বিআইডিএস-ব্র্যাক যৌথ কর্মশালায় অভিমত-কাজ না থাকলে দেশে সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে পারে
কাজ না থাকলে আগামী দিনে দেশে সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে তরুণ ও শিক্ষিত সমাজ। সেই অস্থিরতা ও বিক্ষুব্ধতা মোকাবিলা করাই তখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইতিমধ্যে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে গতকাল সোমবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন (ডব্লিউডিআর) ২০১৩: কাজ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংক ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় তিন পর্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের ডব্লিউডিআর দলের সদস্য মার্টিন রামা।
নিম্ন আয় ও প্রবৃদ্ধি থেকে মধ্য আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে তিনটি উপায়ে সম্ভাব্য সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলার সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: নতুন প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থায়নের সুযোগ তৈরিসহ কৃষির আধুনিকীকরণ; অকৃষি বিষয়ের উন্নয়ন অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের শিল্পের (এসএমই) প্রসার, জনশক্তি রপ্তানি, রপ্তানিমুখী শিল্প গড়ে তোলা, পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং সহযোগিতামূলক সামাজিক নীতি প্রণয়ন, অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তাসহ শিশু-যুবা ও নারী উন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদের উন্নয়ন।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মেসবাহউদ্দিন হাশেমী প্রমুখ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়, তা নিয়ে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে। শিক্ষিত তরুণদের কাজ তথা চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু সুযোগ তৈরি করে দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে হবে তাদের সার্বিক অধিকার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বলেন, দক্ষতার অভাবই হলো বাংলাদেশে চাকরির ক্ষেত্রে বড় সংকট। তবে পরিকল্পিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। তৈরি পোশাকশিল্পে দক্ষ শ্রমিক না থাকায় বছরে ৩০০ কোটি ডলার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত সংকটের কারণে চট্টগ্রামে শিল্প থমকে গেছে। তাই সরকারি বিনিয়োগ এমনভাবে করতে হবে, যাতে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হন।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, শিক্ষিত তরুণদের শুধু চাকরি দিলেই হবে না, চাকরিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের যেসব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, তা নিয়েও ভাবতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনগুলোর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
শিক্ষিত তরুণ বেকারদের চাহিদা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া না গেলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি থাকলেও নগর দারিদ্র্য বিমোচনে তেমন কিছু নেই। নগর দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি এখন বড় ভাবনার বিষয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের শিক্ষক মামুন রশীদ এবং শেষ অধিবেশনে মার্টিন রামা সভাপতিত্ব করেন। এতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কৃষির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংক, বিমা, অকৃষি, সেবা ইত্যাদি খাত আরও বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বিশ্বব্যাংক ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সহযোগিতায় তিন পর্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব হোসেন। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের ডব্লিউডিআর দলের সদস্য মার্টিন রামা।
নিম্ন আয় ও প্রবৃদ্ধি থেকে মধ্য আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে তিনটি উপায়ে সম্ভাব্য সামাজিক অস্থিরতা মোকাবিলার সুপারিশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে: নতুন প্রযুক্তি, অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থায়নের সুযোগ তৈরিসহ কৃষির আধুনিকীকরণ; অকৃষি বিষয়ের উন্নয়ন অর্থাৎ ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের শিল্পের (এসএমই) প্রসার, জনশক্তি রপ্তানি, রপ্তানিমুখী শিল্প গড়ে তোলা, পরিকল্পিত নগরায়ণ এবং সহযোগিতামূলক সামাজিক নীতি প্রণয়ন, অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তাসহ শিশু-যুবা ও নারী উন্নয়নের মাধ্যমে মানবসম্পদের উন্নয়ন।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মেসবাহউদ্দিন হাশেমী প্রমুখ।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়, তা নিয়ে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে আরও বেশি করে সোচ্চার হতে হবে। শিক্ষিত তরুণদের কাজ তথা চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার বিকল্প নেই। কিন্তু সুযোগ তৈরি করে দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। নিশ্চিত করতে হবে তাদের সার্বিক অধিকার।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বলেন, দক্ষতার অভাবই হলো বাংলাদেশে চাকরির ক্ষেত্রে বড় সংকট। তবে পরিকল্পিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। তৈরি পোশাকশিল্পে দক্ষ শ্রমিক না থাকায় বছরে ৩০০ কোটি ডলার দেশ থেকে চলে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত সংকটের কারণে চট্টগ্রামে শিল্প থমকে গেছে। তাই সরকারি বিনিয়োগ এমনভাবে করতে হবে, যাতে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হন।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, শিক্ষিত তরুণদের শুধু চাকরি দিলেই হবে না, চাকরিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের যেসব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, তা নিয়েও ভাবতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিক সংগঠনগুলোর অধিকার আদায়ের সংগ্রামের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
শিক্ষিত তরুণ বেকারদের চাহিদা অনুযায়ী চাকরি দেওয়া না গেলে সমাজে অস্থিরতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি থাকলেও নগর দারিদ্র্য বিমোচনে তেমন কিছু নেই। নগর দরিদ্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি এখন বড় ভাবনার বিষয়।
দ্বিতীয় অধিবেশনে ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের শিক্ষক মামুন রশীদ এবং শেষ অধিবেশনে মার্টিন রামা সভাপতিত্ব করেন। এতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর ক্ষেত্রে কৃষির পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংক, বিমা, অকৃষি, সেবা ইত্যাদি খাত আরও বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
No comments