প্রাণের সখা ‘তালপাখা’ by শামীম হাসান মিলন
‘তালের পাখা/প্রাণের সখা/গরম কালে দিও দেখা’ গ্রাম বাংলার মানুষের কাছেই এটা খুব পরিচিত একটি পংক্তি। অন্যদিকে ‘তোমার হাতপাখার বাতাসে.. মন জুড়িয়ে আসে... এমন গানের কথায় হাতপাখা হয়ে উঠেছে রোমান্টিসিজমের অনুষঙ্গ’।
আধুনিক সভ্যতা সরলপ্রাণ বাঙালির মুখ থেকে এ সুরধ্বনি থামাতে পারেনি। তাই তো মুখে রুমাল নতুন জামাইয়ের হাতেও একখানা তাল পাখা অনায়াসে দোল খায়।
পাখা তৈরির কারিগর চাটমোহর ঋষিপল্লীর রায় চরণ বাংলানিউজকে জানান, বৈদ্যুতিক পাখার আয়োজন নয়, নয় শুধু শহুরে রঙ-চঙে ফ্যাশন। সাধারণ মানুষগুলো এভাবেই পরম পাওয়ায় বেঁচে থাকে। উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকায় এই হাত পাখার প্রচলন বেশি।
তিনি বলেন, বাঁশ, কেটে, বেত কেটে বা তালপাতা কেটে নান্দনিক কারুকাজে তৈরি হয় এই হাতপাখা। অনেকেই এ থেকে দু’পয়সা কামাচ্ছে, গরমেও স্বস্তি পাচ্ছে। গরমকালে একটা শ্রেণী তাই এ পেশায় লেগে যায়।
বুধবার চাটমোহর উপজেলার নতুন বাজার পশুহাটে অনেকগুলো পাখার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বৃদ্ধ আজিজুল প্রামাণিক। পাখা বেঁচে কতো পান- এমন প্রশ্নে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বলেন, ‘ঘরে বাইরে বুড়া-বুড়ি দুই জন, প্যাট চলি যায়’।
তার মানে গরমের এই সময়টাতে যারা পাখা বানানোর কাজটা রপ্ত করতে পেরেছে, তাদের অন্তত পেট নিয়ে ভাবতে হয় না। তবে পাখা বানানোর কাজটা কিন্তু একেবারে সহজ নয়। বাঁশ দিয়ে এ কাজটা করতে ঝক্কি ঝামেলা আরও বেশি।
অনেকটা সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে শুরু করতে হয় পাখা তৈরির প্রক্রিয়া। আজকাল বাঁশের দাম চড়া। গ্রাম-গঞ্জে বাঁশঝাঁড়ও কমে যাচ্ছে। বেত থেকে যে পাখা হয় তার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। একমাত্র তালপাতায় কিছুটা পোষানো হয়। তাও আগের মতো এখানে-সেখানে তাল গাছও চোখে পড়ে না।
বর্তমানে তালপাতার দামও বেড়ে গেছে। এসব মিলিয়ে পাখা তৈরির পেশার সঙ্গে যারা গোড়া থেকেই লেগে আছে, তাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। একটা পাখা বিক্রি করে ছয়-সাত টাকার বেশিতো আর পাওয়া যায় না।
তবুও আজকাল শহরে বাড়তি লোডশেডিংয়ের তোড়ে হাতপাখার চাহদা কিছুটা বেড়েছে। গ্রামের অনেক এলাকা থেকেই এখন প্রচুর হাত পাখা শহরে যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামেই।
তাই হাত পাখা এখন গ্রামের কৃষকদের ঘরেই নয়; বরং শহরের অনেক অবস্থাসম্পন্ন লোকের ঘরেও বেশ আরামে দোল খায় (অবশ্য লোডশেডিং হলে)। গরমকালের এই যে হাতপাখা সেটা কিন্তু আমাদের ঐতিহ্যগত দিক থেকেও দামি।
আবহমানকাল ধরে যখন কিনা বিদ্যুতের বালাই ছিলো না, তখন থেকেই মানুষের হাত ঘুরে চলে আসছে এই পাখা। এখন এটাকে যতো রঙ দিয়েই সাজানো হোক না কেন, গ্রামের মানুষ কিন্তু পাখা বলতে একবাক্যে তালের পাখাকেই বোঝে।
