এ্যাপোলো হাসপাতালের বাণিজ্য-এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসান চাই
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কতটুকু আন্তরিক, তার ওপর নির্ভর করে দেশের মানুষের ভালো থাকা, না থাকা। দুঃখজনক যে, দেশের স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক।
প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যয়ের কথা অজানা নয়। কিন্তু এ্যাপোলো হাসপাতালের বিভিন্ন খাতে ফি বা চার্জের অঙ্ক দেখলে হতবাক হয়ে যেতে হয়। বৃহস্পতিবারের কালের কণ্ঠ পত্রিকায় এ্যাপোলো হাসপাতাল নিয়ে যে দীর্ঘ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে, তা যেকোনো সচেতন মানুষকে ভাবিয়ে তুলবে। এক ব্যক্তি পথ ধরে যেতে যেতে হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় এ্যাপোলোতে ঢুকলেন। ডাক্তার রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখলেন কিছুটা কম। এরপর তিনি আর কোনো ওষুধ খাননি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাননি। আধা ঘণ্টা পর সুস্থবোধ করায় চলে আসতে চাইলে তাঁর হাতে দুই হাজার ৪০০ টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ যদি হয় চিকিৎসা বাণিজ্যের চিত্র, তাহলে তাকে ছিনতাই-ডাকাতির সঙ্গে তুলনা করা কি অন্যায় হবে? এ ছাড়া অন্যান্য টেস্ট, ডাক্তারের ফি, সিট ভাড়া ইত্যাদি খাতের ব্যয় অকল্পনীয় মাত্রার। সমপর্যায়ের প্রাইভেট ক্লিনিকের চেয়েও অনেক বেশি। ব্যবসাটাই তাদের কাছে প্রথম এবং সেবা ও চিকিৎসাটা দ্বিতীয় চিন্তা। তবে এ্যাপোলো ও অন্যান্য অনেক ব্যয়বহুল হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোর সেবা ও চিকিৎসার মান সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা যায়। এ ছাড়া প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর গরিবের প্রতি আচরণ এত অমানবিক যে, টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়াতে রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছে, এমন নজির রয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালের ফটকে রোগীর মৃত্যুও হয়েছে, তবু ভেতরে নেওয়া হয়নি খরচ দিতে পারবে না ভেবে। এমন অনেক উদাহরণ পত্রিকার পাতায় রয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মৃদুল কান্তি ভট্টাচার্যের বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনাটিও ভুলে যাইনি। এসব কিছুই চলছে জনগণের সরকারের নাকের ডগায়। সরকার যদি সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা বিধান করতে পারত সরকারি হাসপাতালগুলোতে, তাহলে গলাকাটা চিকিৎসা ব্যবসার প্রসার ও নিষ্ঠুরতা এতদূর গড়াত না। আমরা মনে করি, বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। ডাক্তারের ফি কত হবে, কোন টেস্টের জন্য কত টাকা নেওয়া যাবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ক্লিনিকগুলো যেহেতু মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করে, তাই এখানে কোনো ধরনের যথেচ্ছাচার থাকার সুযোগ নেই।
এ যদি হয় চিকিৎসা বাণিজ্যের চিত্র, তাহলে তাকে ছিনতাই-ডাকাতির সঙ্গে তুলনা করা কি অন্যায় হবে? এ ছাড়া অন্যান্য টেস্ট, ডাক্তারের ফি, সিট ভাড়া ইত্যাদি খাতের ব্যয় অকল্পনীয় মাত্রার। সমপর্যায়ের প্রাইভেট ক্লিনিকের চেয়েও অনেক বেশি। ব্যবসাটাই তাদের কাছে প্রথম এবং সেবা ও চিকিৎসাটা দ্বিতীয় চিন্তা। তবে এ্যাপোলো ও অন্যান্য অনেক ব্যয়বহুল হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোর সেবা ও চিকিৎসার মান সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা যায়। এ ছাড়া প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোর গরিবের প্রতি আচরণ এত অমানবিক যে, টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়াতে রোগীর চিকিৎসা বন্ধ করা হয়েছে, এমন নজির রয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালের ফটকে রোগীর মৃত্যুও হয়েছে, তবু ভেতরে নেওয়া হয়নি খরচ দিতে পারবে না ভেবে। এমন অনেক উদাহরণ পত্রিকার পাতায় রয়েছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মৃদুল কান্তি ভট্টাচার্যের বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনাটিও ভুলে যাইনি। এসব কিছুই চলছে জনগণের সরকারের নাকের ডগায়। সরকার যদি সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা বিধান করতে পারত সরকারি হাসপাতালগুলোতে, তাহলে গলাকাটা চিকিৎসা ব্যবসার প্রসার ও নিষ্ঠুরতা এতদূর গড়াত না। আমরা মনে করি, বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। ডাক্তারের ফি কত হবে, কোন টেস্টের জন্য কত টাকা নেওয়া যাবে, তাও নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ক্লিনিকগুলো যেহেতু মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ব্যবসা করে, তাই এখানে কোনো ধরনের যথেচ্ছাচার থাকার সুযোগ নেই।
No comments