পবিত্র কোরআনের আলো-সত্যের পথে জিহাদ করতে যাওয়া এবং বিমুখ হয়ে থাকা লোকদের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল
৮৫. ওয়া লা- তু'জিব্কা আমওয়া-লুহুম ওয়া আওলা-দুহুম; ইন্নামা- ইউরীদুল্লাহু আন ইয়্যুআ'য্যিবাহুম বিহা- ফিদ্ দুনিয়া- ওয়া তায্হাক্বা আনফুছুহুম ওয়া হুম কা-ফিরূন। ৮৬. ওয়া ইযা- উনযিলাত ছূরাতুন আন আ-মিনূ বিল্লাহি ওয়া জাহিদূ মাআ' রাছূলিহিছ্ তা'যানাকা ঊলুত্ ত্বাওলি মিনহুম ওয়া ক্বা-লূ যারনা- নাকুম্ মাআ'ল ক্বা-য়ি'দীন।
৮৭. রাদ্বূ বিআন ইয়্যাকূনূ মাআ'ল খাওয়া-লিফি ওয়া ত্বুবিআ' আ'লা- ক্বুলূবিহিম ফাহুম লা-ইয়াফ্ক্বাহূন।
৮৮. লা-কিনির্ রাছূলু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ মাআ'হূ জা-হাদূ বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম; ওয়া উলা-য়িকা লাহুমুল খাইরা-তু ওয়া উলা-য়িকা হুমুল মুফলিহূন।
৮৯. আআ'দ্দাল্লা-হু লাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ্তিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা-; যা-লিকাল ফাওযুল আ'যীম। [সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ৮৫-৮৯]
অনুবাদ : ৮৫. তাদের ধনবল ও জনবল যেন আপনাকে বিস্মিত না করে। আল্লাহ তো এসব দিয়ে তাদের পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান এবং কাফির অবস্থায়ই তারা মৃত্যুবরণ করবে।
৮৬. 'আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং তাঁর রাসুলের সঙ্গী হয়ে জিহাদ করো'_এ মর্মে যখন কোনো সুরা নাজিল হয়, তখন তাদের অর্থাৎ মুনাফিকদের মধ্যে যারা সক্ষম, তারাও আপনার কাছে এসে (যুদ্ধে যাওয়া থেকে) অব্যাহতি চায়। তারা বলে, যারা অব্যাহতি পেয়েছে, আমাদেরও তাদের সঙ্গে থাকতে দিন।
৮৭. তারা ঘরে থেকে যাওয়া নারী-শিশুদের সঙ্গে থাকাটাই পছন্দ করে। তাদের অন্তরে মোহর করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা (দায়িত্বহীনতাটা) অনুধাবন করতে পারে না।
৮৮. কিন্তু রাসুল (সা.) এবং যেসব লোক তার সঙ্গে ইমান এনেছে, তারা নিজেদের জানমাল দিয়ে জিহাদ করছেন। তাঁদের জন্যই যাবতীয় কল্যাণ এবং তাঁরাই কৃতকার্য।
৮৯. আল্লাহ তাদের জন্য এমন সব উদ্যান তৈরি করে রেখেছেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। এতে তারা চিরকাল থাকবে। এটা এক মহাসাফল্য।
ব্যাখ্যা : ৮৫ নম্বর আয়াতটি এই সুরার ৫৫ নম্বর আয়াতেরই অনুরূপ। এ আয়াতে দুনিয়ার ধন-দৌলত সম্পর্কিত এক মহাসত্যের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। ইসলামের শিক্ষা হলো, ধন-দৌলত অত বড় মাপের কোনো বিষয় নয়, যা মানব জীবনের পরম লক্ষ্য হতে পারে। সুতরাং ধনবল ও জনবলের প্রতি মানুষের অত আগ্রহ থাকা উচিত নয়। মানুষের আসল লক্ষ্য তো হবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও আত্মিক সম্পদের উৎকর্ষ সাধন। আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষ মনুষ্যত্বে যে উন্নত স্তরে পেঁৗছাতে পারে, সেটাই মানুষের পরম সাফল্য। এ কথাটিই বলা হয়েছে ৮৯ নম্বর আয়াতের শেষে।
দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে হলে অধম-মহৎ সব মানুষেরই অর্থ-সম্পদের প্রয়োজন হয়। সে জন্য অর্থ-সম্পদ উপার্জনে মনোযোগী হওয়াও জরুরি। তবে তা অবশ্য বৈধ উপায়ে এবং আত্মিক উন্নতির ধারাকে ব্যাহত না করে। বৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের সময়ও ভুলে গেলে চলবে না যে দুনিয়ার প্রয়োজন মেটানোর বেলায়ও অর্থ-সম্পদ সরাসরি কোনো উপকার দিতে পারে না। বরং তা আরাম-আয়েশ বাড়ানোর মাধ্যমই হতে পারে মাত্র। মানুষ যখন অর্থকে জীবনের পরম লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নেয়, তখন সব সময় এর ধান্দায় পড়ে থাকে। সে যে এই ধান্দার ভেতরে পড়ে নিজের প্রকৃত সুখ-শান্তিও বিসর্জন দেয়, এর খবরও সে রাখে না। এভাবে দেখা যায়, দুনিয়াদারের জন্য নিজের অর্থবিত্ত ও তার জীবনের প্রকৃত সুখ-শান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৮৮. লা-কিনির্ রাছূলু ওয়াল্লাযীনা আ-মানূ মাআ'হূ জা-হাদূ বিআমওয়া-লিহিম ওয়া আনফুছিহিম; ওয়া উলা-য়িকা লাহুমুল খাইরা-তু ওয়া উলা-য়িকা হুমুল মুফলিহূন।
৮৯. আআ'দ্দাল্লা-হু লাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ্তিহাল আনহা-রু খা-লিদীনা ফীহা-; যা-লিকাল ফাওযুল আ'যীম। [সুরা : আত্ তাওবা, আয়াত : ৮৫-৮৯]
অনুবাদ : ৮৫. তাদের ধনবল ও জনবল যেন আপনাকে বিস্মিত না করে। আল্লাহ তো এসব দিয়ে তাদের পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান এবং কাফির অবস্থায়ই তারা মৃত্যুবরণ করবে।
৮৬. 'আল্লাহর প্রতি ইমান আনো এবং তাঁর রাসুলের সঙ্গী হয়ে জিহাদ করো'_এ মর্মে যখন কোনো সুরা নাজিল হয়, তখন তাদের অর্থাৎ মুনাফিকদের মধ্যে যারা সক্ষম, তারাও আপনার কাছে এসে (যুদ্ধে যাওয়া থেকে) অব্যাহতি চায়। তারা বলে, যারা অব্যাহতি পেয়েছে, আমাদেরও তাদের সঙ্গে থাকতে দিন।
৮৭. তারা ঘরে থেকে যাওয়া নারী-শিশুদের সঙ্গে থাকাটাই পছন্দ করে। তাদের অন্তরে মোহর করে দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা (দায়িত্বহীনতাটা) অনুধাবন করতে পারে না।
৮৮. কিন্তু রাসুল (সা.) এবং যেসব লোক তার সঙ্গে ইমান এনেছে, তারা নিজেদের জানমাল দিয়ে জিহাদ করছেন। তাঁদের জন্যই যাবতীয় কল্যাণ এবং তাঁরাই কৃতকার্য।
৮৯. আল্লাহ তাদের জন্য এমন সব উদ্যান তৈরি করে রেখেছেন, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। এতে তারা চিরকাল থাকবে। এটা এক মহাসাফল্য।
ব্যাখ্যা : ৮৫ নম্বর আয়াতটি এই সুরার ৫৫ নম্বর আয়াতেরই অনুরূপ। এ আয়াতে দুনিয়ার ধন-দৌলত সম্পর্কিত এক মহাসত্যের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। ইসলামের শিক্ষা হলো, ধন-দৌলত অত বড় মাপের কোনো বিষয় নয়, যা মানব জীবনের পরম লক্ষ্য হতে পারে। সুতরাং ধনবল ও জনবলের প্রতি মানুষের অত আগ্রহ থাকা উচিত নয়। মানুষের আসল লক্ষ্য তো হবে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও আত্মিক সম্পদের উৎকর্ষ সাধন। আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষ মনুষ্যত্বে যে উন্নত স্তরে পেঁৗছাতে পারে, সেটাই মানুষের পরম সাফল্য। এ কথাটিই বলা হয়েছে ৮৯ নম্বর আয়াতের শেষে।
দুনিয়ায় বেঁচে থাকতে হলে অধম-মহৎ সব মানুষেরই অর্থ-সম্পদের প্রয়োজন হয়। সে জন্য অর্থ-সম্পদ উপার্জনে মনোযোগী হওয়াও জরুরি। তবে তা অবশ্য বৈধ উপায়ে এবং আত্মিক উন্নতির ধারাকে ব্যাহত না করে। বৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের সময়ও ভুলে গেলে চলবে না যে দুনিয়ার প্রয়োজন মেটানোর বেলায়ও অর্থ-সম্পদ সরাসরি কোনো উপকার দিতে পারে না। বরং তা আরাম-আয়েশ বাড়ানোর মাধ্যমই হতে পারে মাত্র। মানুষ যখন অর্থকে জীবনের পরম লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে নেয়, তখন সব সময় এর ধান্দায় পড়ে থাকে। সে যে এই ধান্দার ভেতরে পড়ে নিজের প্রকৃত সুখ-শান্তিও বিসর্জন দেয়, এর খবরও সে রাখে না। এভাবে দেখা যায়, দুনিয়াদারের জন্য নিজের অর্থবিত্ত ও তার জীবনের প্রকৃত সুখ-শান্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments