হিলারির সফর-পরামর্শ বন্ধু না প্রভুর? by ইসমাইল হোসেন
হিলারির সফরের দু'দিন আগেও বাংলাদেশের অবস্থা ছিল অগি্নকুণ্ডের মতো। সরকার ও বিরোধী দল মারমুখী অবস্থানে। দেশবাসীর হাজার আকুতি-মিনতিতে বরফ গলল না_ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো না। হিলারি যেন আমাদের রাজনীতিকদের মহাপ্রভু।
যেই না হিলারি সংলাপের তাগিদ দিয়ে বললেন সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে_ না হলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে, অমনি সব চুপ
এ মাসের গোড়াতে জাপানি উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুয়া ওকাদা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় এ সফর গুরুত্বের দিক থেকে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। পশ্চিমা ধনবাদী দেশগুলো এখনও বিশ্বমন্দার জ্বরে আক্রান্ত। তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মন্দা কাটিয়ে ওঠার এখন একমাত্র উর্বর ক্ষেত্র এশিয়া অঞ্চল। এ অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের তার ভূখণ্ডের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকা প্রাপ্তি, এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, জ্বালানি সম্ভাবনা তথা গ্যাস, কয়লা সম্পদ আন্তর্জাতিক শোষণ-বিনিয়োগের এক নতুন ক্ষেত্র হিসেবে সাম্রাজ্যবাদীরা চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে দেশের পূর্বাপর ক্ষমতাসীন সরকারের মাধ্যমে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া বা সরকারগুলোর দেয় অঙ্গীকার ভঙ্গ করার কারণে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এখানে একটা ভালো তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও চালাতে পারে। এমন হতে পারে যে তাদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী কৃতকর্মের দায় একক কোনো সরকার নিতে চাইছে না, তাই সব দলের (সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী) সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন বা অন্য কোনো আদলে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তারা। যার দায় সবার ওপর বর্তাবে, যাতে এক ঢিলে দুই পাখি মরে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, আবার তাদের উদ্দেশ্যও সফল হবে। তাদের ভাবনা তারা ভাবতে পারে; কিন্তু আমাদের করণীয় কাজ কি আমরা করতে পারছি?
হিলারির সফরের দু'দিন আগেও বাংলাদেশের অবস্থা ছিল অগি্নকুণ্ডের মতো। সরকার ও বিরোধী দল মারমুখী অবস্থানে। দেশবাসীর হাজার আকুতি-মিনতিতে বরফ গলল না_ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো না। হিলারি যেন আমাদের রাজনীতিকদের মহাপ্রভু। যেই না হিলারি সংলাপের তাগিদ দিয়ে বললেন সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে_ না হলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে, অমনি সব চুপ। হতে পারে এক দলের ক্ষমতা হারানোর ভয়, অন্য দলের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা পূরণের ভাবনা_ এর অন্তর্নিহিত দর্শন হিসেবে কাজ করেছে। হায়রে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব! আমাদের ভালো-মন্দ নিয়ে অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না এমনটি ভাবা সঙ্গত হবে না। তবে প্রশ্ন হলো, কথাটা বন্ধুসুলভ হবে, না প্রভুসুলভ হবে। যদি প্রভুসুলভ বা নির্দেশমূলক হয় এবং সেটা যদি আমাদের নেতৃত্বকে ক্রীড়নকে পরিণত করে, তা হলে অবশ্যই সেটা আমরা মেনে নেব না। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের নীতি হলো_ আমার সম্পদ আমার, তোমারটাও আমার। আর রাজনীতিতে তাদের নীতি হলো_ চোরকে বলে চুরি কর, বাড়িওয়ালাকে বলে ধর ধর। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের অনুগত সরকারগুলোর কাছ থেকে তাদের স্বার্থ বুঝে নিতে বদ্ধপরিকর। আমাদের দেশের অতীত ঘটনাপ্রবাহ দেখলে এটা পরিষ্কার হবে, এখানে তাদের কাছে অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ সরকারগুলোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কৃত্রিম সংকট-সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা এমনকি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পেছনে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তাও দিয়েছে তারা। