হূদয়ে সুজানা by কামরুজ্জামান
প্রথম আলোর বিনোদন পাতায় প্রকাশিত হলো খবরটা। হূদয়-সুজানা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। দুজন কবে থেকে বন্ধু? কবে আরও কাছাকাছি এলেন? এমন অনেক কথাই তাঁরা হূদয় খুলে বললেন আনন্দ প্রতিবেদকের কাছএও কি সম্ভব? সকাল ১০টার আগেই ঘুম থেকে ওঠা! সকালের নাশতা করেই কাজে নেমে যাওয়া! হাতে থাকবে না জ্বলন্ত সিগারেট!
মাত্র ছয় মাস আগে হলে হূদয় খানকে নিয়ে এই কথাগুলো লেখা যেত না।
মাত্র ছয় মাস আগে হলে হূদয় খানকে নিয়ে এই কথাগুলো লেখা যেত না।
গত মঙ্গলবার হূদয় খানের নতুন বাসায় গিয়ে অবাক হতে হলো! হূদয় নিজেকে বদলে ফেলেছেন। নিয়ম আর শৃঙ্খলার আবর্তে নিজেকে বেঁধেছেন। এর পেছনে কাজ করেছে সুজানার ভালোবাসা।
হূদয় একেবারের নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললেন। বাবা-মার সঙ্গে কিছুটা অভিমান করেই হূদয় পল্টনের স্টুডিও ছেড়ে চলে গেছেন মিরপুরে। সেখানেই তাঁর বাস। কাছাকাছি থাকেন সুজানা।
হাসতে হাসতেই হূদয় বলছিলেন, ‘মানুষ ভালোবাসার জন্য রাজ্য ছাড়ে, সিংহাসন ছাড়ে, আর আমি তো শুধু স্টুডিওটা পাল্টেছি।’
নতুন বাসা গোছানোর কাজ চলছে। স্টুডিওটা তৈরি হয়ে গেছে। হূদয় মিক্স-৩ অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন। সুজানার কড়া নজরদারি। নিষ্ঠার সঙ্গেই করতে হবে কাজ। না হলে সুজানা রেগে যাবেন। ভালোবাসা দিবসেই অ্যালবামটির প্রচারণা শুরু করবেন হূদয়। আর পয়লা বৈশাখে অ্যালবামটি বাজারে ছাড়া হবে।
হূদয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সুজানা চলে এলেন।
প্রথমেই জানতে চাইলাম, কে কাকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিল?
হূদয় হাসেন। সুজানার হাতের আঙুল নির্দেশ করে হূদয়কে। ‘ও-ই তো আমাকে বলেছে।’ সুজানার কথা শুনে হূদয় মাথা নেড়ে সম্মতি জানান।
অকপটে হূদয় স্বীকার করলেন নিজের কথাও।
‘আমার সঙ্গে এর আগে কারও কারও সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু সেসব সম্পর্ক টেকেনি। আর যাদেরই দেখেছি, তাদের দেখে মনে হয়নি যে একদিন তাকেই বিয়ে করব। সুজানাকে দেখার পর মনে হয়েছে একেই বিয়ে করা যায়। এ জন্য আমি সুজানাকে বলেছি, “যেদিন তুমি হ্যাঁ বলবে, সেদিনই আমি তোমাকে বিয়ে করব।”’
সুজানা কিন্তু সেই ‘হ্যাঁ’ এখনো বলেননি। ‘আমি আসলে কাজের মধ্যে দিয়েই ওকে চিনেছি। আমি ওকে বলেছি, দেখো, তোমার কাজ আমার ভালো লাগে, এভাবেই তোমাকে ভালো লেগেছে। এক দিনেই তো আর হ্যাঁবলা যায় না। আমি চাই, যদি বিয়ে করতে হয়ে, তবে সেটা আমার পরিবারকে আমি বলব, তুমি তোমার পরিবারকে বলবে, তারপরই আমরা বিয়েটা করব। আর সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমাদের সেই স্বপ্নও পূরণ হবে।’ বলছিলেন সুজানা।
সুজানার এভাবে কথা বলার কারণও আছে, ‘এর আগে আমি পছন্দ করে এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলাম। তাকে এতটাই ভালোবাসতাম যে বাবা-মায়ের অমতেই বিয়েটা করি এবং নাটক ও মডেলিং ছেড়ে দিই। কিন্তু তিন মাস পরে আমাকে এমনভাবে পুরো পরিবারটি মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে, সেই ছেলেকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি। তাই এবারে যা-ই করি না কেন, পরিবারের সম্মতি নিয়ে করতে চাই।’
এ তো গেল ভবিষ্যতের কথা। এবারে শোনা যাক দুই মাধ্যমের দুই শিল্পীর মিলনটা হলো কী করে?
