সময় কি ওষুধকে প্রভাবিত করে? by শেখআবদুল হাকিম
গবেষকরা বলছেন, সংক্রমিত হবার ঝুঁকির প্রশ্নে সময় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে উঠতে পারে। তাঁরা দেখিয়েছেন, সারাদিনে মানুষের শরীরের রসায়ন পরিবর্তিত হওয়ার দ্বারা রোগপ্রতিরোধ পদ্ধতিতে [ ইমিউন সিস্টেম ] কীভাবে একটা প্রোটিন প্রভাবিত হয়। এ সংক্রান্ত নতুন পাওয়া তথ্য জার্নাল ইমিউনিটি-তে ছাপা হয়েছে,
তাতে বলা হয়েছে কোন সময় সংক্রমণ ঘটল তার ওপর নির্ভর করছে সেটার প্রচণ্ডতা। একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে—আর খুব বেশি দেরি নেই ওষুধ যখন দেহঘড়ির সুযোগ-সুবিধে গ্রহণ করবে।
উদ্ভিদ, পশুপাখি, এমনকি জীবাণুও দৈনিক চব্বিশ ঘণ্টার একটা রুটিন ধরে চলে, সার্কেডিয়ান রিদম নামে পরিচিত। আলাদা সময়ে ভাগ করা অঞ্চল পার হওয়ার ফলে পরিবেশ যদি শরীরের সঙ্গে খাপ না খায়, ভ্রমণজনিত ক্লান্তি পেয়ে বসবে আপনাকে।
এটা জানা ছিল যে ইমিউন সিস্টেম সারাদিন এক রকম থাকে না। গবেষকরা এখন সেটার গভীরে ঢুকে বিশদ বিবরণ সংগ্রহ করছেন।
আগে চিনতে হবে, তারপর না সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই শুরু করবে ইমিউন সিস্টেম। সনাক্তকরণ পদ্ধতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রোটিনগুলোর একটা (TLR9) তদন্ত করে দেখছে ইয়েল ভার্সিটির মেডিকেল শাখার গবেষকরা। ওটা ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাসের ডিএনএ চিনতে পারে।
ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, টিএলআরনাইনের তৈরি হওয়ার পরিমাণ এবং কাজের ধারা নিয়ন্ত্রিত হয় দেহঘড়ির দ্বারা, এবং সেটা দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম।
গবেষকরা জানিয়েছেন, টিএলআরনাইনের সক্রিয়তা তুঙ্গে থাকার সময় ইঁদুরকে প্রতিষেধক দিয়ে দেখা গেছে ওগুলোর প্রতিরোধ শক্তি বেড়েছে। তাঁরা বলছেন, যেসব মানুষের পচনশীল ক্ষত [ সেপসিস ] বা রক্তদুষণ আছে, বেলা দুটো থেকে সন্ধে ছ’টার মধ্যে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকার কথা জানা গেছে।
সময়ের সঙ্গে যোগাযোগ
টেস্ট করার সময় ইঁদুরের বেলায় দেখা গেছে, দুষ্টক্ষতের ভয়াবহতা নির্ভরশীল ছিল দিনের কোন সময় সংক্রমণ শুরু হয় তার ওপর, এবং কাকতালীয়ভাবে তখন টিএলআরনাইনের তৎপরতাতেও পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল।
এই পাঠ ও অন্বেষণের প্রধান প্রফেসর এরল ফিকরিগ বলেছেন, ‘সার্কেডিয়ান রিদম আর ইমিউন সিস্টেমের মাঝখানে সরাসরি একটা মলিকিউলার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা, যেটা ‘রোগপ্রতিরোধ এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে’।
ডক্টর অখিলেশ রেড্ডি, যিনি সার্কেডিয়ান রিদম নিয়ে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছেন, বলেছেন এটা ‘অনেক আগে থেকেই জানা ছিল’ যে ইমিউন সিস্টেমে সময়সূচির একটা প্রভাব আছে, তবে কারণটা জানার জন্য এই প্রথম হানা দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এর মানে দাঁড়াবে, ওষুধ-পত্র দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে দেয়া দরকার, সেগুলো যাতে আরও বেশি কার্যকর হয়, কিংবা এমন ওষুধ তৈরি করা প্রয়োজন যেগুলো আসলে সরাসরি দেহঘড়িকে টার্গেট করবে, রোগপ্রতিরোধ পদ্ধতি যাতে সবচেয়ে বেশি তৎপর অবস্থায় থাকে।
