স্কুল ভবনে নিম্নমানের সামগ্রী-এত সাহস ঠিকাদারের!
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ চরকালকিনি হাজী এচহাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নির্মাণ কাজে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশের কঞ্চি ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সমকালে এ সংক্রান্ত যে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তাতে বলা হয়, নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা ইট নিম্নমানের। সিমেন্ট ব্যবহারও পরিমিত নয়।
নির্মাণাধীন ভবনটিতে ইতিমধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। সমকালের লোকালয় পাতায় রডের পরিবর্তে ব্যবহার করা বাঁশের ছবিও ছাপা হয়েছে। এ ভবনটি নির্মাণে ২৬ লাখ টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। ঠিকাদার কাজ শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করা হচ্ছিল। তাই বলে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার করার ঘটনা ঘটবে?
ছোট শিশুরা এ স্কুলে পড়াশোনা করে। যেভাবে ভবনটি গড়ে তোলা হচ্ছিল, তাতে এর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় তো থাকেই, এমনকি বড় ধরনের দুর্ঘটনারও শঙ্কা ছিল। উপজেলা প্রকৌশলী সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠবেই_ এতদিন কেন হস্তক্ষেপ করা হয়নি? সম্ভবত ঠিকাদারের পরিচয়ের মধ্যেই এর কারণ নিহিত। তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন বিশিষ্ট নেতা। অনিয়ম চলতে থাকলেও তাই অনেকে মুখ খুলতে পারছিলেন না। শাস্তি প্রদানের কথা তো আসছে পরে। তবে স্বস্তির কথা যে, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি স্কুল ভবনটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কাজ স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আমরা আশা করব, এরই ধারাবাহিকতায় কীভাবে ঠিকাদার এ কাজের বরাদ্দ পেলেন তার তদন্ত হবে। তিনি যদি সিডিউল অনুযায়ী কাজ সম্পন্নও করেন তাহলেও কেন রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার করে শিশুদের চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন, সেজন্য শাস্তি নিশ্চিত করা চাই। বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মনে হয়, শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ নয়, বরং ঠিকাদারদের ভালো রকমের লাভের ব্যবস্থা করে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। এ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে কবে, কেউ জানে না।
ছোট শিশুরা এ স্কুলে পড়াশোনা করে। যেভাবে ভবনটি গড়ে তোলা হচ্ছিল, তাতে এর স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় তো থাকেই, এমনকি বড় ধরনের দুর্ঘটনারও শঙ্কা ছিল। উপজেলা প্রকৌশলী সিডিউল অনুযায়ী নির্মাণ কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠবেই_ এতদিন কেন হস্তক্ষেপ করা হয়নি? সম্ভবত ঠিকাদারের পরিচয়ের মধ্যেই এর কারণ নিহিত। তিনি ক্ষমতাসীন দলের একজন বিশিষ্ট নেতা। অনিয়ম চলতে থাকলেও তাই অনেকে মুখ খুলতে পারছিলেন না। শাস্তি প্রদানের কথা তো আসছে পরে। তবে স্বস্তির কথা যে, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি স্কুল ভবনটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে কাজ স্থগিতের নির্দেশ প্রদান করেছেন। আমরা আশা করব, এরই ধারাবাহিকতায় কীভাবে ঠিকাদার এ কাজের বরাদ্দ পেলেন তার তদন্ত হবে। তিনি যদি সিডিউল অনুযায়ী কাজ সম্পন্নও করেন তাহলেও কেন রডের পরিবর্তে বাঁশের ব্যবহার করে শিশুদের চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছিলেন, সেজন্য শাস্তি নিশ্চিত করা চাই। বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে মনে হয়, শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত শ্রেণীকক্ষ নির্মাণ নয়, বরং ঠিকাদারদের ভালো রকমের লাভের ব্যবস্থা করে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। এ থেকে নিষ্কৃতি মিলবে কবে, কেউ জানে না।
No comments