গোলটেবিল বৈঠক: সবার জন্য সুপেয় পানি-পানি ব্যবহারে সচেতনতা চাই
সুপেয় পানির জন্য প্রতিটি গ্রামে অন্তত একটি পুকুর সংরক্ষণ করতে হবে। অনেক এলাকায় পানিতে আর্সেনিকের প্রকোপ, দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এ জন্য নদীদূষণ রোধ, পানির অপচয় বন্ধ, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর কার্যালয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী, সাংসদ, আমলা ও বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। তাঁদের মতে, পানি ব্যবহারে মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
‘সবার জন্য সুপেয় পানি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপাশি পানি আইন পাস ও বাস্তবায়ন অবিলম্বে করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পানির সমস্যা সমাধানে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। ইতিমধ্যে কিছু সফলতাও এসেছে। ঢাকার পরিস্থিতি তিনি নিজে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, পুকুর সংরক্ষণ ও মজা পুকুর পুনঃখননের পরিকল্পনা সরকারের আছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দাবি করা হয় জাতীয়ভাবে ৮১ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। এই গড় হিসাবের মধ্যে কিছু ত্রুটি আছে। দুর্গম এলাকায় (হাওর, চর, উপকূল) ২৪, পার্বত্য চট্টগ্রামে ৬৬ এবং আর্সেনিক দূষিত এলাকায় ৩৬ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পায়।
পানি সংগ্রহ, বিতরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাধিক আলোচক। মুজিবুর রহমান বলেন, সুপেয় পানির ৯৯ শতাংশ উত্তোলন করা হয় ভূগর্ভ থেকে। সুপেয় পানির ৮৫ শতাংশ ব্যবহার করা হয় কৃষিকাজে। মাত্র ১১ শতাংশ পানি পান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, শহরে ও গ্রামে এবং একই শহরের বিভিন্ন অংশে বসবাসকারী মানুষের পানিপ্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জুয়েনা আজিজ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার নলকূপের পানিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে। সরকার ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট এলাকার মধুমতী থেকে রূপসা নদীতে মিষ্টি পানি নেওয়ার জন্য সরকার পরিকল্পনা করেছে।
গোলটেবিল বৈঠকে একাধিক আলোচক খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পানি-পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক বলে বর্ণনা করেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই তিনটি জেলায় লোনা পানির প্রবল প্রভাব। আলোচনায় অংশ নিয়ে খুলনা-১ অঞ্চলের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সাংসদ ননী গোপাল মণ্ডল বলেন, তিনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন এলাকার মানুষ। তাঁর অঞ্চলে ১১০০-১২০০ ফুট মাটির গভীরেও মিষ্টি পানি পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত কমছে, জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির ব্যবহার বহুগুণ বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের নদীগুলোর উজানে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। কিছু নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে বাকিগুলোতে বাঁধ দিয়ে মিঠা পানির আধার নির্মাণের প্রস্তাব করেন তিনি। এতে ভাটি থেকে লোনা পানি আসাও বন্ধ হবে।
প্রতিটি ইউনিয়নে কমপক্ষে একটি করে পুকুর সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিতে প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ননী গোপাল মণ্ডল। ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জুয়েনা আজিজ বলেন, জাতীয় পানি নীতিতে পুকুর সংরক্ষণের বিষয়টি আছে।
