—দারিয়ুস মেহ্রজুই-পথের পাঁচালী দেখেছি সত্যজিৎকে দেখার আগেই-সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
ইরানি চলচ্চিত্রের ‘সত্যজিৎ রায়’ হিসেবে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া চলে অনায়াসে। দারিয়ুস মেহ্রজুইয়ের জন্ম ইরানের তেহরানে। লস অ্যানজেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান চলচ্চিত্র বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করতে। মার্কিন মুলুক থেকে ইরানে ফিরে তৈরি করেন প্রথম ছবি ডায়মন্ড ৩৩। দুই বছর পরে তিনি তৈরি করেন গাভ বা দ্য কাউ।
এই ছবিই মূলত সূচনা করে ইরানি চলচ্চিত্রের ‘নিউ ওয়েভ’। তাঁর অন্যান্য ছবির মধ্যে আছে বানু (১৯৯২), সারা (১৯৯৩), পারি (১৯৯৫), লায়লা (১৯৯৬), মেহমান ই মামান (২০০৪)। ্রঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করতে আসা এই চলচ্চিত্রস্রষ্টার মুখোমুখি হই এক শীতের সন্ধ্যায়। আলাপচারিতার কিয়দংশ আনন্দের পাঠকদের জন্য।
বাংলাদেশ কেমন লাগছে?
অনেক ভিড়। কিন্তু চমৎকার (হাসি)। মানুষ, রিকশা, এত জোরে গাড়ি চলছে...কিন্তু একটার সঙ্গে আরেকটা ধাক্কা খাচ্ছে না, আশ্চর্য! মানুষ আর যানবাহনের মধ্যে ধাক্কা লেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু লাগছে না। খুবই ইন্টারেস্টিং। মনে হচ্ছে দূষণটা বেশি। তেহরান শহরও এখন অনেক দূষিত হয়ে যাচ্ছে। পাহাড় আছে বলে তাও রক্ষা। গাড়ি বেশি হওয়ার কারণেই এই দূষণটা হচ্ছে, তাই না?
বাংলাদেশি বিকল্প ধারার ছবি সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন?
সত্যি বলছি, সাম্প্রতিক সময়ে কোনো বাংলাদেশি ছবি আমার দেখা হয়নি। তবে সত্যজিৎ রায়ের অনেক ছবি আমি দেখেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে চিনতাম। অনেক চলচ্চিত্র উৎসবে আমরা একসঙ্গে কাজও করেছি।
সত্যজিৎ রায়ের ছায়াছবির একটা বড় অনুপ্রেরণা সাহিত্য থেকে এসেছে; আপনার বেলাতেও তা-ই।
সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ সাহিত্য। (্এক ফাঁকে কেউ একজন চা দিয়ে গেল। ‘থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ’ বলে হাসিমুখে চায়ের কাপটা নিলেন দারিয়ুস)। তবে শেষ পর্যন্ত তুমি কোথা থেকে বা কিসের ওপর ভিত্তি করে ছবি করছ, সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, তুমি ছবিটা কীভাবে পরিচালনা করছ আর চিত্রনাট্যটা কী দাঁড়াচ্ছে। সেটি অবশ্যই ওয়েল ডিজাইনড হতে হবে। ন্যারেটিভ, এক্সপ্রেশনস—এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও একজন লেখক। তাই সাহিত্য আমার কাছে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমার অর্ধেকের বেশি ছবির গল্প আমার নিজেরই লেখা।
একসময় সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন আপনি। চলচ্চিত্রের দিকে আগ্রহটা কীভাবে গেল?
