টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-বেশি পাসের পাশাপাশি মানের দিকে নজর দিন

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার এসএসসিতে রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন। মন্তব্যগুলো আজ ছাপা হলো।


তাপস হালদার, শিক্ষার্থী, রাজবাড়ী
সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞানস্তর, অনুধাবনস্তর, প্রয়োগস্তর ও উচ্চতর দক্ষতা যাচাই করা হয়। ভবিষ্যতে আরও ভালো হোক, এটাই আশা করি।
মো. আনিসুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আমাদের দেশে রেকর্ডসংখ্যক এসএসসি শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে শিক্ষার মান বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। নোট-গাইড নতুন আঙ্গিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। একটু খতিয়ে দেখলে দেখা যাবে, অধিকাংশ সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা নোট-গাইড থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন মুখস্থ করে। শিক্ষকেরা নিজস্ব সৃজনশীল প্রশ্ন না করায় পরীক্ষার্থীরা গাইডের প্রশ্ন হুবহু কমন পায় এবং ভালো ফলাফল করে। এ দুরবস্থার পরিবর্তন খুবই জরুরি।
জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
আমার মনে হয়, এ অভূতপূর্ব ফলাফলের জন্য সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি মূল কারণ। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব লক্ষ করা যায়। শিক্ষকেরা খাতায় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে উদারতা দেখাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা নিজ থেকে ভালো ফলাফল করলে এমনিতেই শিক্ষার মান বেড়ে যাবে।
মামুন হোসেন, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
ফলাফলের মানের প্রতিযোগিতা না করে শিক্ষার মানের প্রতিযোগিতার বিষয়টিতে সরকারের মনোযোগ দেওয়া উচিত। যেমন, সরকার আমাদের দেশে প্রতিবছর পাসের হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে। অথচ অনেক স্কুলশিক্ষক শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য করছেন। এ ব্যাপারে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
সোহাগ জোয়ার্দার, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পাসের হার বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়েনি। এ ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষকদের আরও অনেক বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। গতানুগতিক ধারায় না পড়িয়ে কীভাবে শিক্ষার মান আরও উন্নত করা যায়, সেভাবে পাঠদান করতে হবে। এ জন্য শিক্ষকদের আন্তরিক হতে হবে।
জন্মজয় দাশ, শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এসএসসিতে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়াটা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। কেননা, এতে মুখস্থবিদ্যা নয়, সৃজনশীল মেধার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।
রাকিবুল হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পাসের হার বৃদ্ধি পাওয়াটা অবশ্যই ভালো লক্ষণ। কিন্তু তা যেন কখনো শিক্ষার মানের সঙ্গে আপস করে না হয়। এবং পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার আসন নিশ্চিত করতে হবে।
কামরুল হাসান, সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
যদিও পাসের হার বাড়ছে দিন দিন, সেটা হচ্ছে সংখ্যায়, মানে নয়। এর কারণ হচ্ছে, শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অসুস্থ প্রতিযোগিতা।
কাজী আবু মো. খালেদ নিজাম, চট্টগ্রাম
এসএসসিতে পাসের হার বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়েনি। বিশেষজ্ঞদের এ কথার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত। এ মুহূর্তে শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করে শুধু পাসের হার বাড়ানোর চিন্তা করলে দেশ ও জাতি কাঙ্ক্ষিত মানের উপযুক্ত নাগরিক সৃষ্টি থেকে বঞ্চিত হবে।
মো. মিজানুর রহমান, গ্রামীণ ব্যাংক, মানিকগঞ্জ
