বিশ্ব অর্থনীতি আরও শ্লথ হবে: বিশ্বব্যাংক
বিশ্ব অর্থনীতি আরও শ্লথ হয়ে পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। আর এই শ্লথ অবস্থা তৈরি হবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার প্রভাবে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা (জিইপি-২০১২) প্রতিবেদনে এসব পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে আড়াই শতাংশে। এর আগে জুন মাসে এই হার ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, ২০১৩ সালে এসে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১০ শতাংশে উন্নীত হবে।
এই পূর্বাভাস অনুসারে, এ বছর উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৪০। তবে ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতি দশমিক ৩০ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
ইউরো অঞ্চলের সংকটের নেতিবাচক প্রভাবই উন্নত বিশ্বের সার্বিক প্রবৃদ্ধিকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ বছর উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। জুন মাসের পূর্বাভাসে এই হার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ বলা হয়েছিল।
ব্রাজিল ও ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শ্লথ হয়ে পড়া এবং রাশিয়া, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকায় খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এটি আগামী বছর আরও কমে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ বহন করে। এই তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভারতের অর্থনীতি গতিময়তা হারানোর প্রভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক এ বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করেছে সাড়ে ৬ শতাংশ। অবশ্য অর্থবছর (জুলাই-জুন) হিসাবে তা ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ২০১২ সালে তা কমে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য রপ্তানি বাজারের এক-চতুর্থাংশ ইউরো অঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা রপ্তানি ইউরোপের চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় প্রভাবিত হবে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের প্রবাসী-আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই পূর্বাভাস অনুসারে, এ বছর উন্নত দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৪০। তবে ইউরো অঞ্চলের অর্থনীতি দশমিক ৩০ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক।
ইউরো অঞ্চলের সংকটের নেতিবাচক প্রভাবই উন্নত বিশ্বের সার্বিক প্রবৃদ্ধিকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ বছর উন্নয়নশীল বিশ্বের প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। জুন মাসের পূর্বাভাসে এই হার ৬ দশমিক ২০ শতাংশ বলা হয়েছিল।
ব্রাজিল ও ভারতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শ্লথ হয়ে পড়া এবং রাশিয়া, তুরস্ক ও দক্ষিণ আফ্রিকায় খানিকটা ঝিমিয়ে পড়ার প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এটি আগামী বছর আরও কমে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ বহন করে। এই তথ্য উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, ভারতের অর্থনীতি গতিময়তা হারানোর প্রভাবেই দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক এ বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করেছে সাড়ে ৬ শতাংশ। অবশ্য অর্থবছর (জুলাই-জুন) হিসাবে তা ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ২০১২ সালে তা কমে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য রপ্তানি বাজারের এক-চতুর্থাংশ ইউরো অঞ্চলের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা রপ্তানি ইউরোপের চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় প্রভাবিত হবে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের প্রবাসী-আয়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
No comments