ওয়াসা কত দিন মহামারির উৎস হয়ে থাকবে?ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ
পানির অপর নাম যেখানে জীবন, সেখানে পানিই অজস্র শিশুর বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, গ্রীষ্মের সময়টায় ঢাকার মতো মহানগরে ডায়রিয়া প্রায় মহামারির আকার ধারণ করে এবং এর শিকার বেশির ভাগই হয় শিশু। এবার ডায়রিয়া একা আসেনি, সঙ্গে নিয়ে এসেছে কলেরা বা তীব্র ডায়রিয়া।
বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর সংবাদে জানা যাচ্ছে, গত ২৪ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআরবি) ভর্তি হয়েছে আট হাজার ৪৮৮ জন এবং এদের ৩১ শতাংশই কলেরায় আক্রান্ত। উদ্বেগের বিষয়, এদের প্রায় অর্ধেকেরই বয়স পাঁচ বছর বা তার কম।
বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে পানিদূষণকেই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেছেন। এই স্বাস্থ্যবিপর্যয় আসলে ঢাকার পানি সরবরাহব্যবস্থার বিপর্যয়েরই খেসারত। সেই খেসারতটা দিতে হচ্ছে শিশুদের; যাদের দায় এবং প্রতিরোধক্ষমতা দুটোই সবচেয়ে কম। মূলত, ঢাকার যেসব অঞ্চলে ওয়াসার সরবরাহ করা পানি হয় দূষিত নয়তো অপর্যাপ্ত, সেখান থেকেই বেশি রোগী আসছে। এককথায়, ওয়াসার দূষিত পানিই হয়ে উঠেছে কলেরা ও ডায়রিয়া মহামারির ‘গণবিধ্বংসী’ উৎস।
মানুষের জীবনের জন্য হুমকিপূর্ণ যেকোনো পরিস্থিতিতে শিশুরাই আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি। পানির সমস্যা কতটা ব্যাপক হলে তা শিশুদের জীবনের জন্য জাতীয় হুমকি হয়ে ওঠে, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। প্রতিবছর গ্রীষ্মে এই একই বিপদের মধ্যে পড়লেও ওয়াসার কোনো বোধোদয় ঘটে বলে মনে হয় না। অকার্যকর ও অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার এই ‘গণবিধ্বংসী’ বাস্তবতার প্রতিকার না করলে আরও বড় বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ঘাটতি এলাকায় সুপেয় পানির বন্দোবস্ত করতে হবে। সবাই যাতে পানি ফুটিয়ে খায়, তার জন্য গণপ্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি জানানো জরুরি। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে ডায়রিয়া ও কলেরার রোগীদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে। কলেরার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য জরুরি সরকারি সাহায্য প্রয়োজন। আশা করি, ঢাকা ওয়াসা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতির প্রয়োজনমাফিক সাড়া দিতে সক্ষম হবে।
বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিকভাবে পানিদূষণকেই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেছেন। এই স্বাস্থ্যবিপর্যয় আসলে ঢাকার পানি সরবরাহব্যবস্থার বিপর্যয়েরই খেসারত। সেই খেসারতটা দিতে হচ্ছে শিশুদের; যাদের দায় এবং প্রতিরোধক্ষমতা দুটোই সবচেয়ে কম। মূলত, ঢাকার যেসব অঞ্চলে ওয়াসার সরবরাহ করা পানি হয় দূষিত নয়তো অপর্যাপ্ত, সেখান থেকেই বেশি রোগী আসছে। এককথায়, ওয়াসার দূষিত পানিই হয়ে উঠেছে কলেরা ও ডায়রিয়া মহামারির ‘গণবিধ্বংসী’ উৎস।
মানুষের জীবনের জন্য হুমকিপূর্ণ যেকোনো পরিস্থিতিতে শিশুরাই আক্রান্ত হয় সবচেয়ে বেশি। পানির সমস্যা কতটা ব্যাপক হলে তা শিশুদের জীবনের জন্য জাতীয় হুমকি হয়ে ওঠে, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। প্রতিবছর গ্রীষ্মে এই একই বিপদের মধ্যে পড়লেও ওয়াসার কোনো বোধোদয় ঘটে বলে মনে হয় না। অকার্যকর ও অপর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার এই ‘গণবিধ্বংসী’ বাস্তবতার প্রতিকার না করলে আরও বড় বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ঘাটতি এলাকায় সুপেয় পানির বন্দোবস্ত করতে হবে। সবাই যাতে পানি ফুটিয়ে খায়, তার জন্য গণপ্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি জানানো জরুরি। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে ডায়রিয়া ও কলেরার রোগীদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে। কলেরার চিকিৎসা ব্যয়বহুল হওয়ায় দরিদ্র পরিবারের শিশুদের জন্য জরুরি সরকারি সাহায্য প্রয়োজন। আশা করি, ঢাকা ওয়াসা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিস্থিতির প্রয়োজনমাফিক সাড়া দিতে সক্ষম হবে।
No comments