তরুণ বয়সেই আমি শিল্পসম্মত ছবি তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে, সিনেমা অনেক শক্তিশালী ও অগ্রসর মাধ্যম। শুরুতে পিয়ানো, মানে আমার সংগীতের দিকে আগ্রহ ছিল। লেখালেখিও করেছি। কিন্তু আমি কেবল এসবে ঠিক পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারছিলাম না। সিনেমা এমন একটা ব্যাপার, যেটা আমার সঙ্গে খুব ভালো যায়। চিত্রনাট্য লেখা, লোকেশন খোঁজা, যথার্থ সংগীত নির্বাচন, সেট ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, পরিচালনা। সিনেমা আসলে সব ধরনের শিল্পের মিলিত রূপ। শিল্পজ্ঞান ছাড়াও আরেকটা দরকারি ব্যাপার হচ্ছে ‘ব্যবস্থাপনা।’ তুমিই সেখানে ‘বিগ বস’। যেকোনো কিছুতে সিদ্ধান্তের জন্য সবাই তোমার ওপরই নির্ভর করবে। অনেক কঠিন সমস্যা তোমাকে চটজলদি সমাধান করতে হবে। প্রি-প্রোডাকশন থেকে পোস্ট প্রোডাকশন—সব পর্যায়ে এটা দরকার। সে জন্য একজন নির্মাতার নেতৃত্বের গুণ থাকাটাও দরকার।
চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখাপড়া করতে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।
আমি সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী ছিলাম এবং আমি ভালো একটা জায়গায় এ কাজটা শিখতে চেয়েছিলাম। আমি ইউসিএলএ (ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া) বেছে নিয়েছিলাম, কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছিল বেশি। আর ওটা ছিল হলিউডে। আমি যখন ওখানে পড়তে যাই, তার কিছুদিন আগে ফ্রাঞ্চিস ফোর্ড কপোলা সেখান থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। আমি নিজের খরচে ওখানে পড়েছি। তবে ছোটখাটো কিছু আর্থিক সহায়তা আমি পেয়েছিলাম। টিউশন ফি জোগাড় করার জন্য কিছু কাজকর্মও আমাকে করতে হয়েছে।
গাভ থেকে শুরু করে আপনার সবগুলো ছবিই মোটামুটি দুষ্প্রাপ্য বলা চলে। গাভ ছবিটা খুঁজে পেতে আমাকে অনেক হয়রান হতে হয়েছে।
তাহলে তোমার জন্য সুসংবাদ। আমার প্রায় ১৫-১৬টি ছবি (বিপ্লবের আগের ও পরে) এখন এশিয়া প্যাসিফিক ফিল্মস ডট কম—এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে (http://asiapacificfilms.com/films)। এখানে আমার অনেকগুলো ছবি পাওয়া যাবে। তুমি এটা তোমার লেখার মধ্যে লিখতে পারো।
আমরা আপনাকে ইরানের সত্যজিৎ রায় হিসেবে পরিচিত করিয়ে দিতে ভালোবাসি। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আপনার প্রথম দেখা কীভাবে?
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় তেহরানে। এটা সম্ভবত ১৯৭১-৭২ সালের দিকে হবে। এই সময়ে কোনো একটা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন হয়েছিল তেহরানে। আমি এরই মধ্যে তাঁর ছবিগুলো দেখে ফেলেছি। এবং তিনিও আমার গাভ বা দ্য কাউ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই আমাদের দুজনের আলাপ জমে উঠতে খুব দেরি হয়নি। সত্যজিৎ রায় আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নয়াদিল্লির একটি চলচ্চিত্র উৎসবে। তিনি সম্ভবত ওই উৎসবের বিচারকদের প্রধান ছিলেন। এভাবেই পরিচয়। পথের পাঁচালী দেখেছিলাম সত্যজিৎ রায়কে দেখার বেশ আগেই। ছবিটা আমার দারুণ পছন্দ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ৩৮-এর মতো হবে। আমাদের মধ্যে ভাব হতে সময় লাগেনি।
সত্যজিৎ রায় বা তাঁর ছবি কি আপনাকে কোনোভাবে প্রভাবিত করেছেন?
হ্যাঁ। অবশ্যই। তিনি ছিলেন সে সময়কার ‘মাস্টার’দের একজন। ষাটের দশকের ওটা একটা দারুণ সময় ছিল। লুই বুনুয়েল, সত্যজিৎ রায়, জঁ লুক গদার, ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো—এমন সব মানুষ ওই সময়ে পুরোদমে সিনেমা তৈরি করছিলেন। দারুণ সব শিল্পসম্মত ছবি হচ্ছিল। এখন আর সে রকম ছবি দেখি না।
সত্যজিৎ রায় ছাড়া আমাদের এই অঞ্চলের অন্য কোনো ছবি কি আপনার দেখা হয়েছে?
