সাক্ষাৎকার-আমাদের আমলের প্রকল্প নিয়ে কৃতিত্ব দেখানোর কিছু নেই by আমীর খসরু
প্রথম আলো: পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলেছেন। আপনারা দাবি করছেন এসব প্রকল্প নাকি জোট সরকারের আমলে নেওয়া। এটা নিয়ে রাজনীতি হয়ে যাচ্ছে না? আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমরা তো রাজনীতি করছি না। এখানে সত্য ও অসত্যের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যদি ভুল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত না করতেন তাহলে আমরা এসব কথা তুলতাম না। কর্ণফুলী তৃতীয় সেতু আওয়ামী লীগের আমলে হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন। এই সেতু তো আমাদের সরকার করেছে, যা চট্টগ্রামের মানুষ দেখেছে। বরং এই সেতু করার সময় আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করেছে। ওরা উদ্বোধনের দিন বিরোধিতা করে হরতাল ডেকেছে। ষোলশহরে এলজিইডি ভবনের নির্মাণকাজ তো আমাদের আমলে শেষ হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ভবনটির উদ্বোধন করেন। চার বছর পর প্রধানমন্ত্রী আবার উদ্বোধন করতে এলেন। এটা প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। যেটা সত্য, সেটা বললেই তো হয়। আমাদের আমলের করা প্রকল্প নিয়ে কৃতিত্ব দেখানোর তো কিছু নেই। সত্য বললে কী রাজনীতি হয়?
প্রথম আলো: আপনারা চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বরং আপনাদের আমলে বহুজাতিক কোম্পানির সদর দপ্তর ঢাকা চলে গেছে। কেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমরা আসলে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলেছিলাম। সেই উন্নয়ন আমরা শুরুও করেছিলাম। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়নকাজ আমাদের আমলে হয়েছে। যেমন চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সার্বিক উন্নয়ন আমরা করেছি। বন্দরের টোল সড়ক হয়েছে। বন্দরের যে উড়ালসড়ক প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে গেলেন, সেটা তো আমাদের আমলের প্রকল্প। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও আমাদের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জমি বরাদ্দসহ সব আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর করেছে আমাদের সরকার। শিল্প এলাকা ইপিজেডকে রক্ষা করতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী ইপিজেডও শুরু করেছি। চট্টগ্রামে বন্দরের গতিশীলতা বেড়েছে। বাণিজ্যিক রাজধানীর অবকাঠামো উন্নয়ন বলতে যা বোঝায়, আমরা তা করেছি। সামগ্রিক অথনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা এসেছে।
প্রথম আলো: জোট সরকারের আমলে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি কি বাস্তবায়ন হয়েছে?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমাদের সরকারের আমলের সব প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অনেক কাজ বাকি। আবার ক্ষমতায় এলে পর্যায়ক্রমে তা পূরণ হবে।
প্রথম আলো: আপনারা চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বরং আপনাদের আমলে বহুজাতিক কোম্পানির সদর দপ্তর ঢাকা চলে গেছে। কেন?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমরা আসলে চট্টগ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা বলেছিলাম। সেই উন্নয়ন আমরা শুরুও করেছিলাম। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়নকাজ আমাদের আমলে হয়েছে। যেমন চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ সার্বিক উন্নয়ন আমরা করেছি। বন্দরের টোল সড়ক হয়েছে। বন্দরের যে উড়ালসড়ক প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে গেলেন, সেটা তো আমাদের আমলের প্রকল্প। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও আমাদের আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের জমি বরাদ্দসহ সব আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দিয়েছেন। চট্টগ্রাম বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর করেছে আমাদের সরকার। শিল্প এলাকা ইপিজেডকে রক্ষা করতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী ইপিজেডও শুরু করেছি। চট্টগ্রামে বন্দরের গতিশীলতা বেড়েছে। বাণিজ্যিক রাজধানীর অবকাঠামো উন্নয়ন বলতে যা বোঝায়, আমরা তা করেছি। সামগ্রিক অথনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা এসেছে।
প্রথম আলো: জোট সরকারের আমলে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি কি বাস্তবায়ন হয়েছে?
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী: আমাদের সরকারের আমলের সব প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অনেক কাজ বাকি। আবার ক্ষমতায় এলে পর্যায়ক্রমে তা পূরণ হবে।
No comments