দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আইনি প্রক্রিয়ায় হতে হবে-ভোজ্যতেলের অস্থির বাজার
ভোজ্যতেলের দাম শুধুই আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিজনিত কারণে ঘটছে বলে ব্যবসায়ীরা যে দাবি করছেন, তা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে। তাঁরা সাধারণত খণ্ডিত চিত্র হাজির করতেই উদ্গ্রীব, অসাধু ব্যবসায়ীদের হুজুগে দাম বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা নীরব থাকেন। সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রচারণা আছে, পদক্ষেপ নেই।
বিশেষত, সয়াবিনের দাম বাড়ানোসংক্রান্ত আইন প্রয়োগে সরকার ও ব্যবসায়ীদের ঔদাসীন্য খুবই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।
বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন সাংবাদিকদের বললেন, ডলার, জ্বালানি তেল ও ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সয়াবিনের দামে; এটা ‘যৌক্তিক’। গত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু প্রকৃত বৃদ্ধি এর চেয়ে বেশি। সামনে রমজান মাস। তিনি আমাদের সরকারি মজুদ পর্যাপ্ত থাকার কথা আশ্বস্ত করেছেন। সেটা ভালো। কিন্তু মজুদ সব সময় দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হয়নি।
ব্যবসায়ীরা নিশ্চয় বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করবেন না। কিন্তু সরকার ও ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে নারাজ। বাণিজ্যসচিব গতকাল এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে কিছুই উল্লেখ করেননি।
২০১১ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশের ৫ ধারা অনুযায়ী, ‘উৎপাদক, পরিশোধক বা আমদানিকারক অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিকভাবে হ্রাস, বৃদ্ধি বা পুনর্নির্ধারণ করতে ইচ্ছুক হলে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে উক্তরূপ হ্রাস, বৃদ্ধি বা পুনর্নির্ধারণ করবেন।’ এবং উক্তরূপে পুনর্নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হওয়ার অন্যূন ১৫ দিন আগে তা মনিটরিং সেল, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। আমরা মনে করি, এই বিধান অনুসরণ না করায় ভোজ্যতেলে ভোক্তাস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত বছরের জুলাইতে সর্বশেষ সরকার ও ব্যবসায়ীরা আলাপ-আলোচনা করে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করেছিলেন। এটা ধরে নেওয়া ভোক্তাস্বার্থবিরোধী যে, এই নিয়ম অনুসরণের প্রয়োজন ফুরিয়েছে।
সিটি গ্রুপের একজন মুখপাত্র প্রথম আলোকে বলেছেন, ১১৭৫ ডলারের সয়াবিন এখন ১২৯৫ ডলারে কিনতে হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এই তেল চলে আসবে। তখন হয়তো আবারও দাম বাড়াতে হতে পারে। লক্ষণীয় যে, এই গ্রুপটি গত ১২ মার্চ এবং এডিবেল অয়েল (রূপচাঁদা ব্র্যান্ড) সম্প্রতি পৃথকভাবে সেলের কাছে দাম বাড়ার কথা জানিয়েছে। এতে ওই বিধানের লঙ্ঘন ঘটেছে।
কারণ, আইনের শর্ত হচ্ছে, এককভাবে আবেদন করা যাবে না, সমিতির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই নিয়ম প্রণয়নের লক্ষ্য ছিল, ব্যবসায়ীরা যাতে স্বেচ্ছাচারী বা ক্রেতা অধিকারের প্রতি উদাসীন না হতে পারেন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলে তা অধিকতর যৌক্তিক হবে বলে ধরে নেওয়া চলে। সরকার ও ব্যবসায়ীরা মূল্য নির্ধারণ-বিষয়ক যে সিদ্ধান্তই নেন, তা অবশ্যই আইনের আওতায় হতে হবে।
বাণিজ্যসচিব গোলাম হোসেন সাংবাদিকদের বললেন, ডলার, জ্বালানি তেল ও ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে সয়াবিনের দামে; এটা ‘যৌক্তিক’। গত বছরের তুলনায় ১০ থেকে ১৩ টাকা বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু প্রকৃত বৃদ্ধি এর চেয়ে বেশি। সামনে রমজান মাস। তিনি আমাদের সরকারি মজুদ পর্যাপ্ত থাকার কথা আশ্বস্ত করেছেন। সেটা ভালো। কিন্তু মজুদ সব সময় দাম স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হয়নি।
ব্যবসায়ীরা নিশ্চয় বেশি দামে কিনে কম দামে বিক্রি করবেন না। কিন্তু সরকার ও ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা নিয়ে উচ্চবাচ্য করতে নারাজ। বাণিজ্যসচিব গতকাল এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে কিছুই উল্লেখ করেননি।
২০১১ সালের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক নিয়োগ আদেশের ৫ ধারা অনুযায়ী, ‘উৎপাদক, পরিশোধক বা আমদানিকারক অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিকভাবে হ্রাস, বৃদ্ধি বা পুনর্নির্ধারণ করতে ইচ্ছুক হলে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে উক্তরূপ হ্রাস, বৃদ্ধি বা পুনর্নির্ধারণ করবেন।’ এবং উক্তরূপে পুনর্নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হওয়ার অন্যূন ১৫ দিন আগে তা মনিটরিং সেল, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। আমরা মনে করি, এই বিধান অনুসরণ না করায় ভোজ্যতেলে ভোক্তাস্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গত বছরের জুলাইতে সর্বশেষ সরকার ও ব্যবসায়ীরা আলাপ-আলোচনা করে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করেছিলেন। এটা ধরে নেওয়া ভোক্তাস্বার্থবিরোধী যে, এই নিয়ম অনুসরণের প্রয়োজন ফুরিয়েছে।
সিটি গ্রুপের একজন মুখপাত্র প্রথম আলোকে বলেছেন, ১১৭৫ ডলারের সয়াবিন এখন ১২৯৫ ডলারে কিনতে হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এই তেল চলে আসবে। তখন হয়তো আবারও দাম বাড়াতে হতে পারে। লক্ষণীয় যে, এই গ্রুপটি গত ১২ মার্চ এবং এডিবেল অয়েল (রূপচাঁদা ব্র্যান্ড) সম্প্রতি পৃথকভাবে সেলের কাছে দাম বাড়ার কথা জানিয়েছে। এতে ওই বিধানের লঙ্ঘন ঘটেছে।
কারণ, আইনের শর্ত হচ্ছে, এককভাবে আবেদন করা যাবে না, সমিতির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। এই নিয়ম প্রণয়নের লক্ষ্য ছিল, ব্যবসায়ীরা যাতে স্বেচ্ছাচারী বা ক্রেতা অধিকারের প্রতি উদাসীন না হতে পারেন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলে তা অধিকতর যৌক্তিক হবে বলে ধরে নেওয়া চলে। সরকার ও ব্যবসায়ীরা মূল্য নির্ধারণ-বিষয়ক যে সিদ্ধান্তই নেন, তা অবশ্যই আইনের আওতায় হতে হবে।
No comments