নারী ও শিশুপাচার-রাষ্ট্রকে এই অন্ধকার কাটাতে হবে
অভিনব কায়দায় নারী ও শিশুপাচারের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড আমাদের দেশে অব্যাহত থাকায় সভ্যতা-মানবতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর একটি সহযোগী দৈনিকে '১০ বছরে ভারতে তিন লাখ নারী ও শিশুপাচার' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সেই সত্যকেই যেন পুনরায় প্রতিষ্ঠা করল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে নারী ও শিশুপাচার বেড়েই চলেছে।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে তিন লাখ নারী ও শিশু ভারতে পাচার হয়েছে। অভিযোগ আছে, বেশির ভাগ নারী ও শিশুপাচার করা হচ্ছে দেশের পশ্চিমের জেলাগুলোর সীমান্ত দিয়ে। এর আগে এ বিষয়টি আলোচনায় আসার পর সরকারের তরফে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু কোনো সুফল মেলেনি। তা ছাড়া এককভাবে কোনো দেশের পক্ষে তা প্রতিহত করাও দুরূহ। ভারতের সঙ্গে রয়েছে আমাদের বিস্তৃত সীমান্ত অঞ্চল। সীমান্তে নজরদারি কঠোরসহ উভয় দেশের তরফে এই মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড রোধে জোরদার পদক্ষেপ ছাড়া তা প্রতিহত করা সম্ভব নয়। বিতর্ক নেই, এই অপকর্ম সংঘটিত হওয়ার পেছনে দারিদ্র্য একটি অন্যতম উপসর্গ হিসেবে কাজ করছে। দারিদ্র্যের কশাঘাত তীব্র হওয়ায় এবং আইনি প্রতিকারের দৃষ্টান্ত উজ্জ্বল না হওয়ার কারণে এমন হীনকর্ম সমাজদেহে কালো ছায়া ফেলছে। শুধু নারী-শিশুই নয়, এ দেশ থেকে পুরুষও পাচার হচ্ছে। চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে। কিছু নারী-শিশুর ক্ষেত্রে বিষয়টি চরম অমানবিকভাবে ফুটে উঠেছে। কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও এই অপকর্ম রোধ করা যাচ্ছে না এবং দিন দিন বিষয়টি প্রকট হয়ে উঠছে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সেখানেই। সমস্যাটি একদিকে সামাজিক, অন্যদিকে তা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এর আগে, সার্ক দেশগুলো নারী ও শিশু পাচার রোধে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলেও কার্যক্ষেত্রে তেমন পরিলক্ষিত হয়নি। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই নারী ও শিশু পাচার করছে অপচক্র।
মানবপাচার একটি জাতীয় সমস্যা। পাচার যেকোনো বয়সের যে কেউ হতে পারে। তবে আমাদের দেশে সাধারণত বেশির ভাগ পাচার হয়ে থাকে শিশু, কিশোর ও নারী। সাম্প্রতিক সময়ে রুট পরিবর্তনের পাশাপাশি মানবপাচারের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রশক্তি আর প্রশাসনের বড় দায়। মানুষ সভ্যকালে পণ্যের মতো বেচাকেনার উপকরণ হবে, তা অচিন্তনীয়। মানবপাচারের সব খবর গণমাধ্যমে আসে না। নারী ও শিশুপাচার বা এ ধরনের অবৈধ ব্যবসায় নিয়োজিত একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক চক্র রয়েছে এবং অভিযোগ আছে, এরা বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অসাধুদের যোগসাজশে এমন অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে আর রুই-কাতলারা থেকে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে, ধরাছোঁয়ার বাইরে। রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে এই অন্ধকার কাটাতে হবে সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে। এই কলঙ্ক ঘোচানোর দায় রাষ্ট্রের। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে সমাজসচেতনতাও জরুরি।
মানবপাচার একটি জাতীয় সমস্যা। পাচার যেকোনো বয়সের যে কেউ হতে পারে। তবে আমাদের দেশে সাধারণত বেশির ভাগ পাচার হয়ে থাকে শিশু, কিশোর ও নারী। সাম্প্রতিক সময়ে রুট পরিবর্তনের পাশাপাশি মানবপাচারের ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রশক্তি আর প্রশাসনের বড় দায়। মানুষ সভ্যকালে পণ্যের মতো বেচাকেনার উপকরণ হবে, তা অচিন্তনীয়। মানবপাচারের সব খবর গণমাধ্যমে আসে না। নারী ও শিশুপাচার বা এ ধরনের অবৈধ ব্যবসায় নিয়োজিত একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক চক্র রয়েছে এবং অভিযোগ আছে, এরা বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অসাধুদের যোগসাজশে এমন অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে চুনোপুঁটিরা ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে আর রুই-কাতলারা থেকে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে, ধরাছোঁয়ার বাইরে। রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে এই অন্ধকার কাটাতে হবে সব কিছুর ঊধর্ে্ব উঠে। এই কলঙ্ক ঘোচানোর দায় রাষ্ট্রের। একই সঙ্গে এ ব্যাপারে সমাজসচেতনতাও জরুরি।
No comments