সাক্ষাৎকার-চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে যা দৃশ্যমান by মহিউদ্দিন চৌধুরী

প্রথম আলো: পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নতুন কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। চট্টগ্রামের উন্নয়নের ব্যাপারে কোনো ঘোষণা দিতে আপনারা কি প্রধানমন্ত্রীকে তাগাদা দিয়েছিলেন? এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী: মহাসমাবেশের আগে আমরা নেত্রীকে তাগাদা দিয়েছিলাম। উনি বলেছেন, যে প্রকল্পগুলো আগে হাতে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়ন হোক।


অন্য প্রকল্পগুলো ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে বর্তমান সরকারের আমলে নগরসহ চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে, যা দৃশ্যমান। তাই শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাভ নেই। বাস্তবায়ন করা বড় কথা।
প্রথম আলো: চট্টগ্রামের অনেক উন্নয়ন হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডের সমাবেশে উল্লেখ করেছেন। বিএনপি বলেছে, জোট সরকারের আমলে এসব প্রকল্প নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী: আমাদের আগের সরকারের (১৯৯৬-২০০১) আমলে নেওয়া অনেক প্রকল্পের কৃতিত্ব বিগত প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নিয়েছেন। ওই সময় তো আমরা কিছু বলিনি। আমি চাই চট্টগ্রামের উন্নয়ন। সেটা কে করেছেন তা দেখার বিষয়। নাগরিকেরা উপকৃত হচ্ছে কি না সেটা বিবেচ্য বিষয়। এসব নিয়ে রাজনীতি আমি পছন্দ করি না। কারণ চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন।
প্রথম আলো: কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল ও গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণসহ চট্টগ্রামকে অর্থনৈতিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সোয়া তিন বছর আগে লালদীঘি ময়দানের নির্বাচনী জনসভায়ও তিনি এসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা কতটুকু বাস্তবায়নযোগ্য?
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী: প্রতিশ্রুতি দিলেই তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এমন নয়। যেকোনো সরকার স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কিছু প্রকল্প নিয়ে থাকে। যেমন গভীর সমুদ্র বন্দর ও কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ দীর্ঘ প্রকল্পের মধ্যে পড়ে। আমাদের দলের সরকার কর্ণফুলীতে টানেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে। তাই আমরা বলতে পারি, ধীরে ধীরে অন্য বড় প্রকল্পের কাজও শুরু হবে। একবার শুরু হলে তা একদিন বাস্তবায়ন হবেই।

No comments

Powered by Blogger.