অপরিকল্পিত উদ্যোগ বন্ধ করা হোক-জলবায়ু তহবিলের টাকায় বন উজাড় প্রকল্প!
জলবায়ু বিপর্যয়ের একটি অভিশাপ হলো ঘন ঘন সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য দরকার উপকূলে বনের সবুজ বেষ্টনী। ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে সরকার রাজস্ব আয় থেকে গঠন করেছে জলবায়ু তহবিল। এই তহবিলের টাকায় আরও বেশি পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের কথা।
অথচ ঠিক বিপরীত কাজটিই করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলা ও পটুয়াখালীর মধ্যে একটি আড়াআড়ি বাঁধ নির্মাণ করছে। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধ তৈরি করতে উপকূলের তিনটি বনের প্রায় ৩৯ হাজার গাছ কাটা পড়বে।
গাছ কেটে কি পরিবেশ বিপর্যয় রোধের কোনো কাজ হবে? তাহলে কেন পরিবেশ তহবিলের টাকায় এই আত্মঘাতী প্রকল্প গ্রহণ করা হলো? ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা। বাঁধ নির্মিত হলে নাকি বেশ কিছু জমি জেগে উঠবে। কিন্তু একটি নদী, দুটি চ্যানেল ও তিনটি বনের যে ক্ষতি হবে, সে কথা কি ভেবে দেখা হয়েছে?
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টির আন্তর্জাতিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে। তাই ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার সহায়তা দিয়েছে। তহবিলে এক হাজার কোটি টাকা জমা আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল যদি দেখে যে আমরা নিজেদের দেশের তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারছি না, তাহলে কোন ভরসায় ওরা সহায়তায় এগিয়ে আসবে? পরিবেশের ক্ষতি করে জলবায়ু বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। জলবায়ু তহবিলের টাকা কোন প্রকল্পে, কী উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হচ্ছে, তা কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর খামখেয়ালিতে কিছু করা যাবে না। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা হোক। এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হলে প্রথমে প্রকল্প তালিকাভুক্ত করে, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সব দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আলোচ্য বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি যথাযথ জরিপ ছাড়াই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে এটা স্থগিত করা হোক। জলবায়ু পরিবর্তনের পটভূমিতে বলা যায়, গাছ কেটে বা নদীর বুক চিরে কিছু করা যাবে না।
গাছ কেটে কি পরিবেশ বিপর্যয় রোধের কোনো কাজ হবে? তাহলে কেন পরিবেশ তহবিলের টাকায় এই আত্মঘাতী প্রকল্প গ্রহণ করা হলো? ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা। বাঁধ নির্মিত হলে নাকি বেশ কিছু জমি জেগে উঠবে। কিন্তু একটি নদী, দুটি চ্যানেল ও তিনটি বনের যে ক্ষতি হবে, সে কথা কি ভেবে দেখা হয়েছে?
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টির আন্তর্জাতিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে। তাই ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ রেজিলিয়েন্স ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। ব্রিটিশ সরকার সহায়তা দিয়েছে। তহবিলে এক হাজার কোটি টাকা জমা আছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল যদি দেখে যে আমরা নিজেদের দেশের তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারছি না, তাহলে কোন ভরসায় ওরা সহায়তায় এগিয়ে আসবে? পরিবেশের ক্ষতি করে জলবায়ু বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। জলবায়ু তহবিলের টাকা কোন প্রকল্পে, কী উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হচ্ছে, তা কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর খামখেয়ালিতে কিছু করা যাবে না। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করা হোক। এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হলে প্রথমে প্রকল্প তালিকাভুক্ত করে, জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সব দিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে।
আলোচ্য বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি যথাযথ জরিপ ছাড়াই বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অবিলম্বে এটা স্থগিত করা হোক। জলবায়ু পরিবর্তনের পটভূমিতে বলা যায়, গাছ কেটে বা নদীর বুক চিরে কিছু করা যাবে না।
No comments