সুপ্রিম কোর্টে হাজিরা আজ-‘গিলানি আদালত অবমাননা করেননি’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির আইনজীবী আইতজাজ আহসান দাবি করেছেন, সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করার চিঠি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেননি। তবে আদালত অবমাননার দায় এড়াতে এবং স্বপদে বহাল থাকতে প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে ওই মামলা আবার চালু করার বিষয়ে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া।
গিলানির আইনজীবী আইতজাজ গতকাল বুধবার ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গিলানি যে দেশের বিচার বিভাগের সঙ্গে নতুন করে আর বিরোধে জড়াতে চাইছেন না, আইনজীবী আইতজাজের এ মন্তব্যকে তারই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। গিলানির আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বলা হয়েছিল, গিলানির পক্ষে তাঁর প্রতিনিধি আদালতে যাবেন।
আইনজীবী আইতজাজ আহসান বলেন, দেশের সংবিধানের ২৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জারদারি আইনগত ব্যবস্থা থেকে পূর্ণ দায়মুক্তির সুবিধাপ্রাপ্ত। কাজেই সরকার সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি দেশের ভেতরে ও বাইরে দায়মুক্তি-সুবিধা পাবেন।
গত বছর সুইস কৌঁসুলিরা বলেছিলেন, দায়মুক্তির কারণে জারদারির বিচার করা অসম্ভব।
২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর স্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে ক্ষমতায় থাকার সময় বিভিন্ন সুইস প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া লাখ লাখ ডলার ঘুষের অর্থ সাদা করার চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করেন।
সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ২০০৯ সালে পার হয়ে গেলেও পাকিস্তান সরকার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে অস্বীকার করায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন সুপ্রিম কোর্ট। মার্কিন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের কাছে লেখা কথিত গোপন চিঠি কেলেঙ্কারির জেরে সেনাবাহিনী এবং বিচার বিভাগের অব্যাহত চাপের মুখে থাকা পাকিস্তান সরকারকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে ফেলে দেয় আদালতের ওই পদক্ষেপ।
আদালত অবমাননার এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী গিলানির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও তিনি সরকারি চাকরির অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
আইতজাজকে নিজের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে গিলানির সিদ্ধান্তকে দেশের বিচার বিভাগের সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে আনার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আইতজাজ প্রেসিডেন্ট জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০০৯ সালের মার্চে নিরপেক্ষ বিচারকদের পুনর্বহাল করার ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন তিনি।
আইতজাজ বলেন, তাঁর বিশ্বাস, আদালত প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে চিঠি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। যুক্তি দিয়ে আমি আদালতকে তা বোঝাতে চেষ্টা করব।’
প্রেসিডেন্ট জারদারির পিপিপি দলের নেতাদের অভিযোগ, দেশের বিচারকেরা তাঁদের ক্ষমতার বাইরের বিষয়েও নাক গলাচ্ছেন এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোপন আঁতাত করে নির্বাচিত সরকারকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উৎখাত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৩ সালে। তবে বিচার বিভাগ ও প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের চলতি দ্বন্দ্বময় পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা দেশকে আগাম নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে অধিকাংশের বিশ্বাস।
এদিকে, নিজের বরখাস্ত আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব লে. জেনারেল (অব.) খালিদ নাঈম লোদির দায়ের করা পিটিশনের ব্যাপারে গতকাল প্রেসিডেন্ট জারদারি, প্রধানমন্ত্রী গিলানি, সংস্থাপনমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রতিরক্ষাসচিবের বক্তব্য চেয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালত। সেনাপ্রধান কায়ানির ঘনিষ্ঠ লোদিকে ‘গুরুতর অসদাচরণ এবং সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টির’ অভিযোগে গত সপ্তাহে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। এএফপি, এপি ও পিটিআই।
আইনজীবী আইতজাজ আহসান বলেন, দেশের সংবিধানের ২৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জারদারি আইনগত ব্যবস্থা থেকে পূর্ণ দায়মুক্তির সুবিধাপ্রাপ্ত। কাজেই সরকার সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও কোনো সমস্যা হবে না। কারণ, প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি দেশের ভেতরে ও বাইরে দায়মুক্তি-সুবিধা পাবেন।
গত বছর সুইস কৌঁসুলিরা বলেছিলেন, দায়মুক্তির কারণে জারদারির বিচার করা অসম্ভব।
২০০৩ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত আসিফ আলী জারদারি ও তাঁর স্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে ক্ষমতায় থাকার সময় বিভিন্ন সুইস প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাওয়া লাখ লাখ ডলার ঘুষের অর্থ সাদা করার চেষ্টার দায়ে অভিযুক্ত করেন।
সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ ২০০৯ সালে পার হয়ে গেলেও পাকিস্তান সরকার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে অস্বীকার করায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছেন সুপ্রিম কোর্ট। মার্কিন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের কাছে লেখা কথিত গোপন চিঠি কেলেঙ্কারির জেরে সেনাবাহিনী এবং বিচার বিভাগের অব্যাহত চাপের মুখে থাকা পাকিস্তান সরকারকে আরও গভীর সংকটের মধ্যে ফেলে দেয় আদালতের ওই পদক্ষেপ।
আদালত অবমাননার এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রধানমন্ত্রী গিলানির সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও তিনি সরকারি চাকরির অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
আইতজাজকে নিজের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে গিলানির সিদ্ধান্তকে দেশের বিচার বিভাগের সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব কমিয়ে আনার ইঙ্গিত হিসেবেই দেখা হচ্ছে। আইতজাজ প্রেসিডেন্ট জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) একজন জ্যেষ্ঠ নেতা। ২০০৯ সালের মার্চে নিরপেক্ষ বিচারকদের পুনর্বহাল করার ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন তিনি।
আইতজাজ বলেন, তাঁর বিশ্বাস, আদালত প্রধানমন্ত্রী গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করবেন না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে চিঠি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আদালত অবমাননা করেছেন। যুক্তি দিয়ে আমি আদালতকে তা বোঝাতে চেষ্টা করব।’
প্রেসিডেন্ট জারদারির পিপিপি দলের নেতাদের অভিযোগ, দেশের বিচারকেরা তাঁদের ক্ষমতার বাইরের বিষয়েও নাক গলাচ্ছেন এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোপন আঁতাত করে নির্বাচিত সরকারকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই উৎখাত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৩ সালে। তবে বিচার বিভাগ ও প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের চলতি দ্বন্দ্বময় পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তা দেশকে আগাম নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে অধিকাংশের বিশ্বাস।
এদিকে, নিজের বরখাস্ত আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব লে. জেনারেল (অব.) খালিদ নাঈম লোদির দায়ের করা পিটিশনের ব্যাপারে গতকাল প্রেসিডেন্ট জারদারি, প্রধানমন্ত্রী গিলানি, সংস্থাপনমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রতিরক্ষাসচিবের বক্তব্য চেয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালত। সেনাপ্রধান কায়ানির ঘনিষ্ঠ লোদিকে ‘গুরুতর অসদাচরণ এবং সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টির’ অভিযোগে গত সপ্তাহে বরখাস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী গিলানি। এএফপি, এপি ও পিটিআই।
No comments