রকমারী ফ্যান, এয়ার টাইট রুমে এসির শীতলতা যারা কোনদিন কল্পনাও করতে পারে না, তাদের কাছে আজীবন তালপাতার এই পাখা নিত্যসঙ্গী। ঘামঝরা দুপুরে হাত পাখায় নামবে হিমশীতল বাতাস- আহ্ জীবন..আহ স্বস্তি...।
পাখা তৈরির কারিগর চাটমোহর ঋষিপল্লীর রায় চরণ বাংলানিউজকে জানান, বৈদ্যুতিক পাখার আয়োজন নয়, নয় শুধু শহুরে রঙ-চঙে ফ্যাশন। সাধারণ মানুষগুলো এভাবেই পরম পাওয়ায় বেঁচে থাকে। উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকায় এই হাত পাখার প্রচলন বেশি।
তিনি বলেন, বাঁশ, কেটে, বেত কেটে বা তালপাতা কেটে নান্দনিক কারুকাজে তৈরি হয় এই হাতপাখা। অনেকেই এ থেকে দু’পয়সা কামাচ্ছে, গরমেও স্বস্তি পাচ্ছে। গরমকালে একটা শ্রেণী তাই এ পেশায় লেগে যায়।
বুধবার চাটমোহর উপজেলার নতুন বাজার পশুহাটে অনেকগুলো পাখার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বৃদ্ধ আজিজুল প্রামাণিক। পাখা বেঁচে কতো পান- এমন প্রশ্নে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। বলেন, ‘ঘরে বাইরে বুড়া-বুড়ি দুই জন, প্যাট চলি যায়’।
তার মানে গরমের এই সময়টাতে যারা পাখা বানানোর কাজটা রপ্ত করতে পেরেছে, তাদের অন্তত পেট নিয়ে ভাবতে হয় না। তবে পাখা বানানোর কাজটা কিন্তু একেবারে সহজ নয়। বাঁশ দিয়ে এ কাজটা করতে ঝক্কি ঝামেলা আরও বেশি।
অনেকটা সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে শুরু করতে হয় পাখা তৈরির প্রক্রিয়া। আজকাল বাঁশের দাম চড়া। গ্রাম-গঞ্জে বাঁশঝাঁড়ও কমে যাচ্ছে। বেত থেকে যে পাখা হয় তার ক্ষেত্রেও একই সমস্যা। একমাত্র তালপাতায় কিছুটা পোষানো হয়। তাও আগের মতো এখানে-সেখানে তাল গাছও চোখে পড়ে না।
বর্তমানে তালপাতার দামও বেড়ে গেছে। এসব মিলিয়ে পাখা তৈরির পেশার সঙ্গে যারা গোড়া থেকেই লেগে আছে, তাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। একটা পাখা বিক্রি করে ছয়-সাত টাকার বেশিতো আর পাওয়া যায় না।
তবুও আজকাল শহরে বাড়তি লোডশেডিংয়ের তোড়ে হাতপাখার চাহদা কিছুটা বেড়েছে। গ্রামের অনেক এলাকা থেকেই এখন প্রচুর হাত পাখা শহরে যাচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামেই।
তাই হাত পাখা এখন গ্রামের কৃষকদের ঘরেই নয়; বরং শহরের অনেক অবস্থাসম্পন্ন লোকের ঘরেও বেশ আরামে দোল খায় (অবশ্য লোডশেডিং হলে)। গরমকালের এই যে হাতপাখা সেটা কিন্তু আমাদের ঐতিহ্যগত দিক থেকেও দামি।
আবহমানকাল ধরে যখন কিনা বিদ্যুতের বালাই ছিলো না, তখন থেকেই মানুষের হাত ঘুরে চলে আসছে এই পাখা। এখন এটাকে যতো রঙ দিয়েই সাজানো হোক না কেন, গ্রামের মানুষ কিন্তু পাখা বলতে একবাক্যে তালের পাখাকেই বোঝে।
রকমারী ফ্যান, এয়ার টাইট রুমে এসির শীতলতা যারা কোনদিন কল্পনাও করতে পারে না, তাদের কাছে আজীবন তালপাতার এই পাখা নিত্যসঙ্গী। ঘামঝরা দুপুরে হাত পাখায় নামবে হিমশীতল বাতাস- আহ্ জীবন..আহ স্বস্তি...।
No comments