‘আমি বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ওর ছবি দেখতাম। ওকে চিনতামও না। এ সময় আমার ছোঁয়া অ্যালবামের জন্য আমি সুজানার মতোই একজন মডেলকে খুঁজছিলাম। আমার ক্যামেরাম্যানকে বললাম, এই মেয়েকে নেব। এর কদিন পরেই জিনাত হাকিমের একটি অনুষ্ঠানে সুজানাকে দেখলাম। জিনাত চাচির কাছ থেকে ওর মুঠোফোন নম্বর নিয়ে ফোন করলাম। কথা হলো। দেখা হলো। কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, মেয়েটির মনের সঙ্গে আমার খুব মিল। তখন আমার জীবনেও কেউ নাই, ওর জীবনেও কেউ নাই। আমরা একে অপরের দুঃখ-কষ্টগুলো নিয়ে কথা বলি। আস্তে আস্তে একে অপরকে পছন্দ করি,’ বললেন হূদয়।
‘আমি বুঝতে পারছিলাম, হূদয় আমাকে পছন্দ করে। আমি যা বলি, ও তা-ই করে। হঠাৎ দেখলাম, ওর অনেক পরিবর্তন। আগে ধূমপান ছাড়া থাকতেই পারত না। এখন করে না বললেই চলে। মিউজেকের কাজে সিরিয়াস ছিল না। ফোন রিসিভ করত না। এখন দেখেন, ও সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে করছে। ওকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছে, আমি কিন্তু দেখি, ও ভালোই আছে। এমনও হয়, অনেক মেয়ে ভক্ত ওকে ফোনে নানা কথা বলে, ও আমাকে টেলিকনফারেন্স করে শুনিয়ে বলে, দেখো তো মুঠোফোন নম্বরটা নতুন নিলাম, এরই মধ্যে কী অবস্থা! আবার ওর নম্বর পরিবর্তন করে দিই। সত্যি, হূদয় এখন একদম বদলে গেছে।’ বলছিলেন সুজানা।
এ তো গেল ব্যক্তি হূদয়-সুজানার মন দেওয়া-নেওয়ার গল্প। এবারে শোনা যাক আরেক গল্প।
‘সুজানা বাংলা গান শুনতই না। শুধু ন্যান্সির গান পছন্দ করে। আর আমার গান তো পছন্দই করে না,’ হাসতে হাসতে বলছিলেন হূদয়। কিন্তু সুজানার জোর প্রতিবাদ, ‘আমি জানতাম না অবুঝ ভালোবাসা অ্যালবামটির গানগুলো হূদয়ের। আমি ওই অ্যালবামের গানগুলো খুবই পছন্দ করি। ওর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বললাম, এই রকম গান গাও না কেন? ও গম্ভীর গলায় বলল, “দুর্ভাগ্য তোমার।” তারপর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। অনেকক্ষণ পরে বলে, “গানগুলো আমারই গাওয়া।” আমি তো খুবই খুশি। এর পর থেকে আমি অনেক বাংলা গান শুনি।’
সুজানার কাজ সম্পর্কে হূদয় বললেন, ‘ওর কনসেপ্ট এত ভালো যে আমার গানের মডেল হলো যখন, তখন দেখলাম, ও আসলে কাজটা খুবই ভালো বোঝে। ওকে তো আমি আমার সহকারী হিসেবে নিয়ে নিয়েছি। পাঁচ মাস কোনো কাজ করেনি ও। সামনে আবার কাজ শুরু করবে। আমরা আসলে এখন কাজ আর নিজেদের নিয়েই আমাদের নতুন একটা পৃথিবী গড়ে তুলছি।’