না, আমি দেখিনি; দুর্ভাগ্যবশত। কয়েকটা চলচ্চিত্র উৎসবে এই অঞ্চলের ছবি আমি দেখেছি। কিন্তু বিশেষভাবে বলার মতো কোনো কিছু আমার চোখে পড়েনি। তবে আমি দেখতে আগ্রহী। এই অঞ্চলের ছবি আমি দেখতে চাই।
বাংলাদেশ কেমন লাগছে?
অনেক ভিড়। কিন্তু চমৎকার (হাসি)। মানুষ, রিকশা, এত জোরে গাড়ি চলছে...কিন্তু একটার সঙ্গে আরেকটা ধাক্কা খাচ্ছে না, আশ্চর্য! মানুষ আর যানবাহনের মধ্যে ধাক্কা লেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু লাগছে না। খুবই ইন্টারেস্টিং। মনে হচ্ছে দূষণটা বেশি। তেহরান শহরও এখন অনেক দূষিত হয়ে যাচ্ছে। পাহাড় আছে বলে তাও রক্ষা। গাড়ি বেশি হওয়ার কারণেই এই দূষণটা হচ্ছে, তাই না?
বাংলাদেশি বিকল্প ধারার ছবি সম্পর্কে আপনার ধারণা কেমন?
সত্যি বলছি, সাম্প্রতিক সময়ে কোনো বাংলাদেশি ছবি আমার দেখা হয়নি। তবে সত্যজিৎ রায়ের অনেক ছবি আমি দেখেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে চিনতাম। অনেক চলচ্চিত্র উৎসবে আমরা একসঙ্গে কাজও করেছি।
সত্যজিৎ রায়ের ছায়াছবির একটা বড় অনুপ্রেরণা সাহিত্য থেকে এসেছে; আপনার বেলাতেও তা-ই।
সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ সাহিত্য। (্এক ফাঁকে কেউ একজন চা দিয়ে গেল। ‘থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ’ বলে হাসিমুখে চায়ের কাপটা নিলেন দারিয়ুস)। তবে শেষ পর্যন্ত তুমি কোথা থেকে বা কিসের ওপর ভিত্তি করে ছবি করছ, সেটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, তুমি ছবিটা কীভাবে পরিচালনা করছ আর চিত্রনাট্যটা কী দাঁড়াচ্ছে। সেটি অবশ্যই ওয়েল ডিজাইনড হতে হবে। ন্যারেটিভ, এক্সপ্রেশনস—এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও একজন লেখক। তাই সাহিত্য আমার কাছে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমার অর্ধেকের বেশি ছবির গল্প আমার নিজেরই লেখা।
একসময় সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন আপনি। চলচ্চিত্রের দিকে আগ্রহটা কীভাবে গেল?
তরুণ বয়সেই আমি শিল্পসম্মত ছবি তৈরিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। আমার সব সময়ই মনে হয়েছে, সিনেমা অনেক শক্তিশালী ও অগ্রসর মাধ্যম। শুরুতে পিয়ানো, মানে আমার সংগীতের দিকে আগ্রহ ছিল। লেখালেখিও করেছি। কিন্তু আমি কেবল এসবে ঠিক পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারছিলাম না। সিনেমা এমন একটা ব্যাপার, যেটা আমার সঙ্গে খুব ভালো যায়। চিত্রনাট্য লেখা, লোকেশন খোঁজা, যথার্থ সংগীত নির্বাচন, সেট ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, পরিচালনা। সিনেমা আসলে সব ধরনের শিল্পের মিলিত রূপ। শিল্পজ্ঞান ছাড়াও আরেকটা দরকারি ব্যাপার হচ্ছে ‘ব্যবস্থাপনা।’ তুমিই সেখানে ‘বিগ বস’। যেকোনো কিছুতে সিদ্ধান্তের জন্য সবাই তোমার ওপরই নির্ভর করবে। অনেক কঠিন সমস্যা তোমাকে চটজলদি সমাধান করতে হবে। প্রি-প্রোডাকশন থেকে পোস্ট প্রোডাকশন—সব পর্যায়ে এটা দরকার। সে জন্য একজন নির্মাতার নেতৃত্বের গুণ থাকাটাও দরকার।
