সপ্তম স্বর্গে ফিল্যান্ডার by সিয়াম রহমান
মুষ্টিবদ্ধ হাত দুটো ছুড়ছেন আকাশের দিকে। তাঁর ছুটে যাওয়া শরীরী ভাষায় আক্রমণ, গলায় আস্ফাালন, চোখে হুঁশিয়ারি—ঘুমের ঘোরে এমন কিছুই ঘুরপাক খায় ফাস্ট বোলারদের মানসপটে। কিন্তু ইতিহাস গড়েও আবেগে ভাসলেন না ফিল্যান্ডার। আর দশজন ফাস্ট বোলারের মতো আক্রমণাত্মক মেজাজ আছে তাঁরও।
তবে ফিল্যান্ডারের মাঝে আবেগের সেলসিয়াস খুব বেশি চড়ে যেতে দেখা যায়নি কখনো। অভিষেক টেস্টে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েও না, সপ্তম টেস্টে উইকেটের ফিফটি করেও না।
গত সপ্তাহে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিউজিল্যান্ডের ডগ ব্রেসওয়েলকে বোল্ড করে পূরণ করেছিলেন ঐতিহাসিক ‘ফিফটি’। ২৬ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারকে এই কীর্তি নিয়ে গেছে সপ্তম স্বর্গে। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম (যৌথভাবে) বোলার হিসেবে যে সপ্তম টেস্টেই দেখা পেয়ে গেলেন ৫০তম উইকেটের। তা করে ফিরিয়ে এনেছেন ১০০ বছরেরও আগের স্মৃতি। সর্বশেষ ১৮৯৬ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার টম রিচার্ডসন। ১৮৯৩ সালে অভিষেকের পর রিচার্ডসনও ৫০ উইকেট পেয়ে গিয়েছিলেন সপ্তম টেস্টেই। সময় লেগেছিল ২ বছর ৩০৩ দিন।
সময়ের হিসাবে ফিল্যান্ডার আর রিচার্ডসনকেও ছাড়িয়ে দ্রুততম ৫০ উইকেটের রেকর্ডটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াম পেসার চার্লি টার্নারের। ১৮৮৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখা টার্নার এক বছর ২১৫ দিনে ছুঁয়ে ফেলেন এই মাইলফলক। টেস্টের সংখ্যায় রিচার্ডসনের সমান আর টার্নারের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি লাগলেও সময়ের হিসাবে এই দুজনকেই পেছনে ফেলেছেন ফিল্যান্ডার। তাঁর উইকেটের ফিফটি হয়েছে অভিষেকের পর মাত্র ১৩৫ দিনে! এ ক্ষেত্রে ফিল্যান্ডারের চেয়ে এগিয়ে শুধু অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার রডনি হগ। অভিষেকের ১১৩ দিন পরই এই কীর্তি হগের, অষ্টম টেস্টে। অর্থাৎ, ম্যাচ বা সময় দুই ক্ষেত্রেই ৫০ উইকেট নেওয়ায় দ্বিতীয় দ্রুততম ফিল্যান্ডার। সত্যিই বিস্ময়, অপার বিস্ময় হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হলো এই পেসারের।
এমন একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২০০৭ সালে অভিষেক ওয়ানডেতেও। ‘পুঁচকে’ প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২২তম জন্মদিনে মাঠে নামা ফিল্যান্ডার নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। জন্মদিনের উপহার হিসেবে পেতে পারতেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ রানে জিতলেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে পুরস্কারটা পেয়ে যান আয়ারল্যান্ডের অ্যালেক্স কুসাক। ম্যাচসেরা না হলেও প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে আগমনী বার্তাটা শুনিয়ে রেখেছিলেন তখনই।
সম্ভাবনার সেই কুঁড়িটা ফুল হয়ে ফোটে গত বছর কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার ‘পাগুলে’ টেস্টে দ্যুতি ছড়িয়ে। গ্রায়েম স্মিথের দল ৯৬ রানে গুটিয়ে গেলেও নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্যান্ডারের তোপে ৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া! ১৮৯৬ সালের পর টেস্টে এটাই ছিল অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অভিষিক্ত ফিল্যান্ডারই। থেমে যাননি সেখানেই। জোহানেসবার্গে পরের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট। সিরিজে ১৩.৯২ গড়ে ১৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে আরও জ্বলজ্বলে। দুই ইনিংসেই সমান ৫ উইকেট নিয়ে গড়েন নতুন ইতিহাস। এর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টের প্রতিটিতেই ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল মাত্র চারজনের।