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে হুমকির মধ্যে ফেলে সরকার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কূটনীতির পরিভাষায় এই শক্তিকে অদৃশ্য সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সরকার পরিচালনার মূল কেন্দ্রে তাদের এদেশীয় এজেন্টরা সব ঘটনার নেপথ্য কুশীলব হিসেবে কাজ করে। এরা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা এখন অন্যরকম। মার্কিন ভাষ্য অনুযায়ী বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনকে কীভাবে মোকাবেলা করবে, এ অঞ্চলের কোন দেশকে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে এবং সমুদ্র অঞ্চল, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় ভারতের পর বাংলাদেশের গুরুত্ব এখন বিশেষ বিবেচনায় তারা নিচ্ছে। তা ছাড়া এ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণহীন জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে না পারার ধারাবাহিক চেষ্টা অব্যাহত রাখাও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এসব সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা বোঝাতে চায়, আলাপ-আলোচনা করে এমন নির্বাচন এখানে অনুষ্ঠিত হতে হবে যাতে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়ে সম্পূর্ণভাবে অনুগত একটা সরকার গঠিত হয়। সাম্রাজ্যবাদের অর্থে পুষ্ট ও লালিত কিছু দালাল বুদ্ধিজীবী, আমলা, এনজিও কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের মহাপ্রভুর নির্দেশিত পথে চলতে ও অন্যকে সবক দিতে আগ বাড়িয়ে কথা বলছে। তারা বলে এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কথা বলবে, এটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের মধ্যে যতই মতপার্থক্য থাকুক না কেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু ও উন্নয়নের প্রশ্নে কোনোভাবেই তাদের দাসানুদাসে পরিণত হওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্ভাবনার সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে সমানভাবে অংশীদার হতে হবে। কোনো দেশের সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব_ এই পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করে আমাদের জাতীয় স্বার্থরক্ষায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শী ও আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রতি দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে।
ইসমাইল হোসেন :রাজনীতিবিদ
এ মাসের গোড়াতে জাপানি উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুয়া ওকাদা, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় এ সফর গুরুত্বের দিক থেকে ভিন্নমাত্রা পেয়েছে। পশ্চিমা ধনবাদী দেশগুলো এখনও বিশ্বমন্দার জ্বরে আক্রান্ত। তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জন ও মন্দা কাটিয়ে ওঠার এখন একমাত্র উর্বর ক্ষেত্র এশিয়া অঞ্চল। এ অঞ্চলে, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের তার ভূখণ্ডের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্র এলাকা প্রাপ্তি, এখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ, জ্বালানি সম্ভাবনা তথা গ্যাস, কয়লা সম্পদ আন্তর্জাতিক শোষণ-বিনিয়োগের এক নতুন ক্ষেত্র হিসেবে সাম্রাজ্যবাদীরা চিহ্নিত করেছে। অন্যদিকে দেশের পূর্বাপর ক্ষমতাসীন সরকারের মাধ্যমে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া বা সরকারগুলোর দেয় অঙ্গীকার ভঙ্গ করার কারণে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এখানে একটা ভালো তাঁবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও চালাতে পারে। এমন হতে পারে যে তাদের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী কৃতকর্মের দায় একক কোনো সরকার নিতে চাইছে না, তাই সব দলের (সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী) সমন্বয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন বা অন্য কোনো আদলে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় তারা। যার দায় সবার ওপর বর্তাবে, যাতে এক ঢিলে দুই পাখি মরে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, আবার তাদের উদ্দেশ্যও সফল হবে। তাদের ভাবনা তারা ভাবতে পারে; কিন্তু আমাদের করণীয় কাজ কি আমরা করতে পারছি?
