সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে-এসইসির নতুন চেয়ারম্যান
পুঁজিবাজারে ধসের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে প্রথমে টালবাহানা ও লুকোচুরি, পরবর্তী সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ, এসইসির সদস্যদের পদত্যাগ করাতে গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যবহার—এমন নানা নাটকের পর শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসিতে একজন নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছে সরকার।
নানা বিতর্ক ও বিলম্ব হলেও এ নিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। নতুন চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার।
পুঁজিবাজারে ধস ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারের নানা তৎপরতা ও পদক্ষেপের বিষয়টি মূল্যায়নের দাবি রাখে। সামগ্রিকভাবে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে সরকার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনেকটাই অনাগ্রহী।
তদন্ত প্রতিবেদনে এসইসির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারকে অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম, এসইসি থেকে প্রত্যাহার করে পরবর্তী পদায়নের জন্য তাঁর চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এসইসির অন্য দুই সদস্যের ক্ষেত্রে। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁরা পদত্যাগ করেছেন বলা হলেও বাস্তবে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। অথচ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই দুজন সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। সদস্য ইয়াছিন আলী পুঁজিবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে গেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা যেভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করেছেন বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে; আমাদের প্রশ্ন, কার ইঙ্গিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটল?
পুঁজিবাজার থেকে যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিল, তারা যে এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করার ক্ষমতাও যে তাদের রয়েছে, সেটা স্পষ্ট। তা না হলে পুঁজিবাজার কারসাজির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্তে সহায়তাকারী সদস্য ইয়াছিন আলীর প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হবে কেন? এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের ভূমিকাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের কোনো অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল এর সঙ্গে জড়িত। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও পুঁজিবাজার এই স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা পরিচালিত হবে, না লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থে সুরক্ষিত হবে—সে সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে।
পুঁজিবাজারে ধস ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারের নানা তৎপরতা ও পদক্ষেপের বিষয়টি মূল্যায়নের দাবি রাখে। সামগ্রিকভাবে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে সরকার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনেকটাই অনাগ্রহী।
তদন্ত প্রতিবেদনে এসইসির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারকে অপসারণ ও তাঁর বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম, এসইসি থেকে প্রত্যাহার করে পরবর্তী পদায়নের জন্য তাঁর চাকরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এসইসির অন্য দুই সদস্যের ক্ষেত্রে। সরকারের ইচ্ছা অনুযায়ী তাঁরা পদত্যাগ করেছেন বলা হলেও বাস্তবে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। অথচ তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই দুজন সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। সদস্য ইয়াছিন আলী পুঁজিবাজার কারসাজির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরোধিতা করে গেছেন। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা যেভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁকে পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য করেছেন বলে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে; আমাদের প্রশ্ন, কার ইঙ্গিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটল?
পুঁজিবাজার থেকে যারা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিল, তারা যে এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের প্রভাবিত করার ক্ষমতাও যে তাদের রয়েছে, সেটা স্পষ্ট। তা না হলে পুঁজিবাজার কারসাজির ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তদন্তে সহায়তাকারী সদস্য ইয়াছিন আলীর প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হবে কেন? এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের ভূমিকাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। অভিযোগ রয়েছে, সরকারের কোনো অতি উৎসাহী ও স্বার্থান্বেষী মহল এর সঙ্গে জড়িত। অতীতের মতো ভবিষ্যতেও পুঁজিবাজার এই স্বার্থান্বেষী মহল দ্বারা পরিচালিত হবে, না লাখ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর স্বার্থে সুরক্ষিত হবে—সে সিদ্ধান্ত সরকারকেই নিতে হবে।
No comments