তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ শেষ-সময় হলে অ্যাটাক হবে: এরশাদ by রিয়াদুল করিম
সময় হলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ছাড়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি সৈনিক মানুষ। জানি, কখন অ্যাটাক করা লাগে। অপেক্ষা করো। সময় হলেই অ্যাটাক হবে।’
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে দুই দিনের লংমার্চ শেষে গতকাল বুধবার লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ হেলিপ্যাড ময়দানে আয়োজিত মহাসমাবেশে এরশাদ এসব কথা বলেন। সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী এলেন। চলেও গেলেন। কিন্তু তিস্তা চুক্তি হলো না। আমরা ভিক্ষা চাইছি না। তিস্তার পানি আমাদের ন্যায্য পাওনা।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে উদ্দেশ করে এরশাদ বলেন, ‘ওরা শুধু মারামারি করে। কেমন করে ক্ষমতায় থাকা যায় আর যাওয়া যায়, ওরা খালি সেটাই ভাবে।’ তিনি এটাকে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ২০ বছরের মিউজ্যিকাল চেয়ার খেলা আর নয়। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়।
সমবেত জনতাকে উদ্দেশ করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘জোট করেছিলাম। আমি কী পেলাম, সেটা বড় কথা নয়। আপনারা কী পেয়েছেন, সেটা বলেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার আর কিছুই চাওয়ার নেই। শুধু আরেকবার ক্ষমতায় গিয়ে তোমাদের ঋণ শোধ করতে চাই। বেঁচে আছি এ জন্যই। আরেকবার ক্ষমতায় যাব।’
এরশাদ আগামীবার একক নির্বাচন করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, পৃথিবীর কোনো শক্তি তাঁকে টলাতে পারবে না। যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য তাঁর দল প্রস্তুত; ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, কাজী জাফর আহমদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, করিম উদ্দিন ভরসাসহ দলীয় সাংসদেরা বক্তব্য দেন।
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে কয়েক শ গাড়ি নিয়ে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করে জাতীয় পার্টি। যাত্রাপথে বিভিন্ন জেলায় বেশ কটি পথসভা করে। লংমার্চ-বহর রাতে রংপুরে অবস্থান করে। গতকাল বেলা ১১টায় রংপুর জিলা স্কুলের মাঠ থেকে তিস্তা ব্যারাজের উদ্দেশে রওনা হয় লংমার্চ। সেখানে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
সহযোগিতায়: মীর মাহমুদুল হাসান (নীলফামারী) ও আবদুর রব (লালমনিরহাট)
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে উদ্দেশ করে এরশাদ বলেন, ‘ওরা শুধু মারামারি করে। কেমন করে ক্ষমতায় থাকা যায় আর যাওয়া যায়, ওরা খালি সেটাই ভাবে।’ তিনি এটাকে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার খেলা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ২০ বছরের মিউজ্যিকাল চেয়ার খেলা আর নয়। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়।
সমবেত জনতাকে উদ্দেশ করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘জোট করেছিলাম। আমি কী পেলাম, সেটা বড় কথা নয়। আপনারা কী পেয়েছেন, সেটা বলেন।’ তিনি বলেন, ‘আমার আর কিছুই চাওয়ার নেই। শুধু আরেকবার ক্ষমতায় গিয়ে তোমাদের ঋণ শোধ করতে চাই। বেঁচে আছি এ জন্যই। আরেকবার ক্ষমতায় যাব।’
এরশাদ আগামীবার একক নির্বাচন করার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, পৃথিবীর কোনো শক্তি তাঁকে টলাতে পারবে না। যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য তাঁর দল প্রস্তুত; ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, কাজী জাফর আহমদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, করিম উদ্দিন ভরসাসহ দলীয় সাংসদেরা বক্তব্য দেন।
তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে কয়েক শ গাড়ি নিয়ে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করে জাতীয় পার্টি। যাত্রাপথে বিভিন্ন জেলায় বেশ কটি পথসভা করে। লংমার্চ-বহর রাতে রংপুরে অবস্থান করে। গতকাল বেলা ১১টায় রংপুর জিলা স্কুলের মাঠ থেকে তিস্তা ব্যারাজের উদ্দেশে রওনা হয় লংমার্চ। সেখানে মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
সহযোগিতায়: মীর মাহমুদুল হাসান (নীলফামারী) ও আবদুর রব (লালমনিরহাট)
No comments