বিএনপির ভেতর-বাইরে ঝড়
গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। এখানে খুবই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতি করতে হয়। এরপরের বাধা দলীয় কোন্দল। নেতৃত্বের কারণে সৃষ্টি হওয়া এসব কোন্দলের কারণে দল সাংগঠনিকভাবে সংগঠিত হতে পারছে না। বর্তমান মুকুসদপুর বিএনপি চারটি ধারায় বিভক্ত।
মূল দল বিএনপির কমিটির মেয়াদ থাকলেও যুবদল ও ছাত্রদলের মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। মুকসুদপুর-কাশিয়ানী আসন থেকে বিএনপি বলতে গেলে কখনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হতে পারেনি। শুধু ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে তখনকার জেলা বিএনপির সভাপতি এফ-ই সরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর এমপি নির্বাচিত হন। বাকি আটটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
মুকসুদপুরে বিএনপির রাজনীতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের সময় থেকে। এ কারণে বিএনপির রাজনীতির জন্য এটি একটি উর্বর জায়গা। এখানে প্রথমে বিএনপির কর্মকাণ্ড শুরু করেন ফজলুর রহমান মাস্টার। পরবর্তী সময়ে ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহাবুব উদ্দিন আহমাদ, লে. কর্নেল (অব.) মহব্বতজান চৌধুরীকে দিয়ে এখানে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন। তখন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় ছিল। এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এম এইচ খান মঞ্জু। তখন মহব্বতজান মঞ্জুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপিকে এখানে সংগঠিত করেন। পরে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হলে মঞ্জু বিএনপিতে যোগদান করেন। এমপি থাকা অবস্থায় ওই আসনে তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করায় তখন অনেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে বিএনপিতে যোগ দেন। তখন থেকে বিএনপির রাজনীতিতে দুটি ধারা তৈরি হয়। এরপর বিএনপি সভাপতি সাবেক এফ-ই সরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেন। এ কারণে আরেকটি ধারার সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় যুবদলের ঢাকা বিভাগের সহসভাপতি সেলিমুজ্জামান সেলিমকে এ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তখন সৃষ্টি হয় আরেকটি ধারা। সব মিলে মুকসুদপুর বিএনপিতে কোন্দল এখন চরমে। দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও বর্তমান কমিটি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি জেলা শহরে পালন করতে না পারলেও মুকসুদপুরে পালন করছে। কারণ মুকসুদপুরে বিএনপির একটা ভোটব্যাংক রয়েছে। আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে জেলার মধ্যে দলটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে শুরু থেকে যাঁরা দলটিকে সংগঠিত করেছেন, নানা হিসাব-নিকাশের কারণে তাঁদের অনেকেই বর্তমানে দলের বাইরে রয়েছেন বা ছিটকে পড়েছেন। এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, নতুন মুখ দলে টানতে ব্যর্থ হচ্ছেন বর্তমান নেতৃত্ব। এ ছাড়া বর্তমানে যাঁরা নেতৃত্বে রয়েছেন তাঁদের বয়স কম হওয়ায় সিনিয়র নেতারা তাঁদের প্রতি আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে মুকসুদপুরে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা এখন চরম হতাশায় নিমজ্জিত।
আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান নবম সংসদ নির্বাচনে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৩৭ ভোট পান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯ হাজার ৯৮৬। