চারদিক-সিকি শতাব্দীর পথপরিক্রমা by সাব্বির চৌধুরী
আজ জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ তার ২৫ বছর পূর্ণ করল। ১৯৮৬ সালের ১৬ মে যে চলচ্চিত্র সংসদের যাত্রা শুরু, আজ সে সিকি শতাব্দী বয়সী একজন যুবা-তারুণ্যে উচ্ছল কিন্তু অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। নতুন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমান সাহসী। এই পথপরিক্রমায় জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ কখনোই পিছপা নয়।
সেই প্রথম দিনটি থেকেই জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ আমাদের দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে ভূমিকা রেখে আসছে—নতুন মাত্রা যোগ করছে ক্রমাগত। এই সময়ে তার সদস্য ও চলচ্চিত্রামোদীদের প্রদর্শন করেছে চার হাজারের মতো চলচ্চিত্র, যার অধিকাংশই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়েছে।
চলচ্চিত্র নির্বাচন ও প্রদর্শন পরিকল্পনায় সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেই সব চলচ্চিত্রকে, যা বাংলাদেশে সুলভ নয়। আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত, সমালোচক ও বোদ্ধা দর্শক-প্রশংসিত এবং শৈল্পিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ চলচ্চিত্রই সব সময় প্রদর্শনের তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছে। মহাদেশভিত্তিক ও দেশ বা ভাষাভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজিত হয়েছে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
২০০৮ সালে পাঁচটি পর্বে বিভক্ত হয়ে প্রদর্শিত হয়েছিল শতাধিক আফ্রিকান চলচ্চিত্র। দেশভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, হংকং, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, ইরান, তুরস্ক, মিসর, মরক্কো, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো, মালি, মৌরিতানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কিউবা, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন/রাশিয়া, পোল্যান্ড, যুগোস্লাভিয়া (বসনিয়া হার্জেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া), রোমানিয়া, ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ব্রিটেন। এ ছাড়া বিশ্বখ্যাত অনেক চলচ্চিত্রকারের রেট্রোস্পেক্টিভ, বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসবও রয়েছে।
২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে ‘নারী চলচ্চিত্রকারদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’। ছয় পর্বে বিন্যস্ত এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দুই পর্বে প্রদর্শিত হচ্ছে ৩৫টি দেশের ৩৫ জন নারী চলচ্চিত্রকারের ৪০টি চলচ্চিত্র। বাকি পর্বগুলোতে আরও অন্যান্য দেশের নারী চলচ্চিত্রকার নির্মিত চলচ্চিত্র। এ ছাড়া জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ সম্মাননা জানাচ্ছে এ দেশের দুজন প্রথিতযশা নারী চলচ্চিত্রকার ইয়াসমিন কবির ও শামীম আখতারকে। নারী চলচ্চিত্রকারেরাই নারীর সমস্যা, সামাজিক অবস্থান, নারী-পুরুষ বৈষম্য নিয়ে যথাযথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেন। বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধাংশকে তাই জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ সম্মান জানায় এবং নারী-পুরুষ বৈষম্য দূরীকরণে আহ্বান জানায়।
১৯২০-এর দশকে ইউরোপে যে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সূচনা, তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে প্রথম চলচ্চিত্র সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায়। ‘কলকাতা চলচ্চিত্র সংসদ’ নামে এই চলচ্চিত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, হরিসাধন দাশগুপ্ত প্রমুখ। তাঁরা সবাই পরবর্তী পর্যায়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কাজে ব্যাপৃত হয়েছেন।
১৯৬৩ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’, যা স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ’ নামে পরিবর্তিত হয়। সেই হিসাবে আমাদের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন ৪৮ বছরের। প্রায় অর্ধশতাব্দীর পথপরিক্রমায় আমাদের দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন আমাদের উপহার দিয়েছে বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তাঁদের নির্মিত শিল্পমানসম্পন্ন বেশ কিছু চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র শিল্পে আমাদের যা কিছু অর্জন, তার প্রায় সবটুকুই এসেছে চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র থেকে। চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা—এগুলো চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের আন্দোলনেরই ফসল।
দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রকর্মীরা বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা’ প্রণয়ন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা, ‘ন্যাশনাল ফিল্ম ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা, ১৯৮০ সালের ‘চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ আইন’ বাতিল ইত্যাদি।
জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রয়াত চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ’-এর সভাপতি বাদল রহমান প্রস্তাবিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তর-পশ্চিম কোণে জাতীয় জাদুঘরের বিপরীতে নির্মাণ করার দাবি বিবেচনায় নিতে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে এটি সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আমাদের সংস্কৃতি সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পূর্ণতা পাবে।
চলচ্চিত্র সংসদ কর্মকাণ্ড বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে শিল্পমানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, চলচ্চিত্রের শৈল্পিক ও নান্দনিক দিক নিয়ে আলোচনা, চলচ্চিত্রের রসাস্বাদনের জন্য কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন করা, লেখালেখি ও প্রকাশনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ। তবে বর্তমানে যেভাবে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং এফডিসি-কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের ধস নামছে, তাতে চলচ্চিত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করার অবকাশ রয়েছে। বর্তমান আকাশ সভ্যতার যুগে চলচ্চিত্রশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং প্রসার ঘটাতে সবার সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।
জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে তাই সব সদস্য, শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক ও সহায়তাকারীকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই শিল্পমাধ্যমকে যুগোপযোগী করে এগিয়ে নিয়ে যাই।
সাব্বির চৌধুরী
sabbirchowdhury@yahoo.com
চলচ্চিত্র নির্বাচন ও প্রদর্শন পরিকল্পনায় সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে সেই সব চলচ্চিত্রকে, যা বাংলাদেশে সুলভ নয়। আন্তর্জাতিকভাবে পুরস্কৃত, সমালোচক ও বোদ্ধা দর্শক-প্রশংসিত এবং শৈল্পিক মানদণ্ডে উত্তীর্ণ চলচ্চিত্রই সব সময় প্রদর্শনের তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছে। মহাদেশভিত্তিক ও দেশ বা ভাষাভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজিত হয়েছে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে।
২০০৮ সালে পাঁচটি পর্বে বিভক্ত হয়ে প্রদর্শিত হয়েছিল শতাধিক আফ্রিকান চলচ্চিত্র। দেশভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, হংকং, জাপান, কোরিয়া, তাইওয়ান, ইরান, তুরস্ক, মিসর, মরক্কো, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো, মালি, মৌরিতানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, তিউনিসিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কিউবা, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়ন/রাশিয়া, পোল্যান্ড, যুগোস্লাভিয়া (বসনিয়া হার্জেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া), রোমানিয়া, ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ব্রিটেন। এ ছাড়া বিশ্বখ্যাত অনেক চলচ্চিত্রকারের রেট্রোস্পেক্টিভ, বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসবও রয়েছে।
২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে ‘নারী চলচ্চিত্রকারদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি’। ছয় পর্বে বিন্যস্ত এই চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম দুই পর্বে প্রদর্শিত হচ্ছে ৩৫টি দেশের ৩৫ জন নারী চলচ্চিত্রকারের ৪০টি চলচ্চিত্র। বাকি পর্বগুলোতে আরও অন্যান্য দেশের নারী চলচ্চিত্রকার নির্মিত চলচ্চিত্র। এ ছাড়া জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ সম্মাননা জানাচ্ছে এ দেশের দুজন প্রথিতযশা নারী চলচ্চিত্রকার ইয়াসমিন কবির ও শামীম আখতারকে। নারী চলচ্চিত্রকারেরাই নারীর সমস্যা, সামাজিক অবস্থান, নারী-পুরুষ বৈষম্য নিয়ে যথাযথভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারেন। বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধাংশকে তাই জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ সম্মান জানায় এবং নারী-পুরুষ বৈষম্য দূরীকরণে আহ্বান জানায়।
১৯২০-এর দশকে ইউরোপে যে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের সূচনা, তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে প্রথম চলচ্চিত্র সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয় কলকাতায়। ‘কলকাতা চলচ্চিত্র সংসদ’ নামে এই চলচ্চিত্র সংসদের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বংশী চন্দ্রগুপ্ত, হরিসাধন দাশগুপ্ত প্রমুখ। তাঁরা সবাই পরবর্তী পর্যায়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কাজে ব্যাপৃত হয়েছেন।
১৯৬৩ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংসদ’, যা স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংসদ’ নামে পরিবর্তিত হয়। সেই হিসাবে আমাদের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন ৪৮ বছরের। প্রায় অর্ধশতাব্দীর পথপরিক্রমায় আমাদের দেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন আমাদের উপহার দিয়েছে বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও তাঁদের নির্মিত শিল্পমানসম্পন্ন বেশ কিছু চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্র শিল্পে আমাদের যা কিছু অর্জন, তার প্রায় সবটুকুই এসেছে চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের নির্মিত চলচ্চিত্র থেকে। চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠা—এগুলো চলচ্চিত্র সংসদকর্মীদের আন্দোলনেরই ফসল।
দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্রকর্মীরা বেশ কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা’ প্রণয়ন, ‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা, ‘ন্যাশনাল ফিল্ম ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠা, ১৯৮০ সালের ‘চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ আইন’ বাতিল ইত্যাদি।
জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রয়াত চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ’-এর সভাপতি বাদল রহমান প্রস্তাবিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উত্তর-পশ্চিম কোণে জাতীয় জাদুঘরের বিপরীতে নির্মাণ করার দাবি বিবেচনায় নিতে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে এটি সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। আর আমাদের সংস্কৃতি সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পূর্ণতা পাবে।
চলচ্চিত্র সংসদ কর্মকাণ্ড বলতে যা বোঝায়, তা হচ্ছে শিল্পমানসম্পন্ন চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, চলচ্চিত্রের শৈল্পিক ও নান্দনিক দিক নিয়ে আলোচনা, চলচ্চিত্রের রসাস্বাদনের জন্য কোর্স, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ইত্যাদির আয়োজন করা, লেখালেখি ও প্রকাশনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশ ঘটানো এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ। তবে বর্তমানে যেভাবে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং এফডিসি-কেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের ধস নামছে, তাতে চলচ্চিত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করার অবকাশ রয়েছে। বর্তমান আকাশ সভ্যতার যুগে চলচ্চিত্রশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে এবং প্রসার ঘটাতে সবার সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।
জহির রায়হান চলচ্চিত্র সংসদ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পূর্তিতে তাই সব সদস্য, শুভানুধ্যায়ী, পৃষ্ঠপোষক ও সহায়তাকারীকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই শিল্পমাধ্যমকে যুগোপযোগী করে এগিয়ে নিয়ে যাই।
সাব্বির চৌধুরী
sabbirchowdhury@yahoo.com
No comments