মানিকগঞ্জের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী-দুর্নীতির বিচার হবে না এমন আহ্লাদ চলবে না by জাহাঙ্গীর আলম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, দুর্নীতির বিচার হবে না, এমন আহ্লাদ চলবে না। এতিমের টাকা মেরে খেলে বিচার করতেই হবে। গতকাল বুধবার মানিকগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জনগণের দাবি হলেও বিরোধীদলীয় নেতা তাদের বাঁচাতে মরিয়া। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জ শহরে ছিল উৎসবের আমেজ। শহরের রাস্তার পাশের বড় পুকুরগুলোয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা সাজিয়ে রাখা হয়। গোটা শহর ছিল বর্ণিল সাজে সজ্জিত।
মানিকগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ দুপুরের মধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বেলা তিনটায় যখন জনসভা শুরু হয়, তখন মাঠ ছাপিয়ে আশপাশের রাস্তায়ও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। জনসভায় বিপুলসংখ্যক নারীর উপস্থিতি ছিল।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে তৈরি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক সংগৃহীত তিনটি ড্রেজার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত ক্যাপিটাল (পাইলট) ড্রেজিং অব রিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় নদী খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিন বছরে ৪৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছি। এরই মধ্যে ২৪টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা বলছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। তিনি দেশকে অন্ধকারে ফিরিয়ে নিতে চান। তাঁর মনে অনেক অশান্তি। দেশে শান্তি থাকলে তাঁর মনে শান্তি থাকে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোররেশন ও উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এখন আর ভোটের বাক্স নিয়ে টানাটানির ঘটনা ঘটে না। প্রধানমন্ত্রী আরিচায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং মানিকগঞ্জে স্টেডিয়াম নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে নদী খনন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই পর্যায়ে ৫৩টি নৌপথ খনন করা হবে। প্রথম পর্যায়ের ২৪টি নৌপথের ড্রেজিং প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। ইতিমধ্যেই মাদারীপুর-চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথের খননকাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এর বিচারকাজ শেষ করার জন্য মহাজোটসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিনের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জাহিদ মালেক, গাজী কামরুল হুদা, সাংসদ ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, রমজান আলী প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ দুপুরের মধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে যায়। বেলা তিনটায় যখন জনসভা শুরু হয়, তখন মাঠ ছাপিয়ে আশপাশের রাস্তায়ও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। জনসভায় বিপুলসংখ্যক নারীর উপস্থিতি ছিল।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে তৈরি বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক সংগৃহীত তিনটি ড্রেজার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়িত ক্যাপিটাল (পাইলট) ড্রেজিং অব রিভার সিস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় নদী খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিন বছরে ৪৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরু করেছি। এরই মধ্যে ২৪টির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিরোধীদলীয় নেতা বলছেন, ক্ষমতায় গেলে তিনি সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেবেন। তিনি দেশকে অন্ধকারে ফিরিয়ে নিতে চান। তাঁর মনে অনেক অশান্তি। দেশে শান্তি থাকলে তাঁর মনে শান্তি থাকে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আমলে মানুষ শান্তিতে ভোট দিতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোররেশন ও উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এখন আর ভোটের বাক্স নিয়ে টানাটানির ঘটনা ঘটে না। প্রধানমন্ত্রী আরিচায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ এবং মানিকগঞ্জে স্টেডিয়াম নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেন।
এর আগে নদী খনন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই পর্যায়ে ৫৩টি নৌপথ খনন করা হবে। প্রথম পর্যায়ের ২৪টি নৌপথের ড্রেজিং প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। ইতিমধ্যেই মাদারীপুর-চরমুগুরিয়া-টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ নৌপথের খননকাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চলছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করে যাচ্ছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এর বিচারকাজ শেষ করার জন্য মহাজোটসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিনের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন জাহিদ মালেক, গাজী কামরুল হুদা, সাংসদ ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, রমজান আলী প্রমুখ।
No comments