খেলাপিদের ছাড় দেওয়া চলবে না-খেলাপি ঋণ
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত রোববার জাতীয় সংসদে দেশে ঋণখেলাপির যে হিসাব দিয়েছেন, তা উদ্বেগজনক। ঋণ আদায়ে সরকার ও ব্যাংকগুলোর নানামুখী তৎপরতা সত্ত্বেও এক লাখ ২২ হাজার ঋণখেলাপি থাকা অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত।
অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ঋণখেলাপি আছেন বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকে, ২৯ হাজার ২০৩ জন। এরপর যথাক্রমে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ২০ হাজার পাঁচজন, অগ্রণী ব্যাংকে সাত হাজার ৯২৩ জন, সোনালী ব্যাংকে সাত হাজার ৭৮১ জন, জনতা ব্যাংকে চার হাজার ৯১৪ জন, রূপালী ব্যাংকে তিন হাজার ৯১৪, কৃষি ব্যাংকে সাত হাজার ৭৪ জন ঋণখেলাপি।
ঋণখেলাপির সংখ্যা বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের বেশি হলেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্র্যাক ব্যাংক সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরই ঋণ দিয়ে থাকে, যার পরিমাণ কম। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ভারী শিল্প ও বড় উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে থাকে। দেশে বর্তমানে যে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আছে, তার বেশির ভাগই রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকের।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি চলে আসছে বহু বছর আগে থেকে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যাঁরা বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন, তাঁরা সেই ঋণ ফেরত দেওয়ারও প্রয়োজনবোধ করেননি। আর এ জন্য তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়নি, বরং প্রভাবশালীদের হাত করে ঋণ বারবার পুনঃ তফসিল করিয়ে নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, দুবার ঋণ পুনঃ তফসিল করার বিধান থাকলেও তাঁরা সর্বোচ্চ ১২ বার পর্যন্ত করিয়ে নিয়েছেন। ঋণ পরিশোধ ঠেকিয়ে রাখতে তাঁরা উচ্চ আদালতকেও ব্যবহার করে থাকেন।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেলে ব্যাংকিং-ব্যবস্থায় যেমন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তেমনি দেখা দেয় তারুল্যসংকট। ফলে ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারে না। আমদানি পণ্যের এলসি খুলতেও ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়। গত দুই-আড়াই বছরে সৃষ্ট খেলাপি ঋণের একটি বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হয়েছে। বাজার পতনের কারণে সেই ঋণও শোধ হচ্ছে না।
অতএব সরকারি, বেসরকারি-নির্বিশেষে সব ব্যাংককে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকতে হবে। এক খাতে ঋণ নিয়ে যাতে ঋণগ্রহীতারা অন্য খাতে বিনিয়োগ করতে না পারে, সে ব্যাপারেও চাই নিবিড় তদারকি। এর পাশাপাশি ব্যবসা বাড়াতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ দেওয়ার জন্য যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে, তা-ও বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণ নিয়ে বিচারাধীন ৩২ হাজার মামলাও স্বাভাবিক বলে প্রতীয়মান হয় না। কোনো ঋণখেলাপি যাতে আদালতে মামলা ঠুকে ঋণ পরিশোধ ঠেকিয়ে না রাখতে পারেন, সে জন্য দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়াতে হবে অর্থঋণ আদালতের এবং বিচারকের সংখ্যাও।
ঋণখেলাপির সংখ্যা বেসরকারি ব্র্যাক ব্যাংকের বেশি হলেও খেলাপি ঋণের পরিমাণ যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেই বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ব্র্যাক ব্যাংক সাধারণত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদেরই ঋণ দিয়ে থাকে, যার পরিমাণ কম। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ভারী শিল্প ও বড় উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে থাকে। দেশে বর্তমানে যে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আছে, তার বেশির ভাগই রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ব্যাংকের।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি চলে আসছে বহু বছর আগে থেকে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যাঁরা বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন, তাঁরা সেই ঋণ ফেরত দেওয়ারও প্রয়োজনবোধ করেননি। আর এ জন্য তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়নি, বরং প্রভাবশালীদের হাত করে ঋণ বারবার পুনঃ তফসিল করিয়ে নিয়েছেন। আইন অনুযায়ী, দুবার ঋণ পুনঃ তফসিল করার বিধান থাকলেও তাঁরা সর্বোচ্চ ১২ বার পর্যন্ত করিয়ে নিয়েছেন। ঋণ পরিশোধ ঠেকিয়ে রাখতে তাঁরা উচ্চ আদালতকেও ব্যবহার করে থাকেন।
খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেলে ব্যাংকিং-ব্যবস্থায় যেমন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়, তেমনি দেখা দেয় তারুল্যসংকট। ফলে ব্যাংকগুলো নতুন ঋণ দিতে পারে না। আমদানি পণ্যের এলসি খুলতেও ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হয়। গত দুই-আড়াই বছরে সৃষ্ট খেলাপি ঋণের একটি বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ হয়েছে। বাজার পতনের কারণে সেই ঋণও শোধ হচ্ছে না।
অতএব সরকারি, বেসরকারি-নির্বিশেষে সব ব্যাংককে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক থাকতে হবে। এক খাতে ঋণ নিয়ে যাতে ঋণগ্রহীতারা অন্য খাতে বিনিয়োগ করতে না পারে, সে ব্যাপারেও চাই নিবিড় তদারকি। এর পাশাপাশি ব্যবসা বাড়াতে ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঋণ দেওয়ার জন্য যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে, তা-ও বন্ধ করতে হবে। খেলাপি ঋণ নিয়ে বিচারাধীন ৩২ হাজার মামলাও স্বাভাবিক বলে প্রতীয়মান হয় না। কোনো ঋণখেলাপি যাতে আদালতে মামলা ঠুকে ঋণ পরিশোধ ঠেকিয়ে না রাখতে পারেন, সে জন্য দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়াতে হবে অর্থঋণ আদালতের এবং বিচারকের সংখ্যাও।
No comments