হিলারির সফরের দু'দিন আগেও বাংলাদেশের অবস্থা ছিল অগি্নকুণ্ডের মতো। সরকার ও বিরোধী দল মারমুখী অবস্থানে। দেশবাসীর হাজার আকুতি-মিনতিতে বরফ গলল না_ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলো না। হিলারি যেন আমাদের রাজনীতিকদের মহাপ্রভু। যেই না হিলারি সংলাপের তাগিদ দিয়ে বললেন সব দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে_ না হলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে, অমনি সব চুপ। হতে পারে এক দলের ক্ষমতা হারানোর ভয়, অন্য দলের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা পূরণের ভাবনা_ এর অন্তর্নিহিত দর্শন হিসেবে কাজ করেছে। হায়রে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব! আমাদের ভালো-মন্দ নিয়ে অন্য কেউ কথা বলতে পারবে না এমনটি ভাবা সঙ্গত হবে না। তবে প্রশ্ন হলো, কথাটা বন্ধুসুলভ হবে, না প্রভুসুলভ হবে। যদি প্রভুসুলভ বা নির্দেশমূলক হয় এবং সেটা যদি আমাদের নেতৃত্বকে ক্রীড়নকে পরিণত করে, তা হলে অবশ্যই সেটা আমরা মেনে নেব না। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, অর্থনীতি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের নীতি হলো_ আমার সম্পদ আমার, তোমারটাও আমার। আর রাজনীতিতে তাদের নীতি হলো_ চোরকে বলে চুরি কর, বাড়িওয়ালাকে বলে ধর ধর। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের অনুগত সরকারগুলোর কাছ থেকে তাদের স্বার্থ বুঝে নিতে বদ্ধপরিকর। আমাদের দেশের অতীত ঘটনাপ্রবাহ দেখলে এটা পরিষ্কার হবে, এখানে তাদের কাছে অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ সরকারগুলোকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কৃত্রিম সংকট-সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা এমনকি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পেছনে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তাও দিয়েছে তারা। সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাকে হুমকির মধ্যে ফেলে সরকার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কূটনীতির পরিভাষায় এই শক্তিকে অদৃশ্য সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সরকার পরিচালনার মূল কেন্দ্রে তাদের এদেশীয় এজেন্টরা সব ঘটনার নেপথ্য কুশীলব হিসেবে কাজ করে। এরা সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা এখন অন্যরকম। মার্কিন ভাষ্য অনুযায়ী বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি চীনকে কীভাবে মোকাবেলা করবে, এ অঞ্চলের কোন দেশকে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে এবং সমুদ্র অঞ্চল, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের নিয়ন্ত্রণ রক্ষায় ভারতের পর বাংলাদেশের গুরুত্ব এখন বিশেষ বিবেচনায় তারা নিচ্ছে। তা ছাড়া এ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণহীন জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে না পারার ধারাবাহিক চেষ্টা অব্যাহত রাখাও আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এসব সৃষ্ট পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে তারা বোঝাতে চায়, আলাপ-আলোচনা করে এমন নির্বাচন এখানে অনুষ্ঠিত হতে হবে যাতে তাদের মনোনীত ব্যক্তিদের নিয়ে সম্পূর্ণভাবে অনুগত একটা সরকার গঠিত হয়। সাম্রাজ্যবাদের অর্থে পুষ্ট ও লালিত কিছু দালাল বুদ্ধিজীবী, আমলা, এনজিও কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের মহাপ্রভুর নির্দেশিত পথে চলতে ও অন্যকে সবক দিতে আগ বাড়িয়ে কথা বলছে। তারা বলে এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কথা বলবে, এটা স্বাভাবিক। তবে আমাদের মধ্যে যতই মতপার্থক্য থাকুক না কেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ ইস্যু ও উন্নয়নের প্রশ্নে কোনোভাবেই তাদের দাসানুদাসে পরিণত হওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার সম্ভাবনার সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাইকে সমানভাবে অংশীদার হতে হবে। কোনো দেশের সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব_ এই পররাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় কৌশল গ্রহণ করে আমাদের জাতীয় স্বার্থরক্ষায় রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শী ও আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রতি দেশবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থন থাকবে।
ইসমাইল হোসেন :রাজনীতিবিদ
No comments