হোমল্যান্ড সিকিউরিটির দৃষ্টিতে বাংলাদেশের ৩টি দল সন্ত্রাসীদের সহায়ক by লাভলু আনসার
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিকে সন্ত্রাসীদের সহায়ক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট। এর ফলে এ ৩ দলের সমর্থক হিসেবে গত ৬/৭ বছরে যাদের রাজনৈতিক আশ্রয় মঞ্জুর হয়েছে তারা এখনও গ্রিনকার্ড পান নি।
বলা হচ্ছে, নিরাপত্তার প্রশ্নে আবেদনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পেন্ডিং (স্থগিত) রাখা হয়েছে। শতশত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৫ সহস্রাধিক অভিবাসী (ইমিগ্র্যান্ট) এ রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রণীত ‘প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট’র কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ আইনের পথ ধরে ২০০৫ সালে ‘রিয়েল আইডি অ্যাক্ট’ নামের আরো একটি আইন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ৩ স্তরে ভাগ করা হয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তালিকায়। আর এ তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর নাম দেখা যায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে। সমস্যা হয়েছে তৃতীয় স্তরের তালিকা নিয়ে। এগুলো সর্বসাধারণ দেখতে পান না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কর্মরত ফেডারেল কর্মকর্তারাই শুধু বিষয়টি জানেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট, ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণারত সুশীল সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিদের বৈঠকে তৃতীয় স্তরের তালিকা নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছে গত ২০ মার্চ।
সেখানেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কিছু সংগঠনের নাম কেন ঐ তালিকা থেকে বাদ দেয়া বা অপসারণ করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঐ বৈঠকে অংশ নেয়া হিব্রু ইমিগ্র্যান্ট এইড সোসাইটির সিনিয়র ডাইরেক্টর (ইউএস প্রোগ্রামস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি) মিস মেলানি এবং হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের সিনিয়র কাউন্সেল (রিফিউজি প্রটেকশন প্রোগ্রাম) এনওয়েন হাজেজ ই-মেইল যোগাযোগে কয়েকজন ভিকটমকে জানিয়েছেন, ইউএসএ প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট ২০০১ এবং রিয়েল আইডি অ্যাক্ট-২০০৫ সম্পর্কে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
সেখানে মুজাহিদীন, ন্যাশনাল ইসলামিক ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান, জমিয়তে ইসলামী, হরকাত-ই ইসলামী, কুর্দিশ ডেমোক্রাটিক পার্টি, অল বার্মা স্টুডেন্ট ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট, গডস আর্মি, সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি, ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্স, ইরিত্রিয়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট, কোয়ালিশন ফর ইউনিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি, অ্যালায়েন্স ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি, ভারতের আকালি দল এবং বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নাম আর কতদিন তৃতীয় স্তরের তালিকায় থাকবে সে ব্যাপারে আলোচনার অবকাশ রয়েছে।
জানা গেছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি ল’র সেকশন ২১২ (এ) (৩) অনুযায়ী দীর্ঘ একটি তালিকা রয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার নেই।
কোনোভাবে যারা প্রবেশ করেছেন তাদরকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয় না। এমনকি তাদেরকে স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্টের সুযোগও দেয়া হয় না। গত ৬ বছরে এ আইনে অনেক পরিবর্তন-পরিবর্ধন এবং সংশোধন এসেছে। কেউ যদি সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত কোনো সংগঠনকে অর্থ সহায়তা কিংবা এক কাপ চা পান করিয়ে থাকে তাহলে তাকেও নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার রয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই নিষিদ্ধ ব্যক্তির সন্তানকেও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি না দেয়ার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-নেত্রীদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে কোন বাধা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে এ দুটি দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ব্যাপারে নিরাপত্তার অজুহাতে আপত্তি দেখানো হচ্ছে।
২০০৭ সালে অ্যাসাইলাম (আশ্রয়) মঞ্জুর হয়েছে এমন কয়েকজন বাংলাদেশি বার্তা সংস্থা এনাকে জানান, তারা গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু বারবার জানানো হচ্ছে যে, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আসেনি। এভাবে প্রতি বছরই ফি দিয়ে তাদেরকে ওয়ার্ক অথরাইজেশনের কার্ড নবায়ন (রিনিউ) করতে হচ্ছে। তারা স্ত্রী-সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারছেন না।
নিজেরাও দেশে যেতে পারছেন না। এক অসহনীয় অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের অজুহাত দেখিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময়ের বেশি কোনো আবেদন ঝুলিয়ে রাখা যায় না।
আইন অনুযায়ী আপিল করা যায়। কিন্তু আপিল করতে গিয়ে পাছে আগের অনুমতিও যদি বাতিল হয়ে যায়- এ আশংকায় কেউই আপিলের পথে যাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং অন্যরা বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের প্রকাশ্য প্রশংসা করে আসছেন। কংগ্রেসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান পিটার কিং-এর সঙ্গে গত সপ্তাহে সাক্ষাৎ করেছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের।
সে সময়ও সরকারের নেয়া সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র সফর করে গেছেন। এরপর স্টেট ডিপার্টমেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।
এসত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে সন্ত্রাসীদের সহযোগী সংগঠনের তালিকায় কেন রাখা হয়েছে সে প্রশ্ন প্রবাসীদের।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশকে। তার বিরুদ্ধে অনেক দেন দরবার হয়। অবশেষে সে কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশের নাম প্রথমে প্রত্যাহার এবং পরবর্তী সময়ে সে কর্মসূচি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখন ভিন্ন পথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের পথে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলিও ইমিগ্রেশন বিভাগে এসবের কারণ জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে তারা সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের অজুহাত দেখিয়েছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র কেটিকিচেচেক ক্যাপলিন সংবাদ সংস্থা এনাকে বলেছেন, তালিকাটি স্টেট ডিপার্টমেন্টের। তারাই ভাল বলতে পারবেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য জানার জন্যে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয় কিন্তু কেউ মুখ খোলেননি।
৪ এপ্রিল বুধবার বাজারে আসা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘ঠিকানা’য় ‘শতশত বাংলাদেশি গ্রিনকার্ড পাচ্ছেন না’ শীর্ষক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এর ফলে কম্যুনিটিতেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আওয়ামী লীগের নাম কীভাবে সন্ত্রাসীদের সহযোগী সংগঠনের তালিকায় নেয়া হয়েছে?
এ আইনের পথ ধরে ২০০৫ সালে ‘রিয়েল আইডি অ্যাক্ট’ নামের আরো একটি আইন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে ৩ স্তরে ভাগ করা হয়েছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির তালিকায়। আর এ তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বা স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর নাম দেখা যায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে। সমস্যা হয়েছে তৃতীয় স্তরের তালিকা নিয়ে। এগুলো সর্বসাধারণ দেখতে পান না। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কর্মরত ফেডারেল কর্মকর্তারাই শুধু বিষয়টি জানেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট, ইমিগ্রেশন আইনজীবীদের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণারত সুশীল সমাজের শীর্ষ ব্যক্তিদের বৈঠকে তৃতীয় স্তরের তালিকা নিয়ে সর্বশেষ আলোচনা হয়েছে গত ২০ মার্চ।
সেখানেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কিছু সংগঠনের নাম কেন ঐ তালিকা থেকে বাদ দেয়া বা অপসারণ করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঐ বৈঠকে অংশ নেয়া হিব্রু ইমিগ্র্যান্ট এইড সোসাইটির সিনিয়র ডাইরেক্টর (ইউএস প্রোগ্রামস অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি) মিস মেলানি এবং হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের সিনিয়র কাউন্সেল (রিফিউজি প্রটেকশন প্রোগ্রাম) এনওয়েন হাজেজ ই-মেইল যোগাযোগে কয়েকজন ভিকটমকে জানিয়েছেন, ইউএসএ প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট ২০০১ এবং রিয়েল আইডি অ্যাক্ট-২০০৫ সম্পর্কে আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
সেখানে মুজাহিদীন, ন্যাশনাল ইসলামিক ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান, জমিয়তে ইসলামী, হরকাত-ই ইসলামী, কুর্দিশ ডেমোক্রাটিক পার্টি, অল বার্মা স্টুডেন্ট ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট, গডস আর্মি, সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি, ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক অ্যালায়েন্স, ইরিত্রিয়ান পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট, কোয়ালিশন ফর ইউনিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেসি, অ্যালায়েন্স ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি, ভারতের আকালি দল এবং বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নাম আর কতদিন তৃতীয় স্তরের তালিকায় থাকবে সে ব্যাপারে আলোচনার অবকাশ রয়েছে।