চলচ্চিত্র বিষয়ে লেখাপড়া করতে আপনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন।
আমি সিনেমা নির্মাণে আগ্রহী ছিলাম এবং আমি ভালো একটা জায়গায় এ কাজটা শিখতে চেয়েছিলাম। আমি ইউসিএলএ (ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া) বেছে নিয়েছিলাম, কারণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছিল বেশি। আর ওটা ছিল হলিউডে। আমি যখন ওখানে পড়তে যাই, তার কিছুদিন আগে ফ্রাঞ্চিস ফোর্ড কপোলা সেখান থেকে স্নাতক শেষ করেছেন। আমি নিজের খরচে ওখানে পড়েছি। তবে ছোটখাটো কিছু আর্থিক সহায়তা আমি পেয়েছিলাম। টিউশন ফি জোগাড় করার জন্য কিছু কাজকর্মও আমাকে করতে হয়েছে।
গাভ থেকে শুরু করে আপনার সবগুলো ছবিই মোটামুটি দুষ্প্রাপ্য বলা চলে। গাভ ছবিটা খুঁজে পেতে আমাকে অনেক হয়রান হতে হয়েছে।
তাহলে তোমার জন্য সুসংবাদ। আমার প্রায় ১৫-১৬টি ছবি (বিপ্লবের আগের ও পরে) এখন এশিয়া প্যাসিফিক ফিল্মস ডট কম—এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে (http://asiapacificfilms.com/films)। এখানে আমার অনেকগুলো ছবি পাওয়া যাবে। তুমি এটা তোমার লেখার মধ্যে লিখতে পারো।
আমরা আপনাকে ইরানের সত্যজিৎ রায় হিসেবে পরিচিত করিয়ে দিতে ভালোবাসি। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আপনার প্রথম দেখা কীভাবে?
সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় তেহরানে। এটা সম্ভবত ১৯৭১-৭২ সালের দিকে হবে। এই সময়ে কোনো একটা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন হয়েছিল তেহরানে। আমি এরই মধ্যে তাঁর ছবিগুলো দেখে ফেলেছি। এবং তিনিও আমার গাভ বা দ্য কাউ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাই আমাদের দুজনের আলাপ জমে উঠতে খুব দেরি হয়নি। সত্যজিৎ রায় আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নয়াদিল্লির একটি চলচ্চিত্র উৎসবে। তিনি সম্ভবত ওই উৎসবের বিচারকদের প্রধান ছিলেন। এভাবেই পরিচয়। পথের পাঁচালী দেখেছিলাম সত্যজিৎ রায়কে দেখার বেশ আগেই। ছবিটা আমার দারুণ পছন্দ হয়েছিল। আমার বয়স তখন ৩৮-এর মতো হবে। আমাদের মধ্যে ভাব হতে সময় লাগেনি।
সত্যজিৎ রায় বা তাঁর ছবি কি আপনাকে কোনোভাবে প্রভাবিত করেছেন?
হ্যাঁ। অবশ্যই। তিনি ছিলেন সে সময়কার ‘মাস্টার’দের একজন। ষাটের দশকের ওটা একটা দারুণ সময় ছিল। লুই বুনুয়েল, সত্যজিৎ রায়, জঁ লুক গদার, ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো—এমন সব মানুষ ওই সময়ে পুরোদমে সিনেমা তৈরি করছিলেন। দারুণ সব শিল্পসম্মত ছবি হচ্ছিল। এখন আর সে রকম ছবি দেখি না।
সত্যজিৎ রায় ছাড়া আমাদের এই অঞ্চলের অন্য কোনো ছবি কি আপনার দেখা হয়েছে?
না, আমি দেখিনি; দুর্ভাগ্যবশত। কয়েকটা চলচ্চিত্র উৎসবে এই অঞ্চলের ছবি আমি দেখেছি। কিন্তু বিশেষভাবে বলার মতো কোনো কিছু আমার চোখে পড়েনি। তবে আমি দেখতে আগ্রহী। এই অঞ্চলের ছবি আমি দেখতে চাই।
No comments