এসএসসিতে পাসের হার বেশি হলেও শিক্ষার মান মোটেও বাড়েনি। এসএসসি পর্যায়ে যদি শিক্ষার মান ভালো না হয় ভবিষ্যতে একজন শিক্ষার্থীকে গুরুতর সমস্যায় পড়তে হবে। এসএসসিতে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন বাতিল করে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নমালা প্রচলন করা যেতে পারে এবং পাশাপাশি রচনামূলক প্রশ্ন থাকতে হবে। এতে করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে এবং ছাত্রছাত্রীরা আরও মেধাসম্পন্ন হবে।
মো. এনাম উদ্দিন, চাকরিজীবী, লালবাগ, ঢাকা
এবার এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার অনুযায়ী জিপিএ-৫-এর হারও বেড়েছে। আমার মতে, বর্তমানে শিক্ষার্থীরা আগের তুলনায় অনেক বেশি পড়াশোনায় মনোযোগী। পড়ালেখা করে তারা পরীক্ষার হলে যায়। যারা পাসের উপযুক্ত তারাই চূড়ান্ত নির্বাচিত হয়ে থাকে। সুতরাং শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করার কথা। তাই এ ফলাফলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
মাহবুবুর রহমান শাকিল, শিক্ষার্থী, ইউআইইউ
অধিক পাসের ফলাফল কখনোই ভালো হয় না। আমরা যে বছর এসএসসি পাস করেছি সে বছর ঐচ্ছিক বিষয়ের নম্বর যোগ হয়নি। ফলে যে সমস্যার সম্মুখীন আমরা হয়েছি, তা সমাধান করা হয়নি। তাই এই অধিকসংখ্যক পাস করা শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানেও সরকার এগিয়ে আসবে না।
মো. মাইন উদ্দিন, দিনাজপুর
এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভালো। তবে মান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। এমন একটি নীতিমালা করা উচিত, যেখানে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত যারা পাবে তাদের আরেকবার পরীক্ষা দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে যারা ৩.৫০ জিপিএর নিচে পাবে তাদের আবার পরীক্ষা দিতে হবে। তাহলে যদি শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ হয়।
বিকাশ দাস, শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ, ঢাকা
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে, সেই সঙ্গে সৃজনশীল বিষয়গুলো মেধাবী শিক্ষার্থীর মানদণ্ড বিচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করছে সরকার। পরীক্ষার্থীদের পাসের হার বাড়ানোর পাশাপাশি মান বাড়াতেও সহায়ক হবে।
মো. মেহেদী হাসান সরকার, শিক্ষার্থী, দিনাজপুর
এসএসসিতে যে রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী পাস করেছে, এতে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা উন্নত হয়েছে নিঃসন্দেহে। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভালো কলেজে ভর্তি নিশ্চিত এবং আসনসংখ্যা বাড়াতে হবে।
রফিক আহমেদ, চিকিৎসক, সাভার, ঢাকা
রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়া বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার ভালো ইঙ্গিত বহন করে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হলো, এরা শিক্ষাজীবন শেষ করে কী করবে? এদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান নিয়ে সরকারকে অবশ্যই বেশি করে ভাবতে হবে।
মুহাম্মদ জিন্নাহ ভূঁইয়া, শিক্ষার্থী
এসএসসিতে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে না। ভালো ফলের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে না। ভালো ফলের পাশাপাশি শিক্ষার মান বাড়াতে হবে।
বিশ্বজিৎ সেন, চাকরিজীবী, চট্টগ্রাম
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য অনবিজ্ঞের বলে মনে হচ্ছে। দীর্ঘ ১০ বছরের সাধনার ফল প্রকাশ পেয়েছে এ রেকর্ড পরিমাণ পাসের হারের মাধ্যমে। আমাদের উচিত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানানো। কোনো অবস্থায়ই নেতিবাচক মন্তব্যে জড়ানো নয়।
নুরুল হুদা, শিক্ষক, সেনবাগ, নোয়াখালী
শতকরা ৮০ বা তার ঊর্ধ্বে উত্তীর্ণ হয়েছে, তা রেকর্ডসংখ্যক ঠিকই। কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা কি বাকি ২০ শতাংশ ফেলকে সমর্থন করি? এসএসসি পরীক্ষার আগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচনী নামে দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তার পরও ফাইনালে ফেল করবে কেন, তাহলে বিদ্যালয় শিক্ষকদের মূল্যায়ন কতটুকু ফলপ্রসূ বা প্রশ্নবিদ্ধ, তা সহজে অনুমেয়?
