রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা-দূরদর্শী পরিকল্পনা ও প্রকল্প বাস্তবায়নই কাম্য
রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিরাজ করছে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি। এমনিতেই তীব্র যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী, এর মধ্যে গণপরিবহন ব্যবস্থায় বিরাজমান নেতিবাচক চিত্র জনদুর্ভোগকে আরো প্রকট করে তুলেছে। ৩১ মার্চ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে যে চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে, তাতে প্রতীয়মান হয়,
রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় ভবিষ্যতে দুর্ভোগের চিত্র আরো প্রকট হয়ে উঠবে। ঢাকায় একদিকে বাড়ছে জনচাপ, অন্যদিকে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট।
রাজধানীতে যোগাযোগব্যবস্থা মসৃণ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নানা রকম মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়নচিত্র প্রশ্নবোধক। ঢাকায় বাড়তে থাকা জনসংখ্যার সঙ্গে সংগতি রেখে কিংবা জনচাপ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে অন্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরিবহন ও সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করতে না পারলে আগামী এক দশকে ঢাকার সার্বিক চিত্র কী হবে, তা বলা মুশকিল। এখনই গণপরিবহনের অপ্রতুলতা ও অব্যবস্থা নাগরিকদের দুর্ভোগের শেষ সীমায় ঠেলে দিয়েছে। এই মহানগরীতে যে হারে মানুষ বাড়ছে, সে অনুপাতে বাড়ছে না একসঙ্গে বেশি মানুষ পরিবহনে সক্ষম যানবাহন। বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বারবার ছোট আকারের পরিবহনের সংখ্যা কমিয়ে দ্বিতল যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয় না। এদিকে চলাচলের অযোগ্য গাড়ির সংখ্যা রাস্তায় আবার বাড়তে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই কাউন্টার সার্ভিস প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থায়ও গলদের অন্ত নেই। পাশাপাশি পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের নিয়ম ভাঙার অশুভ প্রতিযোগিতা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রাখতেই অনেক দায়িত্বশীল আগ্রহী। কারণ এতে অনেকের রয়েছে অনেক রকম সুবিধা। এক সমীক্ষায় প্রকাশ, ঢাকায় বসবাসকারী প্রতি তিন হাজার মানুষের জন্য বাস-মিনিবাস আছে মাত্র একটি! যানজটের কারণে বেশ কিছু রুটে বড় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের নানা রকম তুঘলকি কাণ্ড তো আছেই। রাজধানীবাসীর চাহিদা, যোগাযোগব্যবস্থা নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাসংবলিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লুইসবার্জার গ্রুপ সমীক্ষা চালিয়ে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল ২০০৫ সালে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অনুমোদন দেয়। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সত্য, কয়েকটি সংযোগ সড়ক ছাড়া এযাবৎ আর কোনো প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বটে; কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে সেগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজধানীতে মেট্রোরেল স্থাপনের বিষয়টি এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। বিশেষজ্ঞ কারো কারো মতে, এসব পরিকল্পনায়ই গলদ রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই এসব প্রকল্প বিলাসী, যেগুলোর বাস্তবায়ন আমাদের প্রেক্ষাপটে দুরূহ।
পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ সম্ভব হচ্ছে না সমন্বয়ের অভাবে। নিত্যনতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বটে; কিন্তু এ সব কিছুই যেন শুধু কাগজে-কলমে। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারগুলোর কাজের গতিও মন্থর। সব কিছু মিলিয়ে রাজধানীর জনজীবনে দুর্ভোগ যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান নেতিবাচক পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাবে শুধু যে জনজীবনেই দুর্ভোগ বেড়েছে তা-ই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও বিষয়টি বিষফোড়াসম হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প গ্রহণ_এসব কোনো কিছুরই মূল্য নেই, যদি সেগুলো আলোর মুখ না দেখে। মনুষ্য পদভারে রাজধানীর অবস্থা এমনিতেই ত্রাহি ত্রাহি। এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে নানা রকম অসংগতি এবং অদূরদর্শী চিন্তাভাবনার কুফল। রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে এযাবৎ কথা হয়েছে বিস্তর, কিন্তু কাজের কাজ কতটা কী হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। কাগজে-কলমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে সব দায়-দায়িত্ব শেষ না করে কাজের কাজ সম্পন্ন করতে হবে বৃহৎ জনস্বার্থে।