প্রভাতের সূর্য সব সময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। ফিল্যান্ডারের ক্ষেত্রে এমন কিছু বলতে হয় কি না, কে জানে! তবে সেটি ভবিষ্যতের কথা। আপাতত প্রথম ৭ টেস্টে ১৪.১৫ গড়ে ৫১ উইকেট পাওয়ায় ক্রিকেট আকাশে নতুন এক তারা বলেই মানতে হচ্ছে ভারনন ফিল্যান্ডারকে।
গত সপ্তাহে ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিউজিল্যান্ডের ডগ ব্রেসওয়েলকে বোল্ড করে পূরণ করেছিলেন ঐতিহাসিক ‘ফিফটি’। ২৬ বছর বয়সী দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারকে এই কীর্তি নিয়ে গেছে সপ্তম স্বর্গে। টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম (যৌথভাবে) বোলার হিসেবে যে সপ্তম টেস্টেই দেখা পেয়ে গেলেন ৫০তম উইকেটের। তা করে ফিরিয়ে এনেছেন ১০০ বছরেরও আগের স্মৃতি। সর্বশেষ ১৮৯৬ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার টম রিচার্ডসন। ১৮৯৩ সালে অভিষেকের পর রিচার্ডসনও ৫০ উইকেট পেয়ে গিয়েছিলেন সপ্তম টেস্টেই। সময় লেগেছিল ২ বছর ৩০৩ দিন।
সময়ের হিসাবে ফিল্যান্ডার আর রিচার্ডসনকেও ছাড়িয়ে দ্রুততম ৫০ উইকেটের রেকর্ডটা অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াম পেসার চার্লি টার্নারের। ১৮৮৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখা টার্নার এক বছর ২১৫ দিনে ছুঁয়ে ফেলেন এই মাইলফলক। টেস্টের সংখ্যায় রিচার্ডসনের সমান আর টার্নারের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি লাগলেও সময়ের হিসাবে এই দুজনকেই পেছনে ফেলেছেন ফিল্যান্ডার। তাঁর উইকেটের ফিফটি হয়েছে অভিষেকের পর মাত্র ১৩৫ দিনে! এ ক্ষেত্রে ফিল্যান্ডারের চেয়ে এগিয়ে শুধু অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার রডনি হগ। অভিষেকের ১১৩ দিন পরই এই কীর্তি হগের, অষ্টম টেস্টে। অর্থাৎ, ম্যাচ বা সময় দুই ক্ষেত্রেই ৫০ উইকেট নেওয়ায় দ্বিতীয় দ্রুততম ফিল্যান্ডার। সত্যিই বিস্ময়, অপার বিস্ময় হয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু হলো এই পেসারের।
এমন একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ২০০৭ সালে অভিষেক ওয়ানডেতেও। ‘পুঁচকে’ প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২২তম জন্মদিনে মাঠে নামা ফিল্যান্ডার নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। জন্মদিনের উপহার হিসেবে পেতে পারতেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২ রানে জিতলেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে পুরস্কারটা পেয়ে যান আয়ারল্যান্ডের অ্যালেক্স কুসাক। ম্যাচসেরা না হলেও প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে আগমনী বার্তাটা শুনিয়ে রেখেছিলেন তখনই।
সম্ভাবনার সেই কুঁড়িটা ফুল হয়ে ফোটে গত বছর কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার ‘পাগুলে’ টেস্টে দ্যুতি ছড়িয়ে। গ্রায়েম স্মিথের দল ৯৬ রানে গুটিয়ে গেলেও নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্যান্ডারের তোপে ৪৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া! ১৮৯৬ সালের পর টেস্টে এটাই ছিল অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন স্কোর। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন অভিষিক্ত ফিল্যান্ডারই। থেমে যাননি সেখানেই। জোহানেসবার্গে পরের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট। সিরিজে ১৩.৯২ গড়ে ১৪ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য সিরিজ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে আরও জ্বলজ্বলে। দুই ইনিংসেই সমান ৫ উইকেট নিয়ে গড়েন নতুন ইতিহাস। এর আগে ক্যারিয়ারের প্রথম তিন টেস্টের প্রতিটিতেই ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল মাত্র চারজনের।
প্রভাতের সূর্য সব সময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। ফিল্যান্ডারের ক্ষেত্রে এমন কিছু বলতে হয় কি না, কে জানে! তবে সেটি ভবিষ্যতের কথা। আপাতত প্রথম ৭ টেস্টে ১৪.১৫ গড়ে ৫১ উইকেট পাওয়ায় ক্রিকেট আকাশে নতুন এক তারা বলেই মানতে হচ্ছে ভারনন ফিল্যান্ডারকে।
No comments