সংগ্রহের কালপঞ্জি
পাবলো পিকাসোর বিখ্যাত শিল্পকর্ম ‘গোয়ের্নিকা’ উপজীব্য করে চেকোস্লোভাকিয়া ডাকটিকিট প্রকাশ করে ১৯৬৬ সালের ৫ জুলাই ১৯৪৩-৪৪ ‘আমেরিকান সৈনিকদের ব্যবহূত জিনিসপত্র ফেলত পুরান ঢাকার নয়াবাজারে, সেখানে স্ট্যাম্প কুড়াতে যেতাম। তা ছাড়া পাটুয়াটুলীতে “হাউস অব টাইম” বলে একটি ঘড়ির দোকান ছিল।
সেখানে দেয়াল কাচের শোকেসে নানা দেশ-বিদেশের ডাকটিকিট রাখা থাকত। সেখানেও স্ট্যাম্প কেনার জন্য যেতাম, এ দোকানটি ছাড়া ঢাকায় আর কোথাও ডাকটিকিট পাওয়া যেত না। ঢাকায় স্কুল পর্যায় পর্যন্ত এই শখ ছিল।’
১৯৪৬-৪৯
‘বগুড়ার আযিযুল হক কলেজে আমার বাবা তখন প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত (১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল)। আমার বাবা আমাদের ১৯৪৬ সালে বগুড়ায় নিয়ে যান। সেখানে স্ট্যাম্প জমানোর সুযোগ ছিল না। শখে ভাটা লেগে গেল।’
১৯৬৬
‘তখন মেজো ভাইয়ের বড় ছেলে ডাকটিকিট জমাত। আমার বড় মেয়ের বয়স তখন দেড় বছরের মতো। একদিন সে (বড় মেয়ে) অ্যালবাম নাড়াচাড়া করছিল। ভাইয়ের ছেলে রেগে আমার মেয়েকে গালমন্দ করল। আমার খারাপ লাগল। তারপর মেয়ের জন্য স্ট্যাম্প জমাতে শুরু করি। ব্যস, পুরোনো নেশা চেপে বসল।
‘নবাববাড়িতে একজন ডাক্তার ডাকটিকিট সংগ্রহ করতেন। ডাক্তার পিতার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে স্ট্যাম্পগুলো পেয়েছিল। স্ট্যাম্পের অ্যালবামগুলো বড় একটি কাঠের বাক্সে রাখা থাকত। কিন্তু তার ঘোড়দৌড় ময়দানে রেসের বাতিক ছিল। তাই সে তার স্ট্যাম্প বিক্রি করত। সেই খবর পেয়ে, তার কাছে যাই। সিলোনের প্রথমদিকের ও ব্রিটিশ ভারতের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ষষ্ঠ জর্জ পর্যন্ত বহু স্ট্যাম্প পাই। তার মধ্যে ব্রিটিশ ভারতের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের ২৫ রুপি মূল্যের একটি স্ট্যাম্প ২৫০ টাকায় কিনি। তখন স্বর্ণের ভরি ৮০ টাকা। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস স্ত্রীকে এ খবর জানাইনি।’
১৯৬৭
‘আমার এক শ্যালিকার স্বামী কায়সার পাকিস্তানের সারগোদা এয়ারবেসে উইং কমান্ডাররূপে চাকরিরত ছিল। তারা আমাকে তাদের ওখানে বহুবার যেতে বলেছে, কিন্তু যাইনি। সে জানত, আমার ডাকটিকিটের শখের কথা। বলল, তার কাছে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া প্রচুর স্ট্যাম্প আছে, গেলে আমাকে দেবে। আমি সস্ত্রীক ও কন্যাসহ তার ওখানে গেলাম। গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীন সব স্ট্যাম্প পেলাম।’
১৯৭১
‘একাত্তর সালে সপরিবারে ঘর ছেড়ে পালানোর সময় স্ত্রীর গয়নাগাটিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ফেলে গেছি। কিন্তু সঙ্গে নিয়ে গেছি স্ট্যাম্প অ্যালবাম।’
১৯৮৭
‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফেলোশিপে লন্ডনে যাই। আমার ব্লেজারের খুব শখ ছিল। ১০০ পাউন্ড দিয়ে ব্লেজার না কিনে স্ট্যানলি গিবনস থেকে ২৫০ পাউন্ড দিয়ে স্ট্যাম্প কিনি।
‘মিসরের কায়রোতে ঈদ উপলক্ষে আমার ডাক্তার ভাইয়ের সঙ্গে যখন দেখা করতে গেলাম, তখনো লন্ডনের মতো কায়রোর রাস্তা থেকে দেশলাইয়ের খাপ কুড়িয়েছি। পথচারীরা অবাক হয়ে চেয়ে থাকত।’
