মানুষের স্মৃতি—মানুষের জন্য মূল্যবান উপাদান
ডেইলি স্টার-এর আয়োজনে অদম্য চট্টগ্রাম উৎসবের ‘চিরায়ত চট্টগ্রাম’ প্রদর্শনীটির মূল পরিকল্পনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের সাবেক কিউরেটর শামসুল হোসাইন। তিনি গবেষণা করেছেন চট্টগ্রামের মুসলিম স্থাপত্য, চট্টগ্রামের ঔপনিবেশিক স্থাপত্য প্রভৃতি বিষয়ে
প্রশ্ন: ‘চিরায়ত চট্টগ্রাম’ প্রদর্শনীটি থেকে একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হবে?
শামসুল হোসাইন: মানুষের স্মৃতি—মানুষের জন্য একটি মূল্যবান উপাদান। একইভাবে সমাজ, রাষ্ট্র বা অঞ্চলেরও থাকে সমষ্টিগত স্মৃতি। এসব স্মৃতি ইতিহাসচর্চার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চট্টগ্রামকে বলা হয়েছে ‘দাখিল বাঞ্জালিয়া’ বা বাংলার প্রবেশদ্বার। সুতরাং, এই প্রবেশদ্বারের ইতিহাস তো এ অঞ্চলের মানুষকে জানতে হবে। আমার ধারণা, এই প্রদর্শনী মানুষকে উদ্দীপ্ত করবে।
প্রশ্ন: প্রদর্শনীটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
শামসুল হোসাইন: আমরা চট্টগ্রামের মেয়রকে এই প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি এই প্রদর্শনী দেখে ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন। প্রদর্শনীটিকে একটি স্থায়ী রূপ দিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আশা করি, এই প্রদর্শনী একটি স্থায়ী রূপ পাবে। তখন হয়তো আরও অনেক কিছু এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
প্রশ্ন: ইতিহাস-ঐতিহ্য চর্চার ক্ষেত্রে জাদুঘরের গুরুত্ব সম্পর্কে বলুন।
শামসুল হোসাইন: দেখুন, ইতিহাস তো রূপকথা নয়, ইতিহাস রচিত হয় উপাদানের ভিত্তিতে। উপাদান যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না যায়, ডকুমেন্টশন না হয়, তাহলে এর মূল্য থাকে না। এই কাজগুলোর জন্য জাদুঘরের প্রয়োজন। সেখানে প্রশিক্ষিত জনবল থাকবে—যাঁরা সংগ্রহ করবেন, সংরক্ষণ করবেন, ডকুমেন্টশন করবেন এবং প্রদর্শন করবেন। ইতিহাসের গবেষকের জন্য জাদুঘরই তো তীর্থস্থান।
শামসুল হোসাইন: মানুষের স্মৃতি—মানুষের জন্য একটি মূল্যবান উপাদান। একইভাবে সমাজ, রাষ্ট্র বা অঞ্চলেরও থাকে সমষ্টিগত স্মৃতি। এসব স্মৃতি ইতিহাসচর্চার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। চট্টগ্রামকে বলা হয়েছে ‘দাখিল বাঞ্জালিয়া’ বা বাংলার প্রবেশদ্বার। সুতরাং, এই প্রবেশদ্বারের ইতিহাস তো এ অঞ্চলের মানুষকে জানতে হবে। আমার ধারণা, এই প্রদর্শনী মানুষকে উদ্দীপ্ত করবে।
প্রশ্ন: প্রদর্শনীটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
শামসুল হোসাইন: আমরা চট্টগ্রামের মেয়রকে এই প্রদর্শনীতে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি এই প্রদর্শনী দেখে ইতিহাস সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন। প্রদর্শনীটিকে একটি স্থায়ী রূপ দিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আশা করি, এই প্রদর্শনী একটি স্থায়ী রূপ পাবে। তখন হয়তো আরও অনেক কিছু এর সঙ্গে যুক্ত হবে।
প্রশ্ন: ইতিহাস-ঐতিহ্য চর্চার ক্ষেত্রে জাদুঘরের গুরুত্ব সম্পর্কে বলুন।
শামসুল হোসাইন: দেখুন, ইতিহাস তো রূপকথা নয়, ইতিহাস রচিত হয় উপাদানের ভিত্তিতে। উপাদান যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না যায়, ডকুমেন্টশন না হয়, তাহলে এর মূল্য থাকে না। এই কাজগুলোর জন্য জাদুঘরের প্রয়োজন। সেখানে প্রশিক্ষিত জনবল থাকবে—যাঁরা সংগ্রহ করবেন, সংরক্ষণ করবেন, ডকুমেন্টশন করবেন এবং প্রদর্শন করবেন। ইতিহাসের গবেষকের জন্য জাদুঘরই তো তীর্থস্থান।
No comments