বৈঠকে রেলমন্ত্রীর আশ্বাস-নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুর পথে কমিউটার ট্রেন চালু হবে
নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুর রেলপথে শিগগিরই কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে। এ ছাড়া এই পথে ডবল লাইন স্থাপন এবং সকালে আরেকটি ট্রেন চালু করা হবে। গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জের যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এই আশ্বাস দিয়েছেন।
ঢাকার আব্দুল গণি রোড এলাকায় অবস্থিত রেল ভবনে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। বৈঠক শেষে নেতারা প্রথম আলোকে এসব কথা জানান।
নেতারা বলেন, রেলমন্ত্রীর হাতে একটি লিখিত বক্তব্য তুলে দেন তাঁরা। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা বিশ্বে আজ জনবহুল দেশে শুধু নয়, উন্নত দেশগুলোতেও রেলব্যবস্থা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ১৮৮২ সালে রেল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ভূমি অধিগ্রহণ করে। ১৮৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে রেলযোগাযোগ শুরু হয়। একসময় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রধানত রেলপথে এ দেশের বিভিন্ন যায়গায় যাতায়াত করা হতো। কিন্তু এখন প্রশাসনিক অব্যবস্থা ও রেলের অসাধু কিছু কর্মকর্তার কারণে এই খাত লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই রেল খাত গুরুত্বহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন চাকরি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে লক্ষাধিক মানুষ নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের বিশাল এই জনগোষ্ঠী বেসরকারি বাসমালিকদের কাছে জিম্মি। বাসমালিকেরা কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করছেন। এ ছাড়া সড়কপথে যাতায়াতে যানজটের ভোগান্তির অন্ত নেই। এ অবস্থায় রেলপথেই সাধারণ মানুষের ভরসা বেশি। তাই অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুর ডবল লাইন স্থাপন, প্রতি ঘণ্টা অন্তর ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্রেনের বগির সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রতিটি ট্রেনে অন্তত একটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বগি সংযুক্ত, এই যাত্রাপথে কমিউটার ট্রেন চালু, ট্রেনের পর্যাপ্তসংখ্যক বাতি সংযুক্ত করা এবং বগি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, স্টেশনে পর্যাপ্তসংখ্যক শৌচাগার স্থাপন ও খাবার পানির ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ৮ আগস্ট চীনের সঙ্গে এক চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৫ মাসের মধ্যে তারা ২০ সেট কমিউটার ট্রেন দেবে। চীন থেকে ওই ট্রেন পাওয়া গেলে নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুর কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
এ ছাড়া সকাল আটটা থেকে নয়টা ২০ মিনিটের মধ্যে আরেকটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে ট্রেনের প্রতিটি বগির মধ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক বাতি ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা হবে। শিগগিরই নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুরে ডবল লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
নেতারা বলেন, রেলমন্ত্রীর হাতে একটি লিখিত বক্তব্য তুলে দেন তাঁরা। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সারা বিশ্বে আজ জনবহুল দেশে শুধু নয়, উন্নত দেশগুলোতেও রেলব্যবস্থা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ১৮৮২ সালে রেল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রেল কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ভূমি অধিগ্রহণ করে। ১৮৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ থেকে রেলযোগাযোগ শুরু হয়। একসময় নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রধানত রেলপথে এ দেশের বিভিন্ন যায়গায় যাতায়াত করা হতো। কিন্তু এখন প্রশাসনিক অব্যবস্থা ও রেলের অসাধু কিছু কর্মকর্তার কারণে এই খাত লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এই রেল খাত গুরুত্বহীন ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন চাকরি, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে লক্ষাধিক মানুষ নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাতায়াত করে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের বিশাল এই জনগোষ্ঠী বেসরকারি বাসমালিকদের কাছে জিম্মি। বাসমালিকেরা কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করছেন। এ ছাড়া সড়কপথে যাতায়াতে যানজটের ভোগান্তির অন্ত নেই। এ অবস্থায় রেলপথেই সাধারণ মানুষের ভরসা বেশি। তাই অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুর ডবল লাইন স্থাপন, প্রতি ঘণ্টা অন্তর ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্রেনের বগির সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রতিটি ট্রেনে অন্তত একটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বগি সংযুক্ত, এই যাত্রাপথে কমিউটার ট্রেন চালু, ট্রেনের পর্যাপ্তসংখ্যক বাতি সংযুক্ত করা এবং বগি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, স্টেশনে পর্যাপ্তসংখ্যক শৌচাগার স্থাপন ও খাবার পানির ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ৮ আগস্ট চীনের সঙ্গে এক চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৫ মাসের মধ্যে তারা ২০ সেট কমিউটার ট্রেন দেবে। চীন থেকে ওই ট্রেন পাওয়া গেলে নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুর কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর আশ্বাস দিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
এ ছাড়া সকাল আটটা থেকে নয়টা ২০ মিনিটের মধ্যে আরেকটি ট্রেন সার্ভিস চালু করা হবে। আগামী এক মাসের মধ্যে ট্রেনের প্রতিটি বগির মধ্যে পর্যাপ্তসংখ্যক বাতি ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা হবে। শিগগিরই নারায়ণগঞ্জ-কমলাপুরে ডবল লাইন স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
No comments