স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা কমছে। নদীদূষণ হচ্ছে, শুকাচ্ছে। পানি নিয়ে বৈশ্বিক গোলযোগ দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি নিয়ে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় ঠিক করতেই এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়াটারএইডের বাংলাদেশি প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে সবার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা ছিল সাহসী অঙ্গীকার। কিন্তু সেই অঙ্গীকার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানির মালিক কে? প্রতিবছর ঢাকা শহরে ৩০০ কোটি টাকার পানির ব্যবসা হচ্ছে। পানি না হয়ে তেল বা গ্যাস হলে কোম্পানিগুলো কি এভাবে তা তুলতে পারত?’ যেখানে-সেখানে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি তোলা বন্ধ করতে আইন করার সুপারিশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহসভাপতি ও পানি বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ বলেন, আর্সেনিক সমস্যা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয়, কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ কমিটিগুলোর সভা হয় না। আর্সেনিক সমস্যা ভুলে যাওয়ার অর্থ হলো মানুষের সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করা। তাঁর অভিযোগ, আর্সেনিক সমস্যা সমাধানে দাতারা আগ্রহ দেখায়নি। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা গভীর নলকূপ বেশি দিয়েছেন আর্সেনিকের প্রকোপ কম এমন এলাকায়।
পানির মূল্য নিয়ে একাধিক অংশগ্রহণকারী বক্তব্য দেন। বগুড়ার আরডিএর কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, মানুষ সবকিছু কিনতে পারে, অথচ পানি কিনতে চায় না। এই মানসিকতা পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি জানান, দেশের ১৩৫টি গ্রামে ব্যয় ভাগাভাগি পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, পরিবারপিছু মাসিক ব্যয় ২৫ টাকার বেশি পড়ছে না।
অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক দিবালোক সিংহ বলেন, সরকারের সাংবিধানিক দায় সবাইকে সুপেয় পানি দেওয়া। বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সদিচ্ছা সরকারের থাকা উচিত। এতে প্রয়োজনে বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানির দাম ছয় টাকার কিছু বেশি। অথচ মাত্র ২০ লিটারের এক কলসি পানি বস্তিবাসীরা কেনে এক বা দুই টাকায়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বরিশাল—এসব এলাকার পানির সমস্যা ভিন্ন। অন্যদিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন শহরে পানির সমস্যা পৃথক। তিনি বলেন, আর্সেনিক মোকাবিলার নামে নলকূপে লাল দাগ দিতেই শতকোটি টাকা লোপাট করা হয়েছিল। পানির সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়ে তিনি বলেন, ‘পানির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। শিক্ষিত মানুষ পানি বেশি অপচয় করে।
‘সবার জন্য সুপেয় পানি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপাশি পানি আইন পাস ও বাস্তবায়ন অবিলম্বে করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, পানির সমস্যা সমাধানে সরকারের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। ইতিমধ্যে কিছু সফলতাও এসেছে। ঢাকার পরিস্থিতি তিনি নিজে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, পুকুর সংরক্ষণ ও মজা পুকুর পুনঃখননের পরিকল্পনা সরকারের আছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, দাবি করা হয় জাতীয়ভাবে ৮১ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে। এই গড় হিসাবের মধ্যে কিছু ত্রুটি আছে। দুর্গম এলাকায় (হাওর, চর, উপকূল) ২৪, পার্বত্য চট্টগ্রামে ৬৬ এবং আর্সেনিক দূষিত এলাকায় ৩৬ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পায়।
পানি সংগ্রহ, বিতরণ ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে এমন বক্তব্য উপস্থাপন করেন একাধিক আলোচক। মুজিবুর রহমান বলেন, সুপেয় পানির ৯৯ শতাংশ উত্তোলন করা হয় ভূগর্ভ থেকে। সুপেয় পানির ৮৫ শতাংশ ব্যবহার করা হয় কৃষিকাজে। মাত্র ১১ শতাংশ পানি পান করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, শহরে ও গ্রামে এবং একই শহরের বিভিন্ন অংশে বসবাসকারী মানুষের পানিপ্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বৈষম্য আছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জুয়েনা আজিজ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের প্রায় প্রতিটি জেলার নলকূপের পানিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে। সরকার ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট এলাকার মধুমতী থেকে রূপসা নদীতে মিষ্টি পানি নেওয়ার জন্য সরকার পরিকল্পনা করেছে।