রাজধানীতে যোগাযোগব্যবস্থা মসৃণ করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নানা রকম মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বটে, কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়নচিত্র প্রশ্নবোধক। ঢাকায় বাড়তে থাকা জনসংখ্যার সঙ্গে সংগতি রেখে কিংবা জনচাপ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে অন্য বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরিবহন ও সড়কে চলাচলের ব্যবস্থা করতে না পারলে আগামী এক দশকে ঢাকার সার্বিক চিত্র কী হবে, তা বলা মুশকিল। এখনই গণপরিবহনের অপ্রতুলতা ও অব্যবস্থা নাগরিকদের দুর্ভোগের শেষ সীমায় ঠেলে দিয়েছে। এই মহানগরীতে যে হারে মানুষ বাড়ছে, সে অনুপাতে বাড়ছে না একসঙ্গে বেশি মানুষ পরিবহনে সক্ষম যানবাহন। বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বারবার ছোট আকারের পরিবহনের সংখ্যা কমিয়ে দ্বিতল যানবাহনের সংখ্যা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয় না। এদিকে চলাচলের অযোগ্য গাড়ির সংখ্যা রাস্তায় আবার বাড়তে শুরু করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই কাউন্টার সার্ভিস প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ট্রাফিক ব্যবস্থায়ও গলদের অন্ত নেই। পাশাপাশি পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের নিয়ম ভাঙার অশুভ প্রতিযোগিতা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছে। বিশৃঙ্খলা জিইয়ে রাখতেই অনেক দায়িত্বশীল আগ্রহী। কারণ এতে অনেকের রয়েছে অনেক রকম সুবিধা। এক সমীক্ষায় প্রকাশ, ঢাকায় বসবাসকারী প্রতি তিন হাজার মানুষের জন্য বাস-মিনিবাস আছে মাত্র একটি! যানজটের কারণে বেশ কিছু রুটে বড় বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পরিবহন-সংশ্লিষ্টদের নানা রকম তুঘলকি কাণ্ড তো আছেই। রাজধানীবাসীর চাহিদা, যোগাযোগব্যবস্থা নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাসংবলিত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান লুইসবার্জার গ্রুপ সমীক্ষা চালিয়ে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল ২০০৫ সালে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এর অনুমোদন দেয়। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও সত্য, কয়েকটি সংযোগ সড়ক ছাড়া এযাবৎ আর কোনো প্রকল্প আলোর মুখ দেখেনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বটে; কিন্তু সমন্বয়ের অভাবে সেগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। রাজধানীতে মেট্রোরেল স্থাপনের বিষয়টি এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। বিশেষজ্ঞ কারো কারো মতে, এসব পরিকল্পনায়ই গলদ রয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই এসব প্রকল্প বিলাসী, যেগুলোর বাস্তবায়ন আমাদের প্রেক্ষাপটে দুরূহ।
পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তোলার কাজ সম্ভব হচ্ছে না সমন্বয়ের অভাবে। নিত্যনতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বটে; কিন্তু এ সব কিছুই যেন শুধু কাগজে-কলমে। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারগুলোর কাজের গতিও মন্থর। সব কিছু মিলিয়ে রাজধানীর জনজীবনে দুর্ভোগ যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান নেতিবাচক পরিস্থিতির বিরূপ প্রভাবে শুধু যে জনজীবনেই দুর্ভোগ বেড়েছে তা-ই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও বিষয়টি বিষফোড়াসম হয়ে উঠেছে। পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রকল্প গ্রহণ_এসব কোনো কিছুরই মূল্য নেই, যদি সেগুলো আলোর মুখ না দেখে। মনুষ্য পদভারে রাজধানীর অবস্থা এমনিতেই ত্রাহি ত্রাহি। এর মধ্যে যুক্ত রয়েছে নানা রকম অসংগতি এবং অদূরদর্শী চিন্তাভাবনার কুফল। রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে এযাবৎ কথা হয়েছে বিস্তর, কিন্তু কাজের কাজ কতটা কী হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। কাগজে-কলমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে সব দায়-দায়িত্ব শেষ না করে কাজের কাজ সম্পন্ন করতে হবে বৃহৎ জনস্বার্থে।
No comments