আব্দুন নূর, শিক্ষক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হওয়ার পেছনে পরীক্ষার্থীদের মেধার চেয়ে পরীক্ষা গ্রহণের সার্বিক পদ্ধতি অধিক সহায়ক বলে আমি মনে করি। মেধার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকে বলে আমার মনে হয়। প্রশ্ন প্রণয়নকারীদের প্রতি নির্দেশ থাকে, আপনি এমনভাবে প্রশ্ন করবেন যেন অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী উত্তর দিতে পারে। নির্দেশ মানা না হলে সে প্রশ্ন নির্বাচিত হয় না।
ফটিক বড়ুয়া, শিক্ষার্থী, চকবাজার, চট্টগ্রাম
যেভাবে পাসের হার বাড়ছে এতে জিপিএ-৫-এর মূল্যায়ন হচ্ছে না। যারা গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাচ্ছে, তাদের অন্যভাবে মূল্যায়ন করা উচিত।
সাঈদ মো. জাহিদ কাদরী
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণের হার অত্যধিক হলেও মান বাড়েনি—কথাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। তবে রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণের পেছনে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগোপযোগী ভূমিকা অনস্বীকার্য বলে মনে করি।
অনিত বণিক, কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ
এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার বাড়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, নকল কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে। পাশাপাশি অভিভাবকেরা পড়াশোনার ক্ষেত্রে মনোযোগী হচ্ছে। এসব কিছুর কারণে ইতিবাচক ফলাফল হয়েছে।
সুজিত কুমার বাগচি, দুরবাসুর, গোপালগঞ্জ
এসএসসি পরীক্ষার পাসের হার বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পরবর্তী জীবনে অনেক বড় কিছু হওয়ার সুযোগ পাবে, এটা অবশ্যই একটা ভালো দিক।
নিজাম উদ্দিন, শিক্ষার্থী, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ
এসএসসিতে রেকর্ডসংখ্যক শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে ঠিকই। কিন্তু আশানুরূপ প্রশ্নপত্র করা হয়নি। ফলে এ অবস্থা হয়েছে।
গোলাম মোস্তফা, শিক্ষার্থী, ধানমন্ডি, ঢাকা
গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ ৬৪৪ জন বেশি পেয়েছে। এর কারণ সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি। এটি যথাযথ বলে আমি মনে করি।
জুয়েলচন্দ্র দাশ, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম
পাসের হার বেড়েছে সত্য, শিক্ষার মান তলানিতে, তা আরও সত্য। অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম, যাদের অঙ্ক ও ইংরেজির ভিত্তি দুর্বল, তারাও ভালো পয়েন্টে পাস করেছে। এভাবে মান ও সৃজনশীলতার মেধা নষ্ট করে রাষ্ট্র কি কোনো ব্যবসার দ্বার উন্মোচন করছে?
ওয়াছিম উদ্দিন, শিক্ষক, চট্টগ্রাম
এবার ফলাফল সন্তোষজনক হলেও বাড়েনি শিক্ষার মান।
মো. মাইন উদ্দিন, শিক্ষার্থী, দিনাজপুর
পাসের হার রেকর্ডসংখ্যক, এটি ভালো। তবে মানোন্নয়ন অবশ্য নিশ্চিত করতে হবে আগে।
মনি, শিক্ষার্থী, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি
সরকারের এ পদক্ষেপ অবশ্যই ভালো। কিন্তু ভালো পাস নিয়ে কেন ছাত্ররা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। এটিও সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।
আবদুস সালাম, চাকরিজীবী, মোহাম্মদপুর
বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, এটি খুবই যুগোপযোগী এবং কার্যকর। এটাকে দল-মতনির্বিশেষে সমর্থন করা উচিত।
মিঠুন, ভাঙ্গা, চাকরিজীবী
মাদ্রাসায় ভালো শিক্ষক না থাকায় ভালো ফল হচ্ছে না। এতে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
আরিফ বিন নজরুল, ফুলতলা, বগুড়া, শিক্ষার্থী
রেকর্ডসংখ্যক পাস করেছে ভালো, কিন্তু যাতে তারা ঝরে না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তারিকুল ইসলাম, ভাঙ্গা, ফরিদপুর
শিক্ষাপদ্ধতির কারণে সহজে ৮০ নম্বর পাচ্ছে এবং এ+এর ছড়াছড়ি হচ্ছে। যদি এটি ৮০ থেকে ৯০-তে করা হয় এতে এ+ এর হার কমবে।