গোলটেবিল বৈঠকে একাধিক আলোচক খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার পানি-পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক বলে বর্ণনা করেন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই তিনটি জেলায় লোনা পানির প্রবল প্রভাব। আলোচনায় অংশ নিয়ে খুলনা-১ অঞ্চলের (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) সাংসদ ননী গোপাল মণ্ডল বলেন, তিনি অত্যন্ত সংকটাপন্ন এলাকার মানুষ। তাঁর অঞ্চলে ১১০০-১২০০ ফুট মাটির গভীরেও মিষ্টি পানি পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাত কমছে, জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানির ব্যবহার বহুগুণ বাড়ছে। অন্যদিকে দেশের নদীগুলোর উজানে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। কিছু নদীর প্রবাহ ঠিক রেখে বাকিগুলোতে বাঁধ দিয়ে মিঠা পানির আধার নির্মাণের প্রস্তাব করেন তিনি। এতে ভাটি থেকে লোনা পানি আসাও বন্ধ হবে।
প্রতিটি ইউনিয়নে কমপক্ষে একটি করে পুকুর সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিতে প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন ননী গোপাল মণ্ডল। ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জুয়েনা আজিজ বলেন, জাতীয় পানি নীতিতে পুকুর সংরক্ষণের বিষয়টি আছে।
স্বাগত বক্তব্যে প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা কমছে। নদীদূষণ হচ্ছে, শুকাচ্ছে। পানি নিয়ে বৈশ্বিক গোলযোগ দেখা দিতে পারে এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পানি নিয়ে স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদে করণীয় ঠিক করতেই এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়াটারএইডের বাংলাদেশি প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে সবার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা ছিল সাহসী অঙ্গীকার। কিন্তু সেই অঙ্গীকার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানির মালিক কে? প্রতিবছর ঢাকা শহরে ৩০০ কোটি টাকার পানির ব্যবসা হচ্ছে। পানি না হয়ে তেল বা গ্যাস হলে কোম্পানিগুলো কি এভাবে তা তুলতে পারত?’ যেখানে-সেখানে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি তোলা বন্ধ করতে আইন করার সুপারিশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহসভাপতি ও পানি বিশেষজ্ঞ ফিরোজ আহমেদ বলেন, আর্সেনিক সমস্যা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয়, কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ কমিটিগুলোর সভা হয় না। আর্সেনিক সমস্যা ভুলে যাওয়ার অর্থ হলো মানুষের সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত না করা। তাঁর অভিযোগ, আর্সেনিক সমস্যা সমাধানে দাতারা আগ্রহ দেখায়নি। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তারা গভীর নলকূপ বেশি দিয়েছেন আর্সেনিকের প্রকোপ কম এমন এলাকায়।
পানির মূল্য নিয়ে একাধিক অংশগ্রহণকারী বক্তব্য দেন। বগুড়ার আরডিএর কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, মানুষ সবকিছু কিনতে পারে, অথচ পানি কিনতে চায় না। এই মানসিকতা পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি জানান, দেশের ১৩৫টি গ্রামে ব্যয় ভাগাভাগি পানি সরবরাহ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে দেখা যাচ্ছে, পরিবারপিছু মাসিক ব্যয় ২৫ টাকার বেশি পড়ছে না।
অন্যদিকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দুস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক দিবালোক সিংহ বলেন, সরকারের সাংবিধানিক দায় সবাইকে সুপেয় পানি দেওয়া। বেশির ভাগ দরিদ্র মানুষের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার সদিচ্ছা সরকারের থাকা উচিত। এতে প্রয়োজনে বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানির দাম ছয় টাকার কিছু বেশি। অথচ মাত্র ২০ লিটারের এক কলসি পানি বস্তিবাসীরা কেনে এক বা দুই টাকায়।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে জাহাঙ্গীর কবির বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বরিশাল—এসব এলাকার পানির সমস্যা ভিন্ন। অন্যদিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনাসহ বিভিন্ন শহরে পানির সমস্যা পৃথক। তিনি বলেন, আর্সেনিক মোকাবিলার নামে নলকূপে লাল দাগ দিতেই শতকোটি টাকা লোপাট করা হয়েছিল। পানির সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়ে তিনি বলেন, ‘পানির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। শিক্ষিত মানুষ পানি বেশি অপচয় করে।
No comments