ডক্টর রেড্ডি বলেছেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো এখন এদিকে ঝুঁকছে, দিনের বিভিন্ন সময়ে ওষুধের প্রভাব বোঝার চেষ্টা করছে তারা। তাঁর ধারণা, দেহঘড়ির কাছ থেকে সুবিধে আদায় করার মতো ওষুধ পেতে বছর দশেক সময় লাগবে।
উদ্ভিদ, পশুপাখি, এমনকি জীবাণুও দৈনিক চব্বিশ ঘণ্টার একটা রুটিন ধরে চলে, সার্কেডিয়ান রিদম নামে পরিচিত। আলাদা সময়ে ভাগ করা অঞ্চল পার হওয়ার ফলে পরিবেশ যদি শরীরের সঙ্গে খাপ না খায়, ভ্রমণজনিত ক্লান্তি পেয়ে বসবে আপনাকে।
এটা জানা ছিল যে ইমিউন সিস্টেম সারাদিন এক রকম থাকে না। গবেষকরা এখন সেটার গভীরে ঢুকে বিশদ বিবরণ সংগ্রহ করছেন।
আগে চিনতে হবে, তারপর না সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই শুরু করবে ইমিউন সিস্টেম। সনাক্তকরণ পদ্ধতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রোটিনগুলোর একটা (TLR9) তদন্ত করে দেখছে ইয়েল ভার্সিটির মেডিকেল শাখার গবেষকরা। ওটা ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাসের ডিএনএ চিনতে পারে।
ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, টিএলআরনাইনের তৈরি হওয়ার পরিমাণ এবং কাজের ধারা নিয়ন্ত্রিত হয় দেহঘড়ির দ্বারা, এবং সেটা দিনের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম।
গবেষকরা জানিয়েছেন, টিএলআরনাইনের সক্রিয়তা তুঙ্গে থাকার সময় ইঁদুরকে প্রতিষেধক দিয়ে দেখা গেছে ওগুলোর প্রতিরোধ শক্তি বেড়েছে। তাঁরা বলছেন, যেসব মানুষের পচনশীল ক্ষত [ সেপসিস ] বা রক্তদুষণ আছে, বেলা দুটো থেকে সন্ধে ছ’টার মধ্যে মারা যাওয়ার ঝুঁকি থাকার কথা জানা গেছে।
সময়ের সঙ্গে যোগাযোগ
টেস্ট করার সময় ইঁদুরের বেলায় দেখা গেছে, দুষ্টক্ষতের ভয়াবহতা নির্ভরশীল ছিল দিনের কোন সময় সংক্রমণ শুরু হয় তার ওপর, এবং কাকতালীয়ভাবে তখন টিএলআরনাইনের তৎপরতাতেও পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল।
এই পাঠ ও অন্বেষণের প্রধান প্রফেসর এরল ফিকরিগ বলেছেন, ‘সার্কেডিয়ান রিদম আর ইমিউন সিস্টেমের মাঝখানে সরাসরি একটা মলিকিউলার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা, যেটা ‘রোগপ্রতিরোধ এবং রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে’।
ডক্টর অখিলেশ রেড্ডি, যিনি সার্কেডিয়ান রিদম নিয়ে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণা করছেন, বলেছেন এটা ‘অনেক আগে থেকেই জানা ছিল’ যে ইমিউন সিস্টেমে সময়সূচির একটা প্রভাব আছে, তবে কারণটা জানার জন্য এই প্রথম হানা দেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এর মানে দাঁড়াবে, ওষুধ-পত্র দিনের নির্দিষ্ট একটা সময়ে দেয়া দরকার, সেগুলো যাতে আরও বেশি কার্যকর হয়, কিংবা এমন ওষুধ তৈরি করা প্রয়োজন যেগুলো আসলে সরাসরি দেহঘড়িকে টার্গেট করবে, রোগপ্রতিরোধ পদ্ধতি যাতে সবচেয়ে বেশি তৎপর অবস্থায় থাকে।
ডক্টর রেড্ডি বলেছেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো এখন এদিকে ঝুঁকছে, দিনের বিভিন্ন সময়ে ওষুধের প্রভাব বোঝার চেষ্টা করছে তারা। তাঁর ধারণা, দেহঘড়ির কাছ থেকে সুবিধে আদায় করার মতো ওষুধ পেতে বছর দশেক সময় লাগবে।
No comments