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস পেয়েছিলেন ছয় হাজার ৮৪৩ ভোট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রকে ম্যানেজ করে সেলিমুজ্জামান সেলিম একক নেতৃত্বের মাধ্যমে দলের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে চলছেন। তাঁর ইচ্ছামতো কমিটি গঠন করেছেন। মুকসুদপুরের বিএনপির সব অঙ্গসংগঠন এ কারণে দ্বিধাবিভক্ত। তাঁরা বলেন, পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে সব গ্রুপ থেকে যোগ্য নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি করলে দলের জন্য ভালো হবে। আগামীতে মুকসুদপুরে বিএনপি সম্মানজনক ভোট পাবে। নতুবা বিএনপির ভোট আরো কমে যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী বলেন, মুকসুদপুরে এমপি বর্তমান মহাজোট সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান নির্বাচনের আগে জনসভা করে বিভিন্ন উন্নয়নের ঘোষণা দেন। যেসব উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার কিছুই করতে পারেননি। তিনি এলাকায় আসেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিতে। শীতের সময় কিছু কম্বল বিতরণ করেছেন। চোখে পড়ার মতো তেমন উন্নয়ন এ আসনে হয়নি। এ কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির এ আসনে ভোট বাড়বে।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জুর কিছু লোক রয়েছেন। তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করেন না। তাঁরা সুযোগ বুঝে কাজে নামেন। মুকসুদপুরে কেন্দ্র-ঘোষিত সব কর্মসূচি ছোটভাবে হলেও পালিত হয়। কর্মসূচি পালনে প্রথমদিকে বেশ বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হতো। এখন বাধা কিছুটা কম আসছে। একসময় আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মামলা করে হয়রানি করা হয়। বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী আছেন তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করেন না। বরং দলের ক্ষতি করেন। এর এক মাত্র কারণ গ্রুপিং। গ্রুপিংয়ের কারণে দল পিছিয়ে যাচ্ছে।
মুকসুদপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম খান বলেন, 'আমরা যাঁরা কমিটিতে আছি, সবাই ত্যাগী। দলের প্রথমদিক থেকে আমরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মুকসুদপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্যান্ডেল করে জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলী উপস্থিত থেকে সবার মতামতের ভিত্তিতে আমাদের কমিটি গঠন করেন। পুরো গোপালগঞ্জটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, এখানে ভিন্নদল করা খুবই কষ্টের। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। যেখানে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি, সেখানেই একটা বাধা আসে। সেসব বাধা অতিক্রম করে আমরা এখনো মাঠে টিকে আছি।'
মুকসুদপুরে বিএনপির রাজনীতি শুরু হয় জিয়াউর রহমানের সময় থেকে। এ কারণে বিএনপির রাজনীতির জন্য এটি একটি উর্বর জায়গা। এখানে প্রথমে বিএনপির কর্মকাণ্ড শুরু করেন ফজলুর রহমান মাস্টার। পরবর্তী সময়ে ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহাবুব উদ্দিন আহমাদ, লে. কর্নেল (অব.) মহব্বতজান চৌধুরীকে দিয়ে এখানে বিএনপির রাজনীতি শুরু করেন। তখন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় ছিল। এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এম এইচ খান মঞ্জু। তখন মহব্বতজান মঞ্জুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপিকে এখানে সংগঠিত করেন। পরে জাতীয় পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হলে মঞ্জু বিএনপিতে যোগদান করেন। এমপি থাকা অবস্থায় ওই আসনে তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করায় তখন অনেক নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে বিএনপিতে যোগ দেন। তখন থেকে বিএনপির রাজনীতিতে দুটি ধারা তৈরি হয়। এরপর বিএনপি সভাপতি সাবেক এফ-ই সরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর এ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেন। এ কারণে আরেকটি ধারার সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় যুবদলের ঢাকা বিভাগের সহসভাপতি সেলিমুজ্জামান সেলিমকে এ আসন থেকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। তখন সৃষ্টি হয় আরেকটি ধারা। সব মিলে মুকসুদপুর বিএনপিতে কোন্দল এখন চরমে। দলের মধ্যে কোন্দল থাকলেও বর্তমান