হূদয় একেবারের নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললেন। বাবা-মার সঙ্গে কিছুটা অভিমান করেই হূদয় পল্টনের স্টুডিও ছেড়ে চলে গেছেন মিরপুরে। সেখানেই তাঁর বাস। কাছাকাছি থাকেন সুজানা।
হাসতে হাসতেই হূদয় বলছিলেন, ‘মানুষ ভালোবাসার জন্য রাজ্য ছাড়ে, সিংহাসন ছাড়ে, আর আমি তো শুধু স্টুডিওটা পাল্টেছি।’
নতুন বাসা গোছানোর কাজ চলছে। স্টুডিওটা তৈরি হয়ে গেছে। হূদয় মিক্স-৩ অ্যালবামের কাজ শুরু করেছেন। সুজানার কড়া নজরদারি। নিষ্ঠার সঙ্গেই করতে হবে কাজ। না হলে সুজানা রেগে যাবেন। ভালোবাসা দিবসেই অ্যালবামটির প্রচারণা শুরু করবেন হূদয়। আর পয়লা বৈশাখে অ্যালবামটি বাজারে ছাড়া হবে।
হূদয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সুজানা চলে এলেন।
প্রথমেই জানতে চাইলাম, কে কাকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিল?
হূদয় হাসেন। সুজানার হাতের আঙুল নির্দেশ করে হূদয়কে। ‘ও-ই তো আমাকে বলেছে।’ সুজানার কথা শুনে হূদয় মাথা নেড়ে সম্মতি জানান।
অকপটে হূদয় স্বীকার করলেন নিজের কথাও।
‘আমার সঙ্গে এর আগে কারও কারও সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু সেসব সম্পর্ক টেকেনি। আর যাদেরই দেখেছি, তাদের দেখে মনে হয়নি যে একদিন তাকেই বিয়ে করব। সুজানাকে দেখার পর মনে হয়েছে একেই বিয়ে করা যায়। এ জন্য আমি সুজানাকে বলেছি, “যেদিন তুমি হ্যাঁ বলবে, সেদিনই আমি তোমাকে বিয়ে করব।”’
সুজানা কিন্তু সেই ‘হ্যাঁ’ এখনো বলেননি। ‘আমি আসলে কাজের মধ্যে দিয়েই ওকে চিনেছি। আমি ওকে বলেছি, দেখো, তোমার কাজ আমার ভালো লাগে, এভাবেই তোমাকে ভালো লেগেছে। এক দিনেই তো আর হ্যাঁবলা যায় না। আমি চাই, যদি বিয়ে করতে হয়ে, তবে সেটা আমার পরিবারকে আমি বলব, তুমি তোমার পরিবারকে বলবে, তারপরই আমরা বিয়েটা করব। আর সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমাদের সেই স্বপ্নও পূরণ হবে।’ বলছিলেন সুজানা।
সুজানার এভাবে কথা বলার কারণও আছে, ‘এর আগে আমি পছন্দ করে এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলাম। তাকে এতটাই ভালোবাসতাম যে বাবা-মায়ের অমতেই বিয়েটা করি এবং নাটক ও মডেলিং ছেড়ে দিই। কিন্তু তিন মাস পরে আমাকে এমনভাবে পুরো পরিবারটি মানসিক যন্ত্রণা দিতে থাকে, সেই ছেলেকে ডিভোর্স দিয়ে চলে আসি। তাই এবারে যা-ই করি না কেন, পরিবারের সম্মতি নিয়ে করতে চাই।’
এ তো গেল ভবিষ্যতের কথা। এবারে শোনা যাক দুই মাধ্যমের দুই শিল্পীর মিলনটা হলো কী করে?
