১১ মামলায় জামিনে অনিয়ম-মামলা করে বিচারককে বরখাস্তের সুপারিশ by মহিউদ্দিন ফারুক
কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) এস এম আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি মামলায় জামিনের অনিয়মের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারকের দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে জামিন দেওয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠে। এর ভিত্তিতে গত ২৮ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। ২ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। মন্ত্রণালয় ৪ জানুয়ারি তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
‘দুই দিনে জাল টাকা উদ্ধারের সাত মামলায় জামিন’ শিরোনামে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের পর জানানো হয়, বিচারক এস এম আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাঁকে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে পরামর্শ জানাতে অনুরোধ করেছে।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মাদক, হত্যা ও জাল টাকার মামলায় আসামিদের জামিনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জিএ (জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ) কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ: অবকাশকালীন বিচারকের দায়িত্ব পালনকালে জাল মুদ্রা, মাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলায় জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে ১৫টি মামলায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, নয়টি মামলায় জামিনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তবে অপর ছয়টি ক্ষেত্রে জামিনে অনিয়ম ধরা পড়েনি। তদন্ত করতে গিয়ে এর বাইরে নাদিয়া হত্যা মামলা ও ২৮০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের মামলায়ও জামিনে অনিয়ম ধরা পড়ে।
অনিয়ম ধরা পড়া ১১টি মামলার বর্ণনা তুলে ধরে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জামিন প্রদানে দুর্নীতি হয়েছে সন্দেহ করা যায়। তবে দুর্নীতির বিষয়ে অধিকতর তদন্ত ছাড়া সুস্পষ্ট মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
১১ মামলায় জামিনে অনিয়ম: প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদপুর থানার জাল নোট উদ্ধারের মামলায় আসামি পলাশ, সূত্রাপুর থানার মামলায় আসামি মো. সিকান্দার, সবুজবাগ থানার মামলায় আসামি সাজ্জাত হোসেন, দক্ষিণখান থানার মামলায় আসামি মো. আরিফের জামিনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে।
তদন্তে ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় আসামি কামালউদ্দিন হাওলাদার ও লালবাগ থানায় করা মামলায় আসামি আমিরুল ইসলামের জামিনেও অনিয়ম ধরা পড়ে।
দারুস সালাম থানায় করা সুব্রত হত্যা মামলায় সীমন সিকদারের জামিনে অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। ফেনসিডিল উদ্ধারের অভিযোগে মতিঝিল ও কাফরুল থানায় করা পৃথক দুটি মামলায় আসামি নজরুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের জামিনেও অনিয়ম পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে নাদিয়া হত্যা মামলায় আসামির জামিনের বিষয়ে বলা হয়, মামলার আসামি মো. শিকদার শফিকুর রহমান স্ত্রী নাদিয়াকে হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে নিজ গাড়িতে করে লাশ নিয়ে যাওয়ার পথে শাহবাগ এলাকায় হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে হত্যার বিষয়ে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ আসামিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আদেশে মামলাটি যে হত্যাকাণ্ডজনিত, সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। জামিন দেওয়ার সপক্ষে যুক্তিযুক্ত কোনো কারণও উল্লেখ করা হয়নি।
হেরোইন উদ্ধারের মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ ডিসেম্বর তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সুনির্দিষ্ট। মামলাটি তদন্তাধীন। এ কারণে জামিন নামঞ্জুর করা হলো। কিন্তু পরে টাইপ করা আদেশ কেটে দেওয়া হয় এবং রহস্যজনকভাবে একই দিনে আসামিকে জামিন মঞ্জুরসংক্রান্ত আদেশ প্রদান করা হয়।
‘দুই দিনে জাল টাকা উদ্ধারের সাত মামলায় জামিন’ শিরোনামে গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনের পর জানানো হয়, বিচারক এস এম আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে তাঁকে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে পরামর্শ জানাতে অনুরোধ করেছে।
এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মাদক, হত্যা ও জাল টাকার মামলায় আসামিদের জামিনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের জিএ (জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ) কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ: অবকাশকালীন বিচারকের দায়িত্ব পালনকালে জাল মুদ্রা, মাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলায় জামিন প্রদানের ক্ষেত্রে ১৫টি মামলায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রণালয়ের জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, নয়টি মামলায় জামিনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে। তবে অপর ছয়টি ক্ষেত্রে জামিনে অনিয়ম ধরা পড়েনি। তদন্ত করতে গিয়ে এর বাইরে নাদিয়া হত্যা মামলা ও ২৮০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের মামলায়ও জামিনে অনিয়ম ধরা পড়ে।
অনিয়ম ধরা পড়া ১১টি মামলার বর্ণনা তুলে ধরে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, জামিন প্রদানে দুর্নীতি হয়েছে সন্দেহ করা যায়। তবে দুর্নীতির বিষয়ে অধিকতর তদন্ত ছাড়া সুস্পষ্ট মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
১১ মামলায় জামিনে অনিয়ম: প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদপুর থানার জাল নোট উদ্ধারের মামলায় আসামি পলাশ, সূত্রাপুর থানার মামলায় আসামি মো. সিকান্দার, সবুজবাগ থানার মামলায় আসামি সাজ্জাত হোসেন, দক্ষিণখান থানার মামলায় আসামি মো. আরিফের জামিনের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়েছে।
তদন্তে ইয়াবা বড়ি উদ্ধারের ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় আসামি কামালউদ্দিন হাওলাদার ও লালবাগ থানায় করা মামলায় আসামি আমিরুল ইসলামের জামিনেও অনিয়ম ধরা পড়ে।
দারুস সালাম থানায় করা সুব্রত হত্যা মামলায় সীমন সিকদারের জামিনে অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। ফেনসিডিল উদ্ধারের অভিযোগে মতিঝিল ও কাফরুল থানায় করা পৃথক দুটি মামলায় আসামি নজরুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের জামিনেও অনিয়ম পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে নাদিয়া হত্যা মামলায় আসামির জামিনের বিষয়ে বলা হয়, মামলার আসামি মো. শিকদার শফিকুর রহমান স্ত্রী নাদিয়াকে হত্যা করে গুম করার উদ্দেশ্যে নিজ গাড়িতে করে লাশ নিয়ে যাওয়ার পথে শাহবাগ এলাকায় হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে হত্যার বিষয়ে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। চাঞ্চল্যকর মামলা হিসেবে এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ আসামিকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আদেশে মামলাটি যে হত্যাকাণ্ডজনিত, সে বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই। জামিন দেওয়ার সপক্ষে যুক্তিযুক্ত কোনো কারণও উল্লেখ করা হয়নি।
হেরোইন উদ্ধারের মামলার আসামির জামিনের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৬ ডিসেম্বর তাঁর জামিন নামঞ্জুর করা হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সুনির্দিষ্ট। মামলাটি তদন্তাধীন। এ কারণে জামিন নামঞ্জুর করা হলো। কিন্তু পরে টাইপ করা আদেশ কেটে দেওয়া হয় এবং রহস্যজনকভাবে একই দিনে আসামিকে জামিন মঞ্জুরসংক্রান্ত আদেশ প্রদান করা হয়।
No comments