ঝিনাইদহে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা, স্বামী আটক

ঝিনাইদহে মাজেদা খাতুন নামের এক তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে স্বামী শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে গত সোমবার গভীর রাতে ওই হত্যাচেষ্টা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। অগ্নিদগ্ধ মাজেদা খাতুনকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


পরে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সোববার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ঝিনাইদহ ইউনিটের আর্থিক সহায়তায় তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গৃহবধূ মাজেদা খাতুন বলেন, সোমবার রাতে তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী শহিদুল ও সতিন চম্পা খাতুন। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সদর উপজেলার হরিধানী বাজারে মাজেদা খাতুনের একটি খাবারের দোকান রয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি টং দোকানের মালিক ও ভ্যানচালক শহিদুলের সঙ্গে দুই বছর আগে মাজেদার বিয়ে হয়। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। শহিদুলের রামচন্দ্রপুরের বাড়িতে থাকেন তাঁর প্রথম স্ত্রী ও সন্তান। কয়েক মাস আগে মাজেদাকে সেখানে নিয়ে যান শহিদুল। ব্যবসার জন্য মাজেদার কাছে সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন শহিদুল। এ টাকা আদায়ের জন্য মাজেদার ওপর এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালান শহিদুল ও তাঁর প্রথম স্ত্রী চম্পা।
শহিদুল ইসলাম দাবি করেন, স্ত্রী মাজেদার শরীরে কীভাবে আগুন লাগে তা তিনি জানেন না।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন বলেন, মাজেদার অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী চম্পা খাতুন পলাতক। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

No comments

Powered by Blogger.