পাহাড় কাটা বন্ধের আদেশ-পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায় সবার
নির্বিচারে চলছে পাহাড় কাটা। পাহাড় কাটা মানে প্রকৃতির ওপর কঠোর অত্যাচার। প্রকৃতি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে তার ওপর অত্যাচারের প্রতিশোধও নিচ্ছে অত্যন্ত নির্দয়ভাবে, কিন্তু তার পরও কিছুসংখ্যক স্বেচ্ছাচারী মানুষের মধ্যে শুভবোধ জাগ্রত হচ্ছে না। চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (কেইপিজেড) দীর্ঘদিন থেকে পাহাড় কাটা চলছিল।
২২ জানুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহাম্মদ মুনির চৌধুরী অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধের আদেশ দেন। ওই এলাকায় প্রায় দুই বছর ধরে আড়াই হাজার একর পাহাড়শ্রেণীর ভূমিতে তারা শিল্পায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর বিলম্বে এই পদক্ষেপ কেন নিল?
শিল্পায়ন তথা শিল্প বিকাশের বিরোধিতা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কেউই করবেন না। কিন্তু তাই বলে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে যে কেউ যেকোনো কিছু করতে পারেন না। পাহাড় কাটার মতো অপক্রিয়া স্বার্থান্বেষী ক্ষমতাবান মহল দীর্ঘদিন ধরেই চালিয়ে আসছে। বিগত এক দশকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড়ধসে বড় ধরনের কয়েকটি মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার পরও থেমে থাকেনি অপক্রিয়া। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর ৩৩টি শর্ত সাপেক্ষে কেইপিজেডকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২৪ নভেম্বর ২০১১ এই অনুমতিপত্র নবায়ন করা হলেও নবায়নকারীরা শর্ত লঙ্ঘন করে পাহাড় কাটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। নিয়মনীতি না মেনে পাহাড় কাটলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবেই এবং এর বিরূপ মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। অতীতে তা-ই হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার দায় সর্বাগ্রে মানুষের। মানুষের নিষ্কণ্টক বসবাসের স্বার্থেই পরিবেশ রক্ষা অপরিহার্য।
প্রকৃতির ওপর নির্বিচার অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। এ জন্য শুধু সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মহলেরই দায় রয়েছে তা নয়, সমাজ সচেতন প্রতিটি মানুষের এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার। উন্নয়ন, অগ্রগতি কিংবা অবকাঠামোগত প্রয়োজনে কখনো কখনো প্রকৃতির ওপর হাত দিতে হয় বটে; কিন্তু যদি এ ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে এমনটি করা হয়, তাহলে বিপদাশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠবে না। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। এর মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণও রয়েছে। এ অবস্থায় গণমানুষের সচেতনতা আরো বেশি জরুরি। যেসব ক্ষমতাবান চক্র নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে প্রকৃতির ওপর ছোবল মারে, তাদের চিহ্নিত করে নির্মোহ অবস্থান থেকে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
শিল্পায়ন তথা শিল্প বিকাশের বিরোধিতা শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কেউই করবেন না। কিন্তু তাই বলে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে যে কেউ যেকোনো কিছু করতে পারেন না। পাহাড় কাটার মতো অপক্রিয়া স্বার্থান্বেষী ক্ষমতাবান মহল দীর্ঘদিন ধরেই চালিয়ে আসছে। বিগত এক দশকে চট্টগ্রাম ও সিলেটে পাহাড়ধসে বড় ধরনের কয়েকটি মর্মন্তুদ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তার পরও থেমে থাকেনি অপক্রিয়া। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর ৩৩টি শর্ত সাপেক্ষে কেইপিজেডকে পাহাড় কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। পরে ২৪ নভেম্বর ২০১১ এই অনুমতিপত্র নবায়ন করা হলেও নবায়নকারীরা শর্ত লঙ্ঘন করে পাহাড় কাটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। নিয়মনীতি না মেনে পাহাড় কাটলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবেই এবং এর বিরূপ মূল্য দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। অতীতে তা-ই হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার দায় সর্বাগ্রে মানুষের। মানুষের নিষ্কণ্টক বসবাসের স্বার্থেই পরিবেশ রক্ষা অপরিহার্য।
প্রকৃতির ওপর নির্বিচার অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। এ জন্য শুধু সরকার কিংবা সংশ্লিষ্ট মহলেরই দায় রয়েছে তা নয়, সমাজ সচেতন প্রতিটি মানুষের এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার। উন্নয়ন, অগ্রগতি কিংবা অবকাঠামোগত প্রয়োজনে কখনো কখনো প্রকৃতির ওপর হাত দিতে হয় বটে; কিন্তু যদি এ ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে এমনটি করা হয়, তাহলে বিপদাশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠবে না। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শঙ্কা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। এর মধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণও রয়েছে। এ অবস্থায় গণমানুষের সচেতনতা আরো বেশি জরুরি। যেসব ক্ষমতাবান চক্র নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে প্রকৃতির ওপর ছোবল মারে, তাদের চিহ্নিত করে নির্মোহ অবস্থান থেকে কঠোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
No comments