১০ লাখে একটি!

সাত বছরের শিশু ওরা। একজনের গায়ের রং কালো। মাথায় কোঁকড়ানো কালো চুল। চোখ দুটিও কালো। এক কথায় সে কৃষ্ণাঙ্গ। আরেক জন ধবধবে ফর্সা। মাথায় কোঁকড়ানো সোনালি চুল। চোখ দুটি বাদামি। মানে শ্বেতাঙ্গ। অথচ ওরা যমজ বোন। দুজনের এক রকম চেহারাই এর প্রমাণ।


এই ব্যতিক্রমী ঘটনার জন্ম দেওয়া যমজ বোনদের বাস যুক্তরাজ্যে। কালো বোনটির নাম কিয়ান, সাদা বোনটি রেমি। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একই মায়ের গর্ভ থেকে এমন সাদা ও কালো যমজের জন্ম নেওয়ার ঘটনা বিরল। ১০ লাখে একটা এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
২০০৫ সালের এপ্রিলে জন্ম ওদের। পৃথিবীর আলো আগে দেখেছে সাদা বোন রেমি। এক মিনিট পর এসেছে কালো কিয়ান। সে বছরই যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই ব্যতিক্রমী যমজ শিশু দুটির খবর ফলাও করে ছাপা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাদা-কালো যমজ বোনের জন্মের পেছনে রয়েছে বংশগত কারণ। ওদের দাদি ও নানি সাদা, দাদা ও নানা কালো। শিশু দুটির বাবা রেমি হোর্ডার ও মা কাইলি হজসন উভয়ের গায়ের রং শ্যামলা, চোখ ও চুলের রং কালো।
পশ্চিমা দেশগুলোতে এখনো যাদের কালোদের নিয়ে নাক সিটকানো ভাব আছে, তাদের জন্য শিক্ষণীয় উজ্জ্বল উদাহরণ হতে পারে শিশু দুটি। গায়ের রং সাদা বা কালো হলেই মানুষ একে অন্যের চেয়ে আলাদা হয় না—শিশু দুটির কাণ্ডকারখানা দেখে শিখতে পারে তারা। এটি কেবল বাইরের বিভেদ। ভেতরে ভেতরে সবাই এক আত্মা, এক প্রাণ।
মা কাইলি জানান, গায়ের রং নিয়ে তাঁর মেয়ে দুটির কোনো মাথাব্যথা নেই। দুই বোনের মধ্যে খুব ভাব। কিয়ান একটু বরং বড় বোনের চেয়ে বেশি চটপটে, জেদি। ভিন্ন সময়ে কথা বলতে শিখেছে ওরা। তবে দুজনই ‘রস’ দিয়ে কথা শুরু করেছে। মাঝেমধ্যে দুজন একসঙ্গে হাঁচি দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয়। একজন আরেকজনের সহযোগিতায় আপনা-আপনি এগিয়ে যায়। কিয়ান জুতোর ফিতা বাঁধতে না পারলে রেমি গিয়ে বেঁধে দেয়। এভাবে মিলেমিশে বেশ আছে ওরা।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া
সূত্র: ডেইলি মেইল
দ্য ম্যানিলা পেপার।

No comments

Powered by Blogger.