প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর-উন্নয়নের কৃতিত্ব নিয়ে দুদলের বাগ্যুদ্ধ by একরামুল হক
নগরের পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে বাগ্যুদ্ধে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। উন্নয়নের কৃতিত্ব নিয়ে চলছে এই বাগ্যুদ্ধ। ইতিমধ্যে দল দুটি এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনও করেছে।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতারা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতারা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর
মহাসমাবেশের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। বলেছেন, পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে ১০ লাখের বেশি জনসমাগম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন করেছেন। চট্টগ্রামকে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরের দিন শুক্রবার সকালে একই জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। বিএনপির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে প্রকল্পের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন, তা বিএনপির আমলে নেওয়া। নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প তাঁর সরকার করতে পারেনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরার অপচেষ্টা করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁর যা প্রাপ্য তাঁকে সেই কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের সরকারের আমলে করা প্রকল্পগুলোর কৃতিত্ব বিএনপি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। তাঁদের আমলের প্রকল্পগুলোর কৃতিত্ব আমরা নিতে চাই না। আমরা চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬-০১) মাঝামাঝিতে শুরু হয়। ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি যে আওয়ামী লীগ বাস্তবায়ন করেছে তা সবাই জানে। একইভাবে বন্দরের উড়ালসড়কের কাজ এই সরকার ক্ষমতা নেওয়ার এক বছর পর শুরু হয়। উড়ালসড়কের তহবিল গঠনসহ সবকিছু আমাদের সরকার করেছে। তবে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর কাজ বিএনপি শুরু করেছে। আমাদের আমলে নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব আমরা পুরোপুরি নিতে চাই না।’
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় ওয়াসার পানি শোধন প্রকল্পের বাস্তবায়নকাজ বর্তমান সরকার গত বছর শুরু করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের প্রকল্প পাকিস্তান আমলে নেওয়া হয়। কিন্তু শুরু তো করেছে আওয়ামী লীগ। একইভাবে অক্সিজেন-হাটহাজারী এবং বহদ্দারহাট-তৃতীয় সেতু পর্যন্ত সড়কের চার লেনের কাজ আওয়ামী লীগ শুরু করেছে।
তাঁরা জানান, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এভাবে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ আগে কখনো হয়নি। এই সরকারের আমলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, বিশেষ করে নগরের সরু রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার কাজ চলছে। এসব কথাই প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে উল্লেখ করেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী নতুন কিছু উন্নয়ন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনে চট্টগ্রামের জনগণ হতাশ হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের দিক নির্দেশনা দেননি। বরং উনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে গেছেন। আর যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন সেগুলোর বাস্তবায়ন কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। আবার কিছু প্রকল্প অনেক আগেই উদ্বোধন হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সেই অর্থে উন্নয়নের দিক থেকে চট্টগ্রাম অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার। আমার বলতে দ্বিধা নেই, চট্টগ্রামকে নিয়ে সবাই রাজনীতি করে। বড় বড় কথা বলে। কিন্তু কেউ চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক নয়। যেমন যোগাযোগ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম এখনো পিছিয়ে আছে। বড় অবকাঠামো এখানে গড়ে ওঠেনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা রাজনীতি নয়, সত্যিকার উন্নয়ন চাই।’
পরের দিন শুক্রবার সকালে একই জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। বিএনপির নেতারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে প্রকল্পের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেছেন, তা বিএনপির আমলে নেওয়া। নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্প তাঁর সরকার করতে পারেনি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজের কৃতিত্ব তুলে ধরার অপচেষ্টা করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যাঁর যা প্রাপ্য তাঁকে সেই কৃতিত্ব দিতে হবে। আমাদের সরকারের আমলে করা প্রকল্পগুলোর কৃতিত্ব বিএনপি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। তাঁদের আমলের প্রকল্পগুলোর কৃতিত্ব আমরা নিতে চাই না। আমরা চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়ন চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের (১৯৯৬-০১) মাঝামাঝিতে শুরু হয়। ৫৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পটি যে আওয়ামী লীগ বাস্তবায়ন করেছে তা সবাই জানে। একইভাবে বন্দরের উড়ালসড়কের কাজ এই সরকার ক্ষমতা নেওয়ার এক বছর পর শুরু হয়। উড়ালসড়কের তহবিল গঠনসহ সবকিছু আমাদের সরকার করেছে। তবে কর্ণফুলী তৃতীয় সেতুর কাজ বিএনপি শুরু করেছে। আমাদের আমলে নির্মাণকাজ শেষ হয়। সেতু নির্মাণের কৃতিত্ব আমরা পুরোপুরি নিতে চাই না।’
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় ওয়াসার পানি শোধন প্রকল্পের বাস্তবায়নকাজ বর্তমান সরকার গত বছর শুরু করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনের প্রকল্প পাকিস্তান আমলে নেওয়া হয়। কিন্তু শুরু তো করেছে আওয়ামী লীগ। একইভাবে অক্সিজেন-হাটহাজারী এবং বহদ্দারহাট-তৃতীয় সেতু পর্যন্ত সড়কের চার লেনের কাজ আওয়ামী লীগ শুরু করেছে।
তাঁরা জানান, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এভাবে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ আগে কখনো হয়নি। এই সরকারের আমলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, বিশেষ করে নগরের সরু রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার কাজ চলছে। এসব কথাই প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে উল্লেখ করেছেন।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম প্রধানমন্ত্রী নতুন কিছু উন্নয়ন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শুনে চট্টগ্রামের জনগণ হতাশ হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের দিক নির্দেশনা দেননি। বরং উনি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে গেছেন। আর যেসব উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন সেগুলোর বাস্তবায়ন কাজ অনেক আগেই শুরু হয়েছে। আবার কিছু প্রকল্প অনেক আগেই উদ্বোধন হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সেই অর্থে উন্নয়নের দিক থেকে চট্টগ্রাম অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার। আমার বলতে দ্বিধা নেই, চট্টগ্রামকে নিয়ে সবাই রাজনীতি করে। বড় বড় কথা বলে। কিন্তু কেউ চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে আন্তরিক নয়। যেমন যোগাযোগ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম এখনো পিছিয়ে আছে। বড় অবকাঠামো এখানে গড়ে ওঠেনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা রাজনীতি নয়, সত্যিকার উন্নয়ন চাই।’
No comments