প্রতিবেশী-আগরতলার শেখ হাসিনা সন্দর্শন by শফি আহমেদ
‘তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান, গ্রহণ করেছো যত, ঋণী তত করেছো আমায়। হে বন্ধু বিদায়।’ শব্দবন্ধ আর উচ্চারণ করলেন না অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতা-র অন্তর্গত এই অসামান্য অর্থবহ ও গভীরভাবে রোমান্টিক চরণ দুটির মাধ্যমে শেষ হয়েছিল দুদিনের সফরে আগরতলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনা ও সমাপনী আনুষ্ঠানিকতা।
আগরতলা বা ত্রিপুরার সঙ্গে ঢাকা বা বাংলাদেশের সম্পর্কের বুননে রবীন্দ্রনাথ এক আদি সুতো বা সূত্র। ১১ জানুয়ারি যেদিন শেখ হাসিনা আগরতলায় পৌঁছালেন, সেদিনের ত্রিপুরা দর্পণ-এ ‘বঙ্গবন্ধু-মুক্তিযুদ্ধ-রবীন্দ্রনাথ-আগরতলা-বাংলাদেশ’ নামে এ নিবন্ধকারের একটি লেখা ছাপা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দুদিনের সফরে রবীন্দ্রনাথ তাঁর সার্ধশত জন্মবর্ষে খুবই অস্তিত্বমান ছিলেন। বিমানবন্দর থেকে শহরে যাওয়ার পথে (বর্তমান লেখকও প্রধানমন্ত্রীর একজন সফরসঙ্গী ছিলেন) অনেকক্ষণ ধরে শুনতে পাচ্ছি, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের যে অংশে আমাদের আবাসের ব্যবস্থা, তার নাম গীতাঞ্জলি। ওই দিন সন্ধ্যায় রাজ ভবনে সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আগরতলা সফরে এলে এই বাড়িতেই থাকতেন রবীন্দ্রনাথ। এই বাড়ির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে তিনি হাঁটতেন। রাজ ভবনের মিলনায়তনের বাঁ দিকে রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতি। রবীন্দ্রনাথের গান দিয়েই ওই অনুষ্ঠান ও পরদিনের গণসংবর্ধনার সূচনা।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনেক দিন আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এর আগে এই সফরে যাওয়া সম্ভব হয়নি, কিন্তু স্বচক্ষে যা দেখেছি—আগরতলা শহরের অভূতপূর্ব আয়োজন, উত্তেজনা ও আন্তরিকতায় এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চোখ-মুখের ভাষায় তা সত্যিই হূদয়স্পর্শী। দুই দেশের সীমানা যেন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ভালোবাসার সবাক ও প্রতীকী প্রকাশে।
এই প্রথম আগরতলায় আগত বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অবশ্যই এ ছিল প্রত্যাশিত এক অভিজ্ঞতা; কিন্তু যা বাড়তি ছিল বলে আমার মনে হয়েছে, তা হলো, আগরতলাবাসীর আতিথেয়তার আন্তরিক উত্তাপ। পথে বেরিয়ে শুনতে পাচ্ছি, ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’—সেই একাত্তরের যুদ্ধদিনের অমর ও প্রেরণাদায়ী সংগীত। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পার হওয়ার সময় শুনতে পেলাম, বঙ্গবন্ধুর সেই সাতই মার্চের বজ্রনির্ঘোষ ভাষণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদির সঙ্গে আগরতলার নামটা তো অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আনুষ্ঠানিক ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত ভাষণের শেষে এসে উচ্ছ্বাসে-আবেগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা উল্লেখও করলেন।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে উপস্থিত, এখানেই ছিল একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের শিবির।’ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্যের আবরণ উন্মোচন ও তৎসংলগ্ন নবনির্মিত একটি অ্যামফিথিয়েটারের উদ্বোধন করেন—সেখানেও রবীন্দ্রনাথ। সেখানে রবীন্দ্রপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাল্মিকী প্রতিভা কাব্যনাট্য থেকে কয়েকটি চরণ উদ্ধৃত করে সবাইকে মুগ্ধ করলেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিও অসাধারণ একটা ভাষণ দিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ড. হামিদ আনসারী যখন শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাম্মানিক ডিলিট ডিগ্রির সনদ তুলে দিলেন, করতালির শব্দে মিলনায়তন মুখর হয়ে উঠল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদমন্ত্রী কপিল সিবাল এবং ত্রিপুরার রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাতিল।