১৯৮৮
‘পাকিস্তানের লাহোরে প্রথম আর্ট বিয়েনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করি। সেখানে ব্রিটিশ ভারতের স্ট্যাম্পের ওপর ওভারপ্রিন্ট করা বার্মা মুুদ্রিত ছাড়াও আগের প্রকাশিত অনেক স্ট্যাম্প সংগ্রহ করি। ফেরার পথে নেপাল হয়ে আসি শুধু নেপালের ডাকটিকিট সংগ্রহের জন্য।’
১৯৪৬-৪৯
‘বগুড়ার আযিযুল হক কলেজে আমার বাবা তখন প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত (১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল)। আমার বাবা আমাদের ১৯৪৬ সালে বগুড়ায় নিয়ে যান। সেখানে স্ট্যাম্প জমানোর সুযোগ ছিল না। শখে ভাটা লেগে গেল।’
১৯৬৬
‘তখন মেজো ভাইয়ের বড় ছেলে ডাকটিকিট জমাত। আমার বড় মেয়ের বয়স তখন দেড় বছরের মতো। একদিন সে (বড় মেয়ে) অ্যালবাম নাড়াচাড়া করছিল। ভাইয়ের ছেলে রেগে আমার মেয়েকে গালমন্দ করল। আমার খারাপ লাগল। তারপর মেয়ের জন্য স্ট্যাম্প জমাতে শুরু করি। ব্যস, পুরোনো নেশা চেপে বসল।
‘নবাববাড়িতে একজন ডাক্তার ডাকটিকিট সংগ্রহ করতেন। ডাক্তার পিতার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে স্ট্যাম্পগুলো পেয়েছিল। স্ট্যাম্পের অ্যালবামগুলো বড় একটি কাঠের বাক্সে রাখা থাকত। কিন্তু তার ঘোড়দৌড় ময়দানে রেসের বাতিক ছিল। তাই সে তার স্ট্যাম্প বিক্রি করত। সেই খবর পেয়ে, তার কাছে যাই। সিলোনের প্রথমদিকের ও ব্রিটিশ ভারতের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থেকে ষষ্ঠ জর্জ পর্যন্ত বহু স্ট্যাম্প পাই। তার মধ্যে ব্রিটিশ ভারতের রাজা সপ্তম এডওয়ার্ডের ২৫ রুপি মূল্যের একটি স্ট্যাম্প ২৫০ টাকায় কিনি। তখন স্বর্ণের ভরি ৮০ টাকা। প্রায় পাঁচ-ছয় মাস স্ত্রীকে এ খবর জানাইনি।’
১৯৬৭
‘আমার এক শ্যালিকার স্বামী কায়সার পাকিস্তানের সারগোদা এয়ারবেসে উইং কমান্ডাররূপে চাকরিরত ছিল। তারা আমাকে তাদের ওখানে বহুবার যেতে বলেছে, কিন্তু যাইনি। সে জানত, আমার ডাকটিকিটের শখের কথা। বলল, তার কাছে পারিবারিক সূত্রে পাওয়া প্রচুর স্ট্যাম্প আছে, গেলে আমাকে দেবে। আমি সস্ত্রীক ও কন্যাসহ তার ওখানে গেলাম। গ্রেট ব্রিটেনের প্রাচীন সব স্ট্যাম্প পেলাম।’
১৯৭১
‘একাত্তর সালে সপরিবারে ঘর ছেড়ে পালানোর সময় স্ত্রীর গয়নাগাটিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ফেলে গেছি। কিন্তু সঙ্গে নিয়ে গেছি স্ট্যাম্প অ্যালবাম।’
১৯৮৭
‘ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফেলোশিপে লন্ডনে যাই। আমার ব্লেজারের খুব শখ ছিল। ১০০ পাউন্ড দিয়ে ব্লেজার না কিনে স্ট্যানলি গিবনস থেকে ২৫০ পাউন্ড দিয়ে স্ট্যাম্প কিনি।
‘মিসরের কায়রোতে ঈদ উপলক্ষে আমার ডাক্তার ভাইয়ের সঙ্গে যখন দেখা করতে গেলাম, তখনো লন্ডনের মতো কায়রোর রাস্তা থেকে দেশলাইয়ের খাপ কুড়িয়েছি। পথচারীরা অবাক হয়ে চেয়ে থাকত।’
১৯৮৮
‘পাকিস্তানের লাহোরে প্রথম আর্ট বিয়েনালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করি। সেখানে ব্রিটিশ ভারতের স্ট্যাম্পের ওপর ওভারপ্রিন্ট করা বার্মা মুুদ্রিত ছাড়াও আগের প্রকাশিত অনেক স্ট্যাম্প সংগ্রহ করি। ফেরার পথে নেপাল হয়ে আসি শুধু নেপালের ডাকটিকিট সংগ্রহের জন্য।’
No comments