ঈদ উৎসব by এহতেশামুল হক
ঈদ শব্দের অর্থ বারবার ফিরে আসা। এক মাস সিয়াম সাধনার পর মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের আবার দিনের বেলা পানাহারের সুযোগ করে দেন। ঈদের বিধান আমাদের জন্য আল্লাহর রহমত ও দয়াস্বরূপ। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'পাঁচটি রাত জেগে যে ব্যক্তি ইবাদত করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হবে। রাতগুলো হলো_ জিলহজের রাত,
আরাফার রাত, ঈদুল আজহার রাত, ঈদুল ফিতরের রাত এবং মধ্য শাবানের রাত।' আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত_ যখন রাসূল (সা.) হিজরত করলেন, তখন মদিনাবাসীর জন্য দুটি নির্ধারিত দিন ছিল, যাতে তারা খেলাধুলা ও আনন্দ-ফুর্তি করত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দুটি দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা উত্তর দিল, আমরা জাহেলি যুগে এ দুটি দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তোমাদের জন্য ওই দুটি দিনকে আরও উত্তম দিন দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তাহলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা।
রাসূল (সা.) নারীদের ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে বাড়িতে যদি তাদের কোনো উত্তম কাজ থাকে তাহলে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন। উম্মে আতীয়্যাহ (রা.) বলেছেন, রাসূল (সা.) আমাদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন বের হতে বলেছেন।
দুই ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত_ রাসূল (সা.) দু'দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আজহার দিন।
মাহে রমজানই এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাতে আমরা নিজেদের আমল, শরিয়ত পরিপন্থী আচার-ব্যবহার পরিত্যাগ ও চরিত্র সংশোধন করে নিতে পারি। আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ওই পর্যন্ত কোনো জাতির পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ তারা নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করে না নেয়। (রা'দ : ১১)।
আমরা বিবেকবান সচেতন সব বান্দা-বান্দি এ এক মাস নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হই। কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের এক মাসের কষ্টার্জিত শিক্ষা ভুলে যাই। এভাবেই কি মাহে রমজান প্রত্যেকবার আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেবে?
প্রকৃত রোজাদার ঈদের দিন রোজা ছেড়ে দিয়ে আনন্দিত হবে এবং রোজা পূর্ণ করার তাওফিক পাওয়ার দরুন তার প্রতিপালকের প্রশংসা করবে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সঙ্গে সঙ্গে এই ভয়ে কাঁদবে যে, না জানি আমার রোজা কবুল হয়নি। আমাদের পূর্বসূরিরা মাহে রমজানের পর ছয় মাস পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে কেঁদে কেঁদে রোজা কবুল হওয়ার দোয়া করতেন। আমল কবুল হওয়ার আলামত হলো, পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে বর্তমান অবস্থা উন্নত হওয়া।
সত্যিকার মোমিন বান্দা সর্বদাই আল্লাহর এবাদত করবে। কোনো নির্দিষ্ট মাস, জায়গা অথবা জাতির সঙ্গে মিলে আমল করবে না, বরং সর্বদা সে এবাদত করবে। মোমিন বান্দা মনে করবে, যিনি রমজানের প্রভু তিনি অন্য সব মাসেরও প্রভু। তিনি সব কাল ও স্থানের প্রভু। রমজান শেষ হয়ে গেলেও শাওয়ালের ছয় রোজা, আশুরা, আরাফা, সোমবার, বৃহস্পতিবার ইত্যাদিতে নফল রোজা রয়েছে।
তারাবির নামাজ শেষ হয়ে গেলেও তাহাজ্জুদ নামাজ বাকি আছে সারা বছর। অতএব নেক আমল সবসময় সব জায়গাতেই করা যায়।
আমাদের সবার উচিত রমজান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কাজে লাগানো এবং প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
enoman@gmail.com
রাসূল (সা.) নারীদের ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে বাড়িতে যদি তাদের কোনো উত্তম কাজ থাকে তাহলে বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন। উম্মে আতীয়্যাহ (রা.) বলেছেন, রাসূল (সা.) আমাদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন বের হতে বলেছেন।
দুই ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত_ রাসূল (সা.) দু'দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আজহার দিন।
মাহে রমজানই এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাতে আমরা নিজেদের আমল, শরিয়ত পরিপন্থী আচার-ব্যবহার পরিত্যাগ ও চরিত্র সংশোধন করে নিতে পারি। আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ ওই পর্যন্ত কোনো জাতির পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ তারা নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করে না নেয়। (রা'দ : ১১)।
আমরা বিবেকবান সচেতন সব বান্দা-বান্দি এ এক মাস নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সচেষ্ট হই। কিন্তু রমজান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের এক মাসের কষ্টার্জিত শিক্ষা ভুলে যাই। এভাবেই কি মাহে রমজান প্রত্যেকবার আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেবে?
প্রকৃত রোজাদার ঈদের দিন রোজা ছেড়ে দিয়ে আনন্দিত হবে এবং রোজা পূর্ণ করার তাওফিক পাওয়ার দরুন তার প্রতিপালকের প্রশংসা করবে, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে। সঙ্গে সঙ্গে এই ভয়ে কাঁদবে যে, না জানি আমার রোজা কবুল হয়নি। আমাদের পূর্বসূরিরা মাহে রমজানের পর ছয় মাস পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে কেঁদে কেঁদে রোজা কবুল হওয়ার দোয়া করতেন। আমল কবুল হওয়ার আলামত হলো, পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে বর্তমান অবস্থা উন্নত হওয়া।
সত্যিকার মোমিন বান্দা সর্বদাই আল্লাহর এবাদত করবে। কোনো নির্দিষ্ট মাস, জায়গা অথবা জাতির সঙ্গে মিলে আমল করবে না, বরং সর্বদা সে এবাদত করবে। মোমিন বান্দা মনে করবে, যিনি রমজানের প্রভু তিনি অন্য সব মাসেরও প্রভু। তিনি সব কাল ও স্থানের প্রভু। রমজান শেষ হয়ে গেলেও শাওয়ালের ছয় রোজা, আশুরা, আরাফা, সোমবার, বৃহস্পতিবার ইত্যাদিতে নফল রোজা রয়েছে।
তারাবির নামাজ শেষ হয়ে গেলেও তাহাজ্জুদ নামাজ বাকি আছে সারা বছর। অতএব নেক আমল সবসময় সব জায়গাতেই করা যায়।
আমাদের সবার উচিত রমজান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে তা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে কাজে লাগানো এবং প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা এবং গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা।
enoman@gmail.com
No comments