চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ-সম্মেলনের সাড়ে পাঁচ বছর পর কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ! by একরামুল হক
সম্মেলনের সাড়ে পাঁচ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন বলে স্থানীয় নেতারা নিশ্চিত করেছেন। তবে এই উদ্যোগ বিভক্ত নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের সংশয় রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া নেতা আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘যোগ্য, দক্ষ, ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদের নিয়ে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের সভানেত্রীও (শেখ হাসিনা) বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ ও চিন্তাভাবনা করছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা এখন সময়ের ব্যাপার।’
সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক। মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের নেতারা পাল্টা সম্মেলন করার ইঙ্গিত দিলে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই তাঁরা আগে নগর আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নেন।
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, নগর আওয়ামী লীগের কমিটি হওয়ার পরই ওয়ার্ড ও থানা শাখার সম্মেলন হবে। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেয়ে আমরা তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন স্থগিত রেখেছি।
প্রসঙ্গত ২০০৬ সালের ১৬ জুন মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্মেলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী সভাপতি ও কাজী ইনামুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, পরে মৌখিকভাবে জ্যেষ্ঠ আরও ২৩ নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটির সদস্যসংখ্যা ২৫ জনে উন্নীত করা হয়। তবে সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। উপরন্তু কমিটির তিন নেতা এম এ মান্নান, আবু তালেব চৌধুরী ও খালেকুজ্জামান মারা যাওয়ায় সদস্যসংখ্যা আরও কমেছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কিন্তু সম্মেলনের সাড়ে পাঁচ বছর পর কিসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে?’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এটাই নিয়ম। নুরুল ইসলাম বিএসসি সাহেব তো সহসভাপতি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার কী আছে?’
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা নিয়ে আপাতত প্রক্রিয়া চলছে। প্রয়োজনে তা রিভিউ হতে পারে। তবে এটা কেবল দলীয় নেত্রীর এখতিয়ার।’
দলীয় সূত্র জানায়, গত জাতীয় সংসদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামী লীগে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। একদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক, অন্যদিকে নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, ইব্রাহিম হোসেন, রেজাউল করিম প্রমুখ নিজ নিজ অনুসারীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম এবং আ জ ম নাছির আগে মহিউদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন।
কেন্দ্রের নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর ওয়ার্ড ও থানা শাখার সম্মেলন দ্রুত সময়ে শেষ করতে হবে। এরপরই আবার নগরের সম্মেলন ডেকে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা যেতে পারে। নইলে তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন ডাকা কঠিন হবে।’
বিভক্ত নগর আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক বিতর্কিত। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। তবে দলীয় সভানেত্রী তাঁদের রেখে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করলে আমরা মেনে নেব।’
তবে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক বছরের মাথায় নগরের বেহাল অবস্থা দেখে সাধারণ নাগরিক মহিউদ্দিন চৌধুরীর অভাব বুঝতে পারছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই কমিটিতে তাঁর উপস্থিতি জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে সম্মেলন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইনামুল হক। মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের নেতারা পাল্টা সম্মেলন করার ইঙ্গিত দিলে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই তাঁরা আগে নগর আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার উদ্যোগ নেন।
এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, নগর আওয়ামী লীগের কমিটি হওয়ার পরই ওয়ার্ড ও থানা শাখার সম্মেলন হবে। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেয়ে আমরা তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন স্থগিত রেখেছি।
প্রসঙ্গত ২০০৬ সালের ১৬ জুন মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্মেলনে মহিউদ্দিন চৌধুরী সভাপতি ও কাজী ইনামুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, পরে মৌখিকভাবে জ্যেষ্ঠ আরও ২৩ নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করে কমিটির সদস্যসংখ্যা ২৫ জনে উন্নীত করা হয়। তবে সাড়ে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। উপরন্তু কমিটির তিন নেতা এম এ মান্নান, আবু তালেব চৌধুরী ও খালেকুজ্জামান মারা যাওয়ায় সদস্যসংখ্যা আরও কমেছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরোধী হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাংসদ নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। কিন্তু সম্মেলনের সাড়ে পাঁচ বছর পর কিসের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে?’
নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, ‘কমিটি গঠন নিয়ে কেন্দ্র থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এটাই নিয়ম। নুরুল ইসলাম বিএসসি সাহেব তো সহসভাপতি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার কী আছে?’
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, ‘কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা নিয়ে আপাতত প্রক্রিয়া চলছে। প্রয়োজনে তা রিভিউ হতে পারে। তবে এটা কেবল দলীয় নেত্রীর এখতিয়ার।’
দলীয় সূত্র জানায়, গত জাতীয় সংসদ ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগর আওয়ামী লীগে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। একদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক, অন্যদিকে নুরুল ইসলাম বিএসসি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফছারুল আমীন, ইব্রাহিম হোসেন, রেজাউল করিম প্রমুখ নিজ নিজ অনুসারীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম এবং আ জ ম নাছির আগে মহিউদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন।
কেন্দ্রের নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার পর ওয়ার্ড ও থানা শাখার সম্মেলন দ্রুত সময়ে শেষ করতে হবে। এরপরই আবার নগরের সম্মেলন ডেকে নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা যেতে পারে। নইলে তৃণমূল পর্যায়ের সম্মেলন ডাকা কঠিন হবে।’
বিভক্ত নগর আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করার বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী ইনামুল হক বিতর্কিত। তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। তবে দলীয় সভানেত্রী তাঁদের রেখে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করলে আমরা মেনে নেব।’
তবে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক বছরের মাথায় নগরের বেহাল অবস্থা দেখে সাধারণ নাগরিক মহিউদ্দিন চৌধুরীর অভাব বুঝতে পারছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তাই কমিটিতে তাঁর উপস্থিতি জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
No comments