কমিটি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সব কর্মসূচি জেলা শহরে পালন করতে না পারলেও মুকসুদপুরে পালন করছে। কারণ মুকসুদপুরে বিএনপির একটা ভোটব্যাংক রয়েছে। আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে জেলার মধ্যে দলটি ভালো অবস্থানে রয়েছে। অন্যদিকে শুরু থেকে যাঁরা দলটিকে সংগঠিত করেছেন, নানা হিসাব-নিকাশের কারণে তাঁদের অনেকেই বর্তমানে দলের বাইরে রয়েছেন বা ছিটকে পড়েছেন। এতে করে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, নতুন মুখ দলে টানতে ব্যর্থ হচ্ছেন বর্তমান নেতৃত্ব। এ ছাড়া বর্তমানে যাঁরা নেতৃত্বে রয়েছেন তাঁদের বয়স কম হওয়ায় সিনিয়র নেতারা তাঁদের প্রতি আস্থা পাচ্ছেন না। ফলে মুকসুদপুরে বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীরা এখন চরম হতাশায় নিমজ্জিত।
আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান নবম সংসদ নির্বাচনে এক লাখ ৮৩ হাজার ২৩৭ ভোট পান। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন বর্তমান কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯ হাজার ৯৮৬। অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস পেয়েছিলেন ছয় হাজার ৮৪৩ ভোট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রকে ম্যানেজ করে সেলিমুজ্জামান সেলিম একক নেতৃত্বের মাধ্যমে দলের সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে চলছেন। তাঁর ইচ্ছামতো কমিটি গঠন করেছেন। মুকসুদপুরের বিএনপির সব অঙ্গসংগঠন এ কারণে দ্বিধাবিভক্ত। তাঁরা বলেন, পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে সব গ্রুপ থেকে যোগ্য নেতাদের নিয়ে নতুন কমিটি করলে দলের জন্য ভালো হবে। আগামীতে মুকসুদপুরে বিএনপি সম্মানজনক ভোট পাবে। নতুবা বিএনপির ভোট আরো কমে যেতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী বলেন, মুকসুদপুরে এমপি বর্তমান মহাজোট সরকারের বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান নির্বাচনের আগে জনসভা করে বিভিন্ন উন্নয়নের ঘোষণা দেন। যেসব উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার কিছুই করতে পারেননি। তিনি এলাকায় আসেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যোগ দিতে। শীতের সময় কিছু কম্বল বিতরণ করেছেন। চোখে পড়ার মতো তেমন উন্নয়ন এ আসনে হয়নি। এ কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগের ভোট কমবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির এ আসনে ভোট বাড়বে।
মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে সাবেক সভাপতি এম এইচ খান মঞ্জুর কিছু লোক রয়েছেন। তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করেন না। তাঁরা সুযোগ বুঝে কাজে নামেন। মুকসুদপুরে কেন্দ্র-ঘোষিত সব কর্মসূচি ছোটভাবে হলেও পালিত হয়। কর্মসূচি পালনে প্রথমদিকে বেশ বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হতো। এখন বাধা কিছুটা কম আসছে। একসময় আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন মামলা করে হয়রানি করা হয়। বিএনপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী আছেন তাঁরা আমাদের সহযোগিতা করেন না। বরং দলের ক্ষতি করেন। এর এক মাত্র কারণ গ্রুপিং। গ্রুপিংয়ের কারণে দল পিছিয়ে যাচ্ছে।
মুকসুদপুর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম খান বলেন, 'আমরা যাঁরা কমিটিতে আছি, সবাই ত্যাগী। দলের প্রথমদিক থেকে আমরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। মুকসুদপুর ডিগ্রি কলেজ মাঠে প্যান্ডেল করে জেলা বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক এম মুনসুর আলী উপস্থিত থেকে সবার মতামতের ভিত্তিতে আমাদের কমিটি গঠন করেন। পুরো গোপালগঞ্জটা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, এখানে ভিন্নদল করা খুবই কষ্টের। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে। যেখানে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি, সেখানেই একটা বাধা আসে। সেসব বাধা অতিক্রম করে আমরা এখনো মাঠে টিকে আছি।'
No comments