জানা গেছে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি ল’র সেকশন ২১২ (এ) (৩) অনুযায়ী দীর্ঘ একটি তালিকা রয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি অথবা সংগঠনের সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার নেই।
কোনোভাবে যারা প্রবেশ করেছেন তাদরকে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয় না। এমনকি তাদেরকে স্ট্যাটাস অ্যাডজাস্টমেন্টের সুযোগও দেয়া হয় না। গত ৬ বছরে এ আইনে অনেক পরিবর্তন-পরিবর্ধন এবং সংশোধন এসেছে। কেউ যদি সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত কোনো সংগঠনকে অর্থ সহায়তা কিংবা এক কাপ চা পান করিয়ে থাকে তাহলে তাকেও নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার রয়েছে।
শুধু তাই নয়, এই নিষিদ্ধ ব্যক্তির সন্তানকেও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি না দেয়ার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-নেত্রীদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে কোন বাধা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে এ দুটি দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের ব্যাপারে নিরাপত্তার অজুহাতে আপত্তি দেখানো হচ্ছে।
২০০৭ সালে অ্যাসাইলাম (আশ্রয়) মঞ্জুর হয়েছে এমন কয়েকজন বাংলাদেশি বার্তা সংস্থা এনাকে জানান, তারা গ্রিনকার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু বারবার জানানো হচ্ছে যে, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স আসেনি। এভাবে প্রতি বছরই ফি দিয়ে তাদেরকে ওয়ার্ক অথরাইজেশনের কার্ড নবায়ন (রিনিউ) করতে হচ্ছে। তারা স্ত্রী-সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্রে আনতে পারছেন না।
নিজেরাও দেশে যেতে পারছেন না। এক অসহনীয় অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। এ ব্যাপারে ইমিগ্রেশন অ্যাটর্নিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের অজুহাত দেখিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময়ের বেশি কোনো আবেদন ঝুলিয়ে রাখা যায় না।
আইন অনুযায়ী আপিল করা যায়। কিন্তু আপিল করতে গিয়ে পাছে আগের অনুমতিও যদি বাতিল হয়ে যায়- এ আশংকায় কেউই আপিলের পথে যাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন রাষ্ট্রক্ষমতায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এবং অন্যরা বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের প্রকাশ্য প্রশংসা করে আসছেন। কংগ্রেসে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান পিটার কিং-এর সঙ্গে গত সপ্তাহে সাক্ষাৎ করেছেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের।
সে সময়ও সরকারের নেয়া সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্র সফর করে গেছেন। এরপর স্টেট ডিপার্টমেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।
এসত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে সন্ত্রাসীদের সহযোগী সংগঠনের তালিকায় কেন রাখা হয়েছে সে প্রশ্ন প্রবাসীদের।
প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, স্পেশাল রেজিস্ট্রেশন কর্মসূচির আওতায় নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশকে। তার বিরুদ্ধে অনেক দেন দরবার হয়। অবশেষে সে কর্মসূচি থেকে বাংলাদেশের নাম প্রথমে প্রত্যাহার এবং পরবর্তী সময়ে সে কর্মসূচি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এখন ভিন্ন পথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের পথে বাধা দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের কো-চেয়ার কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলিও ইমিগ্রেশন বিভাগে এসবের কারণ জানতে চেয়েছিলেন। উত্তরে তারা সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্সের অজুহাত দেখিয়েছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র কেটিকিচেচেক ক্যাপলিন সংবাদ সংস্থা এনাকে বলেছেন, তালিকাটি স্টেট ডিপার্টমেন্টের। তারাই ভাল বলতে পারবেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের বক্তব্য জানার জন্যে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হয় কিন্তু কেউ মুখ খোলেননি।
৪ এপ্রিল বুধবার বাজারে আসা নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘ঠিকানা’য় ‘শতশত বাংলাদেশি গ্রিনকার্ড পাচ্ছেন না’ শীর্ষক এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। এর ফলে কম্যুনিটিতেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, আওয়ামী লীগের নাম কীভাবে সন্ত্রাসীদের সহযোগী সংগঠনের তালিকায় নেয়া হয়েছে?
No comments