তিনি এখন চিন্তামুক্ত

মা হওয়ার তিন মাস পর কাজে যোগ দিতে হয় ফেবি কেমালা দিউয়িকে। জাকার্তার একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে চাকরি করেন তিনি। চাকরিজীবী হিসেবে অন্যান্য মায়ের মতো তাঁকেও বড় একটি সমস্যায় পড়তে হয়। একদিকে শিশুসন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো, অন্যদিকে অফিস সামলানো—দুই নিয়ে পড়েন চরম বিপাকে।


সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোটা জরুরি। আবার চাকরিও বাঁচাতে হয়। অবশেষে তিনি বাধ্য হয়ে একটি কুরিয়ার সার্ভিসের শরণাপন্ন হলেন। এই কুরিয়ারই তাঁকে এনে দিল স্বস্তি। প্রতিষ্ঠানটি মোটরবাইকের সাহায্যে কর্মজীবী মায়েদের বুকের দুধ বাড়িতে দ্রুত তাঁদের সন্তানদের জন্য সরবরাহ করে।
দিউয়ি (২৯) বলেন, ‘আমি এখন কাজ করছি। একই সঙ্গে বাচ্চাকেও বুকের দুধ খাওয়াতে পারছি।’ তিনি বলেন, অফিসে আসার পর নির্দিষ্ট সময়ে সন্তানের জন্য তিনি বুকের দুধ বোতলে ভরে রাখেন। মধ্যাহ্নভোজের সময় কুরিয়ারের কর্মী এসে সেই বোতল নিয়ে যায়। জাকার্তার যানজট পেরিয়ে ৪৫ থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে দিউয়ির বাড়িতে কুরিয়ার সেই দুধ পৌঁছে দেয়। দিউয়ির সন্তানের বয়স এখন আট মাস। তার নাম আশালিনা পুত্রি। অফিসে তাঁর বসার টেবিলের সামনে প্রিয় সন্তানের হাসিমাখা মুখের ছবি।
২০১০ সালে ফিকরি নুভাল নামের একজন জাহাজ ব্যবসায়ী নতুন ধরনের কুরিয়ার সার্ভিসটি চালু করেন। প্রতিবার বাসায় সন্তানের জন্য বুকের দুধ পৌঁছে দিতে দূরত্ব অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ হাজার রুপিয়া (৩ দশমিক ৩০ থেকে ৪ দশমিক ৪০ ডলার) নেয় কুরিয়ার সার্ভিস। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.