‘আমি বিভিন্ন ম্যাগাজিনে ওর ছবি দেখতাম। ওকে চিনতামও না। এ সময় আমার ছোঁয়া অ্যালবামের জন্য আমি সুজানার মতোই একজন মডেলকে খুঁজছিলাম। আমার ক্যামেরাম্যানকে বললাম, এই মেয়েকে নেব। এর কদিন পরেই জিনাত হাকিমের একটি অনুষ্ঠানে সুজানাকে দেখলাম। জিনাত চাচির কাছ থেকে ওর মুঠোফোন নম্বর নিয়ে ফোন করলাম। কথা হলো। দেখা হলো। কাজ করতে গিয়ে দেখলাম, মেয়েটির মনের সঙ্গে আমার খুব মিল। তখন আমার জীবনেও কেউ নাই, ওর জীবনেও কেউ নাই। আমরা একে অপরের দুঃখ-কষ্টগুলো নিয়ে কথা বলি। আস্তে আস্তে একে অপরকে পছন্দ করি,’ বললেন হূদয়।
‘আমি বুঝতে পারছিলাম, হূদয় আমাকে পছন্দ করে। আমি যা বলি, ও তা-ই করে। হঠাৎ দেখলাম, ওর অনেক পরিবর্তন। আগে ধূমপান ছাড়া থাকতেই পারত না। এখন করে না বললেই চলে। মিউজেকের কাজে সিরিয়াস ছিল না। ফোন রিসিভ করত না। এখন দেখেন, ও সবকিছুই ঠিকঠাকভাবে করছে। ওকে নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছে, আমি কিন্তু দেখি, ও ভালোই আছে। এমনও হয়, অনেক মেয়ে ভক্ত ওকে ফোনে নানা কথা বলে, ও আমাকে টেলিকনফারেন্স করে শুনিয়ে বলে, দেখো তো মুঠোফোন নম্বরটা নতুন নিলাম, এরই মধ্যে কী অবস্থা! আবার ওর নম্বর পরিবর্তন করে দিই। সত্যি, হূদয় এখন একদম বদলে গেছে।’ বলছিলেন সুজানা।
এ তো গেল ব্যক্তি হূদয়-সুজানার মন দেওয়া-নেওয়ার গল্প। এবারে শোনা যাক আরেক গল্প।
‘সুজানা বাংলা গান শুনতই না। শুধু ন্যান্সির গান পছন্দ করে। আর আমার গান তো পছন্দই করে না,’ হাসতে হাসতে বলছিলেন হূদয়। কিন্তু সুজানার জোর প্রতিবাদ, ‘আমি জানতাম না অবুঝ ভালোবাসা অ্যালবামটির গানগুলো হূদয়ের। আমি ওই অ্যালবামের গানগুলো খুবই পছন্দ করি। ওর সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর বললাম, এই রকম গান গাও না কেন? ও গম্ভীর গলায় বলল, “দুর্ভাগ্য তোমার।” তারপর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। অনেকক্ষণ পরে বলে, “গানগুলো আমারই গাওয়া।” আমি তো খুবই খুশি। এর পর থেকে আমি অনেক বাংলা গান শুনি।’
সুজানার কাজ সম্পর্কে হূদয় বললেন, ‘ওর কনসেপ্ট এত ভালো যে আমার গানের মডেল হলো যখন, তখন দেখলাম, ও আসলে কাজটা খুবই ভালো বোঝে। ওকে তো আমি আমার সহকারী হিসেবে নিয়ে নিয়েছি। পাঁচ মাস কোনো কাজ করেনি ও। সামনে আবার কাজ শুরু করবে। আমরা আসলে এখন কাজ আর নিজেদের নিয়েই আমাদের নতুন একটা পৃথিবী গড়ে তুলছি।’
No comments