আগরতলা শহরের প্রতিবেশী দূরত্বের সূর্যমণিনগরে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখান থেকে ফেরার পথে আবার উদ্বেলিত জনতার ওই একই দৃশ্য। মধ্যাহ্নভোজের পর ছিল ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা। আসাম রাইফেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ওই সংবর্ধনাকে সুবিশাল গণজমায়েত বললেও যেন সবটা বোঝানো যায় না। লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে একবার দেখার জন্য তাদের মনে কী গভীর আকুতি! তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এঁদের অধিকাংশই বাংলাদেশ নামের দেশটার কথা উচ্চারণ ও ভাবনার সঙ্গে সঙ্গেই স্মৃতিকাতর বোধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও গণসংবর্ধনা উভয় বক্তৃতায়ই শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে ত্রিপুরার মানুষের অকৃপণ সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর বক্তৃতার আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণের মৈত্রীর ওপর জোর দেন এবং শেখ হাসিনার ত্রিপুরা সফর ও তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান। তিনি এই রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হলে বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। শেখ হাসিনার সফরের প্রথম দিনেই তাঁর অনুগামী বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ও ত্রিপুরা বণিক সমিতির নেতাদের একটি যৌথ সভায় তিনি অত্যন্ত জোরালো বক্তব্য দেন এবং বলেন, বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে তিনি ভারতের কাছ থেকে আরও উদার ও সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রত্যাশা করেন।
এই সফরের কেন্দ্রবিন্দুতে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি গ্রহণের বিষয়টি থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সফর বলে তাতে অনিবার্যভাবে একটি রাজনৈতিক মাত্রা যুক্ত হয়। ত্রিপুরায় তাঁর সফরের সাফল্যের প্রত্যক্ষ ফল আশা করা অনুচিত, কারণ রাজ্যের সঙ্গে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা সমঝোতা হতে পারে না। কিন্তু শেখ হাসিনা যে আবেগ-বিহ্বল আন্তরিকতা পেয়েছেন, তা থেকে বোঝা যায়, একই ভাষা ও সংস্কৃতির দুই ভূখণ্ডের মধ্যে এক আদি বন্ধন আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত মিশে আছে যে ভূমিতে, সেই অঞ্চলের মানুষ তো আমাদের পরম আত্মীয়।
শফি আহমদ: অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিষদ অনেক দিন আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এর আগে এই সফরে যাওয়া সম্ভব হয়নি, কিন্তু স্বচক্ষে যা দেখেছি—আগরতলা শহরের অভূতপূর্ব আয়োজন, উত্তেজনা ও আন্তরিকতায় এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রীর চোখ-মুখের ভাষায় তা সত্যিই হূদয়স্পর্শী। দুই দেশের সীমানা যেন অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল ভালোবাসার সবাক ও প্রতীকী প্রকাশে।
এই প্রথম আগরতলায় আগত বাংলাদেশ বিমান ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। অবশ্যই এ ছিল প্রত্যাশিত এক অভিজ্ঞতা; কিন্তু যা বাড়তি ছিল বলে আমার মনে হয়েছে, তা হলো, আগরতলাবাসীর আতিথেয়তার আন্তরিক উত্তাপ। পথে বেরিয়ে শুনতে পাচ্ছি, ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’—সেই একাত্তরের যুদ্ধদিনের অমর ও প্রেরণাদায়ী সংগীত। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পার হওয়ার সময় শুনতে পেলাম, বঙ্গবন্ধুর সেই সাতই মার্চের বজ্রনির্ঘোষ ভাষণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদির সঙ্গে আগরতলার নামটা তো অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর আনুষ্ঠানিক ইংরেজি ভাষায় প্রদত্ত ভাষণের শেষে এসে উচ্ছ্বাসে-আবেগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা উল্লেখও করলেন।
ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁর প্রারম্ভিক ভাষণে বলেছিলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে উপস্থিত, এখানেই ছিল একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের শিবির।’ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের একটি ভাস্কর্যের আবরণ উন্মোচন ও তৎসংলগ্ন নবনির্মিত একটি অ্যামফিথিয়েটারের উদ্বোধন করেন—সেখানেও রবীন্দ্রনাথ। সেখানে রবীন্দ্রপ্রেমী প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত ভাষণে বাল্মিকী প্রতিভা কাব্যনাট্য থেকে কয়েকটি চরণ উদ্ধৃত করে সবাইকে মুগ্ধ করলেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিও অসাধারণ একটা ভাষণ দিলেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ড. হামিদ আনসারী যখন শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে সাম্মানিক ডিলিট ডিগ্রির সনদ তুলে দিলেন, করতালির শব্দে মিলনায়তন মুখর হয়ে উঠল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মানবসম্পদমন্ত্রী কপিল সিবাল এবং ত্রিপুরার রাজ্যপাল ডি ওয়াই পাতিল।
আগরতলা শহরের প্রতিবেশী দূরত্বের সূর্যমণিনগরে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সেখান থেকে ফেরার পথে আবার উদ্বেলিত জনতার ওই একই দৃশ্য। মধ্যাহ্নভোজের পর ছিল ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনা। আসাম রাইফেল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ওই সংবর্ধনাকে সুবিশাল গণজমায়েত বললেও যেন সবটা বোঝানো যায় না। লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে একবার দেখার জন্য তাদের মনে কী গভীর আকুতি! তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর এঁদের অধিকাংশই বাংলাদেশ নামের দেশটার কথা উচ্চারণ ও ভাবনার সঙ্গে সঙ্গেই স্মৃতিকাতর বোধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও গণসংবর্ধনা উভয় বক্তৃতায়ই শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে ত্রিপুরার মানুষের অকৃপণ সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বিপদেই প্রকৃত বন্ধুর পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর বক্তৃতার আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণের মৈত্রীর ওপর জোর দেন এবং শেখ হাসিনার ত্রিপুরা সফর ও তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানান। তিনি এই রাজ্যের পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হলে বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন। শেখ হাসিনার সফরের প্রথম দিনেই তাঁর অনুগামী বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল ও ত্রিপুরা বণিক সমিতির নেতাদের একটি যৌথ সভায় তিনি অত্যন্ত জোরালো বক্তব্য দেন এবং বলেন, বৃহৎ প্রতিবেশী হিসেবে তিনি ভারতের কাছ থেকে আরও উদার ও সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রত্যাশা করেন।
এই সফরের কেন্দ্রবিন্দুতে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি গ্রহণের বিষয়টি থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সফর বলে তাতে অনিবার্যভাবে একটি রাজনৈতিক মাত্রা যুক্ত হয়। ত্রিপুরায় তাঁর সফরের সাফল্যের প্রত্যক্ষ ফল আশা করা অনুচিত, কারণ রাজ্যের সঙ্গে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি বা সমঝোতা হতে পারে না। কিন্তু শেখ হাসিনা যে আবেগ-বিহ্বল আন্তরিকতা পেয়েছেন, তা থেকে বোঝা যায়, একই ভাষা ও সংস্কৃতির দুই ভূখণ্ডের মধ্যে এক আদি বন্ধন আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত মিশে আছে যে ভূমিতে, সেই অঞ্চলের মানুষ তো আমাদের পরম আত্মীয়।
শফি আহমদ: অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments