন্দরে নেমে যাত্রার শুরুতে যে মন খারাপ আর কাজ নিয়ে সংশয় তিন বন্ধুর ছিল, কাজ শুরু করার পর তাদের সে অনুভূতি বদলে যেতে সময় লাগেনি খুব একটা। নতুন বন্ধুদের নিয়ে নতুন জায়গায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে দারুণ আনন্দে কেটেছে তাদের সময়গুলো। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া তাদের এ তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষ করে বাংলাদেশে এসে তারা জানায় তাদের ভয়, দুঃখ, আনন্দ আর অভিজ্ঞতার কথা।
প্রতিবছর মেধাবী তরুণেরা অ্যাকশন এইডের আওতায় অ্যাক্টিভিস্তা থেকে বৃত্তি পেয়ে নেপাল ও ডেনমার্কে যাওয়ার সুযোগ পায়। সেখানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি, সমস্যা ও সমাধানের উপায় এবং তরুণদের নেতৃত্বদানের গুণাবলি জাগিয়ে তোলার জন্য কাজ করে। এ বছর বৃত্তি পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সেঁজুতি রহমান এবং এআইইউবির ব্যবসায় প্রশাসনের শিক্ষার্থী অনিক রহমান। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও ডেনমার্কের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে আড়াই মাসের কোর্সে অংশ নেয়। প্রথম দুই মাস ১৫ দিনে তাদের যেসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তা বাস্তবজীবনে কাজে লাগানোর জন্য পরের ১৫ দিন তারা ঘুরে বেড়ায় নেপালের বিভিন্ন জায়গায়।
‘তিন মাস নেপালে থেকে অনেক কিছু শিখেছি। পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলার জন্য কী কী করা উচিত জানতে পেরেছি তা। নিজের অভিজ্ঞতাকে দেশের ভালোর জন্য এখন কাজে লাগাব, এটাই আমার ইচ্ছা।’ নেপাল থেকে ফিরে নিজের স্বপ্ন আর ইচ্ছার কথা এভাবেই জানালেন সেঁজুতি রহমান।
সবাই একত্র হয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে গেলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব, এমন ভাবনা এবং বিশ্বাস থেকেই তরুণদের কাজের প্রতি উৎসাহ বাড়ানোর জন্য করা হয় এমন আয়োজন। শুধু চারপাশের মানুষ নয়, পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য গাছপালার যত্ন নেওয়ার ব্যাপারটি নিয়েও ভাবা উচিত সবার। অ্যাক্টিভিস্তার এবারের আয়োজনের নাম ছিল ‘সবুজ স্বপ্ন’। সেই স্বপ্ন থেকেই তারা বলে, আশাবাদী হতে হবে তরুণদের। পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার জন্য বিভেদ ভুলে সব দেশের তরুণদের পাশাপাশি থেকে কাজ করতে হবে। সব দেশের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজ দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে সবার সামনে। বুঝতে হবে সাধারণ মানুষের দুঃখ, কষ্টগুলো। ক্ষুধা, দারিদ্য আর মানুষের প্রতি মানুষের বৈষম্য দূর করতে পারলেই সুন্দর হয়ে উঠবে পৃথিবীটা। দেরি না করে এখনই এগিয়ে আসা উচিত তরুণদের। আর তাই এ প্রশিক্ষণ দিয়েছে তরুণদের দায়িত্বগুলো নিয়ে সচেতন হওয়ার সুযোগ এবং কাজ করার তাগিদ। অ্যাক্টিভিস্তার এই আয়োজনটি তরুণদের আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রম করার সাহস জোগাচ্ছে।
পৃথিবীর বেশির ভাগ সমস্যাই মানুষের সৃষ্টি, এগুলোর সমাধানও তাই মানুষের দ্বারা সম্ভব। তিন শিক্ষার্থীর একজন অনিক রহমান বলেন, ‘আমাদের একে অপরকে জানতে হবে। বুঝতে চেষ্টা করতে হবে নিজেদের সমস্যাগুলো। আর নিজেদের সৃষ্ট সমস্যাগুলো সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে নিজেদেরই। এমনটা হলেই বদলাবে পৃথিবী।’ অনিকের মতো করেই ভাবতে হবে সব তরুণের। আর সেটা সম্ভব হলে বলে দেওয়া যায়, অচিরেই পূরণ হবে পৃথিবীটাকে সুন্দর করে গড়ে তোলার স্বপ্নটা। নিশ্চিত।
No comments