যাত্রীসেবার মান বাড়িয়ে লাভজনক করা সম্ভব-রেলওয়ের কালো বিড়াল
আমাদের পরিবহন খাতে যেখানে সর্বত্র অনিয়ম ও অব্যবস্থা জেঁকে বসেছে, সেখানে ট্রেন চলাচলের সময়সূচি মোটামুটি ঠিক রাখতে পারা সাফল্য হিসেবেই বিবেচিত হবে। যেখানে ‘নয়টার গাড়ি কয়টায় ছাড়বে’ বলে যাত্রীদের মনে ক্ষোভ ছিল, সেখানে ৭২ দশমিক ৬৭ শতাংশ ট্রেনের সময়সূচি মেনে চলা উল্লেখযোগ্য উন্নতি বলেই প্রতীয়মান হয়।
পূর্বাঞ্চলে আন্তনগর ট্রেন সময় মেনে চলছে শতকরা ৭৫ ভাগ এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৯১ ভাগ। এক মাস আগেও যা ছিল যথাক্রমে ৬৭ ও ৮৪ শতাংশ। এ জন্য রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধন্যবাদ পেতে পারেন।
গত ৭ মার্চ প্রথম আলোতে ‘ট্রেনের সময়সূচি ঠিক থাকছে না’ শিরোনামে খবর ছাপা হওয়ার পরপরই রেলওয়ের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। তাঁরা দফায় দফায় বৈঠক করেন এবং মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পরিস্থিতির বেশ উন্নতি করতে পেরেছেন। ডিসেম্বর নাগাদ নতুন ইঞ্জিন ও বগি যোগ হলে ট্রেন চলাচল আরও নিয়মানুবর্তী করা যাবে বলে আশা করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় প্রমাণিত হলো, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে রেলওয়ের যাত্রীসেবার মান বাড়ানো সম্ভব। রেলমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই কালো বিড়াল খুঁজে বের করার ওয়াদা করেছিলেন। ট্রেনের সময়সূচি ঠিক করার মধ্য দিয়ে সেই যাত্রা শুরু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করি। এখন তাঁকে রেলওয়ের অন্যান্য সমস্যার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ট্রেনের সময়সূচি শতভাগ মেনে চলার ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন রেলওয়ে খাত অবহেলিত। এর পেছনে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের যেমন কারসাজি আছে, তেমনি আছে সরকারের উদাসীনতা। আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে বর্তমান সরকার এই পরিবহনটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এখন যা প্রয়োজন তা হলো একটি সুষ্ঠু ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে লোকসান কাটিয়ে রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, যার প্রথম ও প্রধান শর্ত যাত্রীদের সময়মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া।
গত ৭ মার্চ প্রথম আলোতে ‘ট্রেনের সময়সূচি ঠিক থাকছে না’ শিরোনামে খবর ছাপা হওয়ার পরপরই রেলওয়ের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। তাঁরা দফায় দফায় বৈঠক করেন এবং মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে পরিস্থিতির বেশ উন্নতি করতে পেরেছেন। ডিসেম্বর নাগাদ নতুন ইঞ্জিন ও বগি যোগ হলে ট্রেন চলাচল আরও নিয়মানুবর্তী করা যাবে বলে আশা করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
এ ঘটনায় প্রমাণিত হলো, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে রেলওয়ের যাত্রীসেবার মান বাড়ানো সম্ভব। রেলমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই কালো বিড়াল খুঁজে বের করার ওয়াদা করেছিলেন। ট্রেনের সময়সূচি ঠিক করার মধ্য দিয়ে সেই যাত্রা শুরু হয়েছে বলে আমরা ধারণা করি। এখন তাঁকে রেলওয়ের অন্যান্য সমস্যার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ট্রেনের সময়সূচি শতভাগ মেনে চলার ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা চিহ্নিত হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
সবচেয়ে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পরিবহন হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন রেলওয়ে খাত অবহেলিত। এর পেছনে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের যেমন কারসাজি আছে, তেমনি আছে সরকারের উদাসীনতা। আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে বর্তমান সরকার এই পরিবহনটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এখন যা প্রয়োজন তা হলো একটি সুষ্ঠু ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে লোকসান কাটিয়ে রেলওয়েকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, যার প্রথম ও প্রধান শর্ত যাত্রীদের সময়মতো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া।
No comments