জনগণের জন্য সহনীয় হবে কি?-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ভাবনা
জ্বালানির দাম বাড়ার প্রতিক্রিয়া ব্যাপক। জ্বালানির দাম বাড়া মানেই শিল্প ও কৃষি উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাওয়া, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া। অর্থাৎ চূড়ান্ত বিচারে খাদ্য ও পণ্যসামগ্রীর দামের পাশাপাশি যাতায়াতের খরচ বেড়ে যাওয়া। বর্তমান বাস্তবতায় জনগণ কি বাড়তি কোনো চাপ নিতে সক্ষম? এ ধরনের সিদ্ধান্ত যে সরকারকে অজনপ্রিয় করবে, তাতে সন্দেহ নেই। আবার অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতা চিন্তা করলে হয়তো সরকারের সামনে এর বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন।
সিএনজির দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সরকার যদি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সুশাসন বা আর্থিক নীতিনির্ধারণীর ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার ইঙ্গিত দিতে পারত, তবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি একদিকে যৌক্তিক এবং অন্যদিকে সহনীয় করা যেত।
প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়া সব ধরনের জ্বালানি তেল বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। দেশে বর্তমানে জ্বালানি তেলের যা চাহিদা, তা আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে আমদানি করে গ্রাহক পর্যায়ে যে দামে বিক্রি করা হয়, তাতে সরকারের হিসাব অনুযায়ী এ বছর ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের তরফ থেকে যে ভর্তুকির কথা বলা হয়, তা আমদানি পর্যায়ে তেলের ওপর নানা শুল্ক আরোপের পর। এসব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলে ভর্তুকিও কমে যাবে। এ ছাড়া করযোগ্য আরও এমন অনেক খাত রয়েছে, যেগুলোর ওপর কর বসিয়ে এ ঘাটতি পুষিয়ে ফেলা সম্ভব। রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে সরকারের নজর কই?
বলা হচ্ছে, সিএনজির দাম জ্বালানি তেলের দামের ৪০ শতাংশ করা যৌক্তিক। জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সিএনজির দামের সমন্বয়ের প্রয়োজনও হয়তো আছে। কিন্তু এর ফলে সিএনজিচালিত যানবাহনের ভাড়াও বেড়ে যাবে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়, তা কি পরিবহন-মালিকেরা মেনে চলেন? এখন যদি আবার সিএনজির দাম বাড়ানো হয়, তখন সরকার আবার নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে। এই নির্ধারিত ভাড়ায় জনগণ যানবাহনে চলতে পারবে, তার নিশ্চয়তা কি সরকার দিতে পারবে? এখানেই সরকারের প্রশাসনিক দিক, দক্ষতা ও সুশাসনের প্রশ্নটি চলে আসে। এসব দিকে নজর না দিয়ে সরকার জ্বালানির দাম বাড়ালে জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য।
বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭০ লাখ টন। দেশে একমাত্র যে তেল শোধনাগারটি রয়েছে, তার শোধনক্ষমতা মাত্র ১৭ লাখ টন। সরকার যদি পরিশোধিত তেলের পরিবর্তে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে শোধন করার পর বাজারজাত করত, তবে দাম অনেক কম পড়ত। সরকারের উচিত, নতুন তেল শোধনাগার স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা।
আমরা মনে করি, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, সঠিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক সুশাসন—এসব বিষয় নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতির অনেক কঠিন বাস্তবতা অনায়াসে সামাল দেওয়া যায়। দফায় দফায় জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো সহজ পথ জনগণের জন্য সহনীয় না-ও হতে পারে।
প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়া সব ধরনের জ্বালানি তেল বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। দেশে বর্তমানে জ্বালানি তেলের যা চাহিদা, তা আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যে আমদানি করে গ্রাহক পর্যায়ে যে দামে বিক্রি করা হয়, তাতে সরকারের হিসাব অনুযায়ী এ বছর ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের তরফ থেকে যে ভর্তুকির কথা বলা হয়, তা আমদানি পর্যায়ে তেলের ওপর নানা শুল্ক আরোপের পর। এসব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলে ভর্তুকিও কমে যাবে। এ ছাড়া করযোগ্য আরও এমন অনেক খাত রয়েছে, যেগুলোর ওপর কর বসিয়ে এ ঘাটতি পুষিয়ে ফেলা সম্ভব। রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়নের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেদিকে সরকারের নজর কই?
বলা হচ্ছে, সিএনজির দাম জ্বালানি তেলের দামের ৪০ শতাংশ করা যৌক্তিক। জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সিএনজির দামের সমন্বয়ের প্রয়োজনও হয়তো আছে। কিন্তু এর ফলে সিএনজিচালিত যানবাহনের ভাড়াও বেড়ে যাবে। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার যে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়, তা কি পরিবহন-মালিকেরা মেনে চলেন? এখন যদি আবার সিএনজির দাম বাড়ানো হয়, তখন সরকার আবার নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করে দেবে। এই নির্ধারিত ভাড়ায় জনগণ যানবাহনে চলতে পারবে, তার নিশ্চয়তা কি সরকার দিতে পারবে? এখানেই সরকারের প্রশাসনিক দিক, দক্ষতা ও সুশাসনের প্রশ্নটি চলে আসে। এসব দিকে নজর না দিয়ে সরকার জ্বালানির দাম বাড়ালে জনজীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে বাধ্য।
বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭০ লাখ টন। দেশে একমাত্র যে তেল শোধনাগারটি রয়েছে, তার শোধনক্ষমতা মাত্র ১৭ লাখ টন। সরকার যদি পরিশোধিত তেলের পরিবর্তে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে শোধন করার পর বাজারজাত করত, তবে দাম অনেক কম পড়ত। সরকারের উচিত, নতুন তেল শোধনাগার স্থাপনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা।
আমরা মনে করি, সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা, সঠিক রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক সুশাসন—এসব বিষয় নিশ্চিত করা গেলে অর্থনীতির অনেক কঠিন বাস্তবতা অনায়াসে সামাল দেওয়া যায়। দফায় দফায় জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো সহজ পথ জনগণের জন্য সহনীয় না-ও হতে পারে।
No comments