নাইমুর রশিদ, শিক্ষার্থী, ডুমুরিয়া, খুলনা
শিক্ষাব্যবস্থায় সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতির আংশিক একটা প্রয়োগ দেখা গেছে, যার জন্য পাসের হার গতবারের তুলনায় বেড়ে গেছে। এরা যাতে ঝরে না পড়ে যায় এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।
তুহিন, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
ফলাফল যে ভালো হচ্ছে, এটা যাতে রাজনৈতিক কোনো ইস্যু হয়ে না দাঁড়ায়।
মো. সেলিম ইসলাম, শিক্ষার্থী
জলঢাকা, নীলফামারী
ফলাফল রেডর্কসংখ্যক হয়নি, সন্তোষজনক হয়েছে। এ ব্যাপারে সরকার এবং শিক্ষকেরা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে রেকর্ডসংখ্যক ফলাফল আশা করা সম্ভব।
মেনহাজুল ইসলাম, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
সৃজনশীল পদ্ধতিকে ধন্যবাদ। এ পদ্ধতির কারণেই গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক কমেছে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ। ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাকৃত ভালো করায় পাসের হার বেশি হয়েছে।
রতন কুমার দে, শিক্ষক, সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা
একজন শিক্ষক হিসেবে এই ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন যেভাবে শিক্ষকেরা করেন, সেটা অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ। শিক্ষকদের অর্থাৎ যাঁরা খাতা মূল্যায়ন করেন তাঁদের ওপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে খাতায় বেশি বেশি নম্বর দেওয়া হয়। কমতি না করতে। এভাবে সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।
মনিরুল, শিক্ষার্থী, খুলনা
এ সাফল্য যতটা না শিক্ষার্থীদের, তার চেয়ে বেশি সরকারের। কারণ, শিক্ষাক্ষেত্রের সফলতা দেখানোর জন্য পাসের হার বাড়ানো হচ্ছে। এতে শিক্ষার মান বাড়ছে না। বরং সহজ প্রশ্নে পরীক্ষা হচ্ছে। ফলে মূল্যায়ন সঠিকভাবে হচ্ছে না।
এস এ সিপন, শিক্ষার্থী, নারায়ণগঞ্জ
পরীক্ষকদের বেশি নম্বর দেওয়ার অলিখিত নির্দেশ হচ্ছে ফলাফল ভালো হওয়ার কারণ। এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা ছাড়া মানে কোনো উন্নতি হবে না।
ওয়ালিউল্লা, চাকরিজীবী, মিরপুর
আগে পাসের হার ছিল ৩০%। কিন্তু ছয়-সাত বছরে এত বেশি পাস করছে যে তাতে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।
পলাশ বহ্নিক, ব্যবসায়ী, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম
এখানে সরকার তাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য এই ফলাফলে হস্তক্ষেপ করেছে, ফলাফল আর বাস্তবতা এক কথা বলে না। দুঃখ পাব তখন, যখন দেখব ভর্তি-ইচ্ছুকরা কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
সৈয়দ আজিজুল হক, উত্তরা, ঢাকা
এবার পাসের হার বেশি, মানের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় নয়। এ ধরনের মান অবনতির ক্ষেত্রে শুধু শিক্ষার্থীরাই দায়ী নয়। কারণ কোচিং সেন্টার ও অনেক স্কুল সুন্দর ও ঢালাওভাবে প্রচারের মাধ্যমে তাদের বোর্ড পরীক্ষায় সাফল্যে সেরা দাবি করে ছাত্র ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি করে। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
আবদুল মালিক, শিক্ষক, সিলেট
যেভাবে শিক্ষার হার বাড়ছে, সেভাবে মেধার হার বাড়ছে না। এই পাসের ব্যাপারে সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারসাজি আছে।
নাহিদুল ইসলাম, নটর ডেম কলেজ, ঢাকা
যে হারে পাস করছে তাদের মেধা যাচাইয়ের জন্য অবশ্যই ভালো ভালো কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করাতে হবে।
সালাত মাহমুদ, শিক্ষার্থী, মিরপুর, ঢাকা
শিক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে এবং আগের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নগুলো গতানুগতিকভাবে আসছে। এই ধারার পরিবর্তন করতে হবে। তাহলে মেধার যাচাই হবে